ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার দুর্গাপুর থেকে সড়ক বাজার পর্যন্ত সড়কের দুই কিলোমিটার জায়গা বেহলা দশায় উপনীত হয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সকালে সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। দুর্গাপুর গেইট থেকে বাইপাস সড়ক পর্যন্ত হাতে হাত রেখে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার কথা। এতে বাধ সাধেন পুলিশ। অনুমতি নেওয়া হয়নি- এমন কথা বলে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কর্মসূচির ব্যানারের একটি ছবি ও এ সংক্রান্ত একাধিক লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে টনক নড়ে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতার। এ নিয়ে তিনি পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। কর্মসূচি পালন করলে সরকার ও দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন। এ অবস্থায় পুলিশও তৎপর হয়ে উঠে।
শনিবার সকালে কর্মসূচির আগে সেখানে হাজির হয় পুলিশ।উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কুতুব উদ্দিন। পুলিশ জানিয়ে দেন যে, অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মসূচি পালন করা যাবে না। আওয়ামী লীগ নেতা জানান, কর্মসূচি পালন করতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আরো বড় পরিসরে করতে হবে। এ অবস্থায় আয়োজকরা চলে যান প্রগতি সংঘ নামে স্থানীয় একটি সংগঠনের কার্যালয়ে। সেখানে বসে তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, মানববন্ধন না করে পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি দিবেন।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় যে, দুর্গাপুর গেট থেকে সড়ক বাজার পর্যন্ত অনেক গর্ত। বেশিরভাগ জায়গায় পিচ একেবারেই উঠে গেছে। ওই সড়কটিতে হেলেদুলে চলছে যান। যাত্রী ও চালকরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে সবচেয়ে বড় গর্ত থাকা খড়মপুর এলাকার সেতুর সামনের কিছু অংশ সম্প্রতি পাকা করা হয়।
কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা মোহাম্মদ ইমন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মানববন্ধনের আয়োজন করি। এটা কারো বিরুদ্ধে নয়। পুলিশ শুক্রবার রাতেই ফোন করে এটা না করতে বলেন। সকালেও পুলিশ এসে হাজির হয়। অনুমতি না নিয়ে কোনো কর্মসূচি করা যাবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।’
দুর্গাপুর গেইটে পুলিশের সঙ্গে বসা থাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কুতুব উদ্দিন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘মানববন্ধন করতে তো আমাদের কোনো সমস্যা নাই। আমরা চাই সবাই মিলে আলোচনা করে আরো বড় পরিসরে মানববন্ধন করা হোক।’
আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি করার খবর পেয়ে এখানে এসেছি। তবে আমাদের উপর কারো কোনো চাপ নেই। আয়োজকদেরকে বলেছি অনুমতি নিয়ে যেন কর্মসূচি পালন করা হয়।’
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার দুর্গাপুর থেকে সড়ক বাজার পর্যন্ত সড়কের দুই কিলোমিটার জায়গা বেহলা দশায় উপনীত হয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সকালে সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। দুর্গাপুর গেইট থেকে বাইপাস সড়ক পর্যন্ত হাতে হাত রেখে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার কথা। এতে বাধ সাধেন পুলিশ। অনুমতি নেওয়া হয়নি- এমন কথা বলে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কর্মসূচির ব্যানারের একটি ছবি ও এ সংক্রান্ত একাধিক লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে টনক নড়ে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতার। এ নিয়ে তিনি পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। কর্মসূচি পালন করলে সরকার ও দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন। এ অবস্থায় পুলিশও তৎপর হয়ে উঠে।
শনিবার সকালে কর্মসূচির আগে সেখানে হাজির হয় পুলিশ।উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কুতুব উদ্দিন। পুলিশ জানিয়ে দেন যে, অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মসূচি পালন করা যাবে না। আওয়ামী লীগ নেতা জানান, কর্মসূচি পালন করতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আরো বড় পরিসরে করতে হবে। এ অবস্থায় আয়োজকরা চলে যান প্রগতি সংঘ নামে স্থানীয় একটি সংগঠনের কার্যালয়ে। সেখানে বসে তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, মানববন্ধন না করে পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি দিবেন।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় যে, দুর্গাপুর গেট থেকে সড়ক বাজার পর্যন্ত অনেক গর্ত। বেশিরভাগ জায়গায় পিচ একেবারেই উঠে গেছে। ওই সড়কটিতে হেলেদুলে চলছে যান। যাত্রী ও চালকরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে সবচেয়ে বড় গর্ত থাকা খড়মপুর এলাকার সেতুর সামনের কিছু অংশ সম্প্রতি পাকা করা হয়।
কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা মোহাম্মদ ইমন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মানববন্ধনের আয়োজন করি। এটা কারো বিরুদ্ধে নয়। পুলিশ শুক্রবার রাতেই ফোন করে এটা না করতে বলেন। সকালেও পুলিশ এসে হাজির হয়। অনুমতি না নিয়ে কোনো কর্মসূচি করা যাবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।’
দুর্গাপুর গেইটে পুলিশের সঙ্গে বসা থাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কুতুব উদ্দিন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘মানববন্ধন করতে তো আমাদের কোনো সমস্যা নাই। আমরা চাই সবাই মিলে আলোচনা করে আরো বড় পরিসরে মানববন্ধন করা হোক।’
আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি করার খবর পেয়ে এখানে এসেছি। তবে আমাদের উপর কারো কোনো চাপ নেই। আয়োজকদেরকে বলেছি অনুমতি নিয়ে যেন কর্মসূচি পালন করা হয়।’