পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ির উত্তেজনা ছড়িয়েছে পাশের জেলা রাঙামাটিতেও। জেলা শহরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা-সংঘর্ষে সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন, আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। তবে নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর বেলা দেড়টা থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সকালে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ির একটি মিছিল বের হয়।
তারা শহরের বনরূপা এলাকায় গেলে সেখানে মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও বনরূপা মসজিদে ভাঙচুর করা হয়।
এ সময় সড়কে চলাচলকারী বেশকিছু বাস-ট্রাক-অটোরিকশাও ভাঙচুর করে মিছিলকারীরা। এরপরই লাঠিসোঁটা হাতে পাহাড়িদের ধাওয়া করে বাঙালিরা। শুরু হয় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ।
বাঙালিদের পালটা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার। আগুন দেওয়া হয় বনরূপায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন অন্তত দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এক পর্যায়ে শহরের হ্যাপির মোড়কে কেন্দ্র করে এর দুদিকে অবস্থান নেয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা।
রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামালউদ্দিন জানিয়েছেন, সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বিনা উস্কানিতেই দেদারসে বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বনরূপা মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর করে, বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়িরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।
এর মধ্যে সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০ জনকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদিয়া আক্তার।
পরে আহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান, আরও ছয়-সাত জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান এই চিকিৎসক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ-সেনাবাহিনী-বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ টহল দল কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ির উত্তেজনা ছড়িয়েছে পাশের জেলা রাঙামাটিতেও। জেলা শহরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা-সংঘর্ষে সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন, আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। তবে নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর বেলা দেড়টা থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সকালে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ির একটি মিছিল বের হয়।
তারা শহরের বনরূপা এলাকায় গেলে সেখানে মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও বনরূপা মসজিদে ভাঙচুর করা হয়।
এ সময় সড়কে চলাচলকারী বেশকিছু বাস-ট্রাক-অটোরিকশাও ভাঙচুর করে মিছিলকারীরা। এরপরই লাঠিসোঁটা হাতে পাহাড়িদের ধাওয়া করে বাঙালিরা। শুরু হয় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ।
বাঙালিদের পালটা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার। আগুন দেওয়া হয় বনরূপায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন অন্তত দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এক পর্যায়ে শহরের হ্যাপির মোড়কে কেন্দ্র করে এর দুদিকে অবস্থান নেয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা।
রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামালউদ্দিন জানিয়েছেন, সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বিনা উস্কানিতেই দেদারসে বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বনরূপা মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর করে, বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়িরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।
এর মধ্যে সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০ জনকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদিয়া আক্তার।
পরে আহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান, আরও ছয়-সাত জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান এই চিকিৎসক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ-সেনাবাহিনী-বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ টহল দল কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।