কুমিল্লার দেবিদ্বারে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়, বাড়িঘর ও কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এ সময় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় উপজেলার জাফরগঞ্জ, এলাহাবাদ, ধামতী, সুলতানপুর ও বরকামতা ইউনিয়নে।
শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ৫১নং বেগমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের চালার ওপর গাছ উপড়ে পরে বিদ্যালয়ের চালা ভেঙ্গে যায় এবং ঝড়ো বাতাসে তা খুলে নিচে পড়ে যায়।
এলাহাবাদ ইউনিয়নের এলাহাবাদ দক্ষিণ পাড়া সোলেমান মিয়ার ঘরের ওপর গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এলাহাবাদ গ্রামের শামিমা আক্তার রীমা জানান, তাদের গ্রামে ঘর, গাছ-পালা ভেঙ্গে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া একই ইউনিয়নের গৌরসার নাজিমুদ্দিনের বাড়ির মৃত সাহেব আলী মিয়ার ঘর ধসে পড়ে ও ঘরের চালা উড়িয়ে ফেলে এবং হাসেম মিয়ার ফসলি জমি নষ্ট হয়।
খয়রাবাদ গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, তাদের বাড়ির শতবর্ষী আমগাছটি ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ধামতি ইউনিয়নের ধামতি গ্রামের মাদ্রাসা পাড়া এলাকায় মৃত আবু তাহের মিয়ার বসতঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের চালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় গাছের আম কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল ঝরে পড়ে এবং কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সড়কের ওপর গাছ ওপরে পড়ে যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। তাছাড়া একদিন আগে (বৃহস্পতিবার) ধামতী গ্রামে মোখলেছুর রহমান(৫৭) নামে এক কৃষক ধানের খড় আনতে যেয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে শুক্রবার (৩ মে) রাত ৮টায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম মাওলা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
কুমিল্লার দেবিদ্বারে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়, বাড়িঘর ও কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এ সময় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় উপজেলার জাফরগঞ্জ, এলাহাবাদ, ধামতী, সুলতানপুর ও বরকামতা ইউনিয়নে।
শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ৫১নং বেগমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের চালার ওপর গাছ উপড়ে পরে বিদ্যালয়ের চালা ভেঙ্গে যায় এবং ঝড়ো বাতাসে তা খুলে নিচে পড়ে যায়।
এলাহাবাদ ইউনিয়নের এলাহাবাদ দক্ষিণ পাড়া সোলেমান মিয়ার ঘরের ওপর গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এলাহাবাদ গ্রামের শামিমা আক্তার রীমা জানান, তাদের গ্রামে ঘর, গাছ-পালা ভেঙ্গে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া একই ইউনিয়নের গৌরসার নাজিমুদ্দিনের বাড়ির মৃত সাহেব আলী মিয়ার ঘর ধসে পড়ে ও ঘরের চালা উড়িয়ে ফেলে এবং হাসেম মিয়ার ফসলি জমি নষ্ট হয়।
খয়রাবাদ গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, তাদের বাড়ির শতবর্ষী আমগাছটি ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ধামতি ইউনিয়নের ধামতি গ্রামের মাদ্রাসা পাড়া এলাকায় মৃত আবু তাহের মিয়ার বসতঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের চালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় গাছের আম কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল ঝরে পড়ে এবং কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সড়কের ওপর গাছ ওপরে পড়ে যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। তাছাড়া একদিন আগে (বৃহস্পতিবার) ধামতী গ্রামে মোখলেছুর রহমান(৫৭) নামে এক কৃষক ধানের খড় আনতে যেয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে শুক্রবার (৩ মে) রাত ৮টায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম মাওলা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।