alt

সারাদেশ

ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান

প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

সুনামগঞ্জে কাবিটা স্কিম প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন। বুধবার হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সমন্বয়ে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও হাওড় বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহালুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আসাদ উল্লাহ সরকার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মুর্শেদ জামান, আলী নূর।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চলতি বোরো মৌসুমে ফসলের সুরক্ষায় হাওরে ৫৮৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দে ৬৮৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী অর্থবছরের ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করার কথা। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, নির্ধারিত ১৫ ডিসেম্বর নিয়ম রক্ষার্থে কয়েকটি বাঁধে লোকদেখানো কাজ উদ্বোধন করা হয়েছিল। সর্বশেষ মার্চ মাস পর্যন্তও বাঁধের কাজ শুরু করা হয়েছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমাদের কৃষক বন্ধুরা। ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারিতে যে বাঁধের কাজ শেষ হবে সে বাঁধ আগাম বন্যার চাপ সমলাতে সক্ষম হবে। কিন্তু মধ্য ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যে সব বাঁধের কাজ শুরু করে নিয়মরক্ষার কাজ করা হয়েছে আগাম বন্যা আসলে প্রথমেই সে বাঁধগুলো ভেঙে যাবে। এবার বাঁধের কাজে শুরু থেকেই একধরনের ঢিলেমি লক্ষ্য করা গেছে। মাঠপর্যায়ে গণশুনানি করে প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠনের দাবি থাকলেও, সেটি করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবে পিআইসি গঠন করা হয়। এতে প্রশাসন ও পাউবো কর্মকর্তাদের একটা যোগসাজশ থাকে। যে কারণে ওই ব্যক্তিরা কাজে গাফিলতি করেন। আমরা মনে করি কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য কৃষকের হাওরের ধানকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছেন। এবার কৃষকের ধান গোলায় তুলতে কোন সমস্যা হলে এর দায় কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটিকেই নিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা গভীরভাবে লক্ষ করছি বাঁধের প্রাক্কলন থেকে শুরু করে পিআইসি গঠন পর্যন্ত ছলচাতুরির আশ্রয় নেয় পাউবো এবং প্রশাসন যার ফলে সঠিক সময়ে পিআইসি গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়নি এবং কাজ শুরু করতে দেরি হয়। প্রাক্কলনে কিলোমিটারের যে মাপ সেটা একটা চালাকি। আমরা হাওর বাঁচাও আন্দেলনের পক্ষ থেকে অক্টোবর নভেম্বর মাসে যে জরিপটি পরিচালনা করি তাতে দেখা যায়, অনেক বাঁধের কিলোমিটারের পর কিলোমিটার মাটি ভরাটের প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রাক্কলনের সময় অক্ষত বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে সরকারের টাকা নয়-ছয়ের কাজ সেখান থেকে শুরু হয়। হাওরে অনেক বাঁধ রয়েছে যেখানে মাটি ভরাট না করে শুধু দুর্বাঘাস পরিষ্কার করে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। সরকারের বেঁধে দেয়া ২৮ ফেব্রুয়ারি কোন বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। আমাদের জরিপে আমরা দেখেছি, সে সময় ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ কাজ হয়েছে। এরপর পাউবো ও প্রশাসন গোপনে ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেন। কিন্তু ৯ মার্চ তারিখ জেলা প্রশাসন ও ডিসি সুনামগঞ্জ ফেসবুক ওয়ালে জানানো হয় যেহেতু সুনামগঞ্জ জেলায় কাবিটা বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এই পর্যায়ে বাঁধের কাজে কোথাও কোন ত্রুটি থাকলে বিস্তারিতসহ পিআইসির নম্বর ও স্থান উল্লেখ করে ইউএনওকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হয়েছে দাবি করলে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের হিসেবে ১০ মার্চ পর্যন্ত ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ কাজ হয়েছে।১০ মার্চ আমাদের বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে হাওরে পাঠিয়ে আমরা দেখেছি অনেক বাঁধে মাটির কাজ হচ্ছে। তবে কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটির কাজ হয়নি। পুরাতন বাঁধকে মেশিন দিয়ে মাটি খুঁড়ে নতুন করার চেষ্টা করা হয়েছে। অধিকাংশ বাঁধেই ঘাস লাগানো ও দুর্মুজ করা হয়নি। তাহলে কিভাবে জেলা প্রশাসন বলছে বাঁধের কাজ শেষ তা আমরা জানি না। আমরা আমাদের সকল উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি ও আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে বুঝতে পারছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি। নির্ধারিত সময় শেষে ১০ মার্চ কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সময়েও হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। ১০ মার্চ হাওড় বাঁচাও আন্দোলন বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন হাওড় পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ বইমেলার উদ্বোধন

অস্ত্রসহ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

বাজার ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

৫ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭

সালথায় ডাকাত গ্রেপ্তার

বিমানবন্দরে ওমরা হাজির ব্যাগ থেকে স্বর্ণ উদ্ধার

সিলেটে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য জব্দ

মাধবপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

রোজা না রাখায় কানে ধরিয়ে উঠবস!

অভয়নগরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ছবি

সীতাকুণ্ডে পাহাড় দখল করে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার বসতি

ছবি

ফরিদপুরে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রতিপক্ষের হামলায় সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু

বেগমগঞ্জে ওষুধের কার্টনে নবজাতকের লাশ

ছবি

মৌলভীবাজারে ১৪টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ

লালমাইয়ে নামাজে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো কিশোর সায়মন

ঝালকাঠিতে সেনা সদস্য হত্যার রহস্য উদঘাটন

ছবি

জামদানি বুনে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন হাইমচরের রনি

‘ছিনতাইকারী’ আখ্যা দিয়ে যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন

চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই আতঙ্কে সলঙ্গার মানুষ

সিরাজদিখানে গৃহবধূর আত্মহত্যা

তালায় নকল কীটনাশক বিক্রেতার দণ্ডাদেশ

শেরপুরে গলায় চাকু ঠেকিয়ে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই

ছবি

ঈদ সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে বিপণিবিতানে ভিড় বাড়ছে

চান্দিনায় আশ্রয়ণ জনমানবহীন ফাঁকা ঘরে লাকড়ির স্তুপ

ছবি

চাঁদপুরে মোগল আমলের নিদর্শন বখতিয়ার খাঁ জামে মসজিদ

৬৭ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াবে রাসিক

কসবায় গাঁজাসহ পিকআপ আটক, গ্রেপ্তার ৫

ছবি

জীবন সংগ্রামে থেমে নেই আসলাম!

ছবি

মাছ কাটার ব্যবসায় সচ্ছল জীবন

প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে তোলপাড় কুবি, বাধ্যতামূলক ছুটিতে অভিযুক্ত

ভৈরবে ট্রাকের চাপায় অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু

পৌর কর্মচারীর ওপর হামলা চালালো বিএনপি নেতা

বাগেরহাটে যুবদল নেতার পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষ

আইন উপদেষ্টার কাছে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ৫ দাবি

tab

সারাদেশ

ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান

প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ

বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

সুনামগঞ্জে কাবিটা স্কিম প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন। বুধবার হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সমন্বয়ে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও হাওড় বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহালুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আসাদ উল্লাহ সরকার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মুর্শেদ জামান, আলী নূর।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চলতি বোরো মৌসুমে ফসলের সুরক্ষায় হাওরে ৫৮৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দে ৬৮৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী অর্থবছরের ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করার কথা। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, নির্ধারিত ১৫ ডিসেম্বর নিয়ম রক্ষার্থে কয়েকটি বাঁধে লোকদেখানো কাজ উদ্বোধন করা হয়েছিল। সর্বশেষ মার্চ মাস পর্যন্তও বাঁধের কাজ শুরু করা হয়েছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমাদের কৃষক বন্ধুরা। ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারিতে যে বাঁধের কাজ শেষ হবে সে বাঁধ আগাম বন্যার চাপ সমলাতে সক্ষম হবে। কিন্তু মধ্য ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যে সব বাঁধের কাজ শুরু করে নিয়মরক্ষার কাজ করা হয়েছে আগাম বন্যা আসলে প্রথমেই সে বাঁধগুলো ভেঙে যাবে। এবার বাঁধের কাজে শুরু থেকেই একধরনের ঢিলেমি লক্ষ্য করা গেছে। মাঠপর্যায়ে গণশুনানি করে প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠনের দাবি থাকলেও, সেটি করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবে পিআইসি গঠন করা হয়। এতে প্রশাসন ও পাউবো কর্মকর্তাদের একটা যোগসাজশ থাকে। যে কারণে ওই ব্যক্তিরা কাজে গাফিলতি করেন। আমরা মনে করি কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য কৃষকের হাওরের ধানকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছেন। এবার কৃষকের ধান গোলায় তুলতে কোন সমস্যা হলে এর দায় কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটিকেই নিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা গভীরভাবে লক্ষ করছি বাঁধের প্রাক্কলন থেকে শুরু করে পিআইসি গঠন পর্যন্ত ছলচাতুরির আশ্রয় নেয় পাউবো এবং প্রশাসন যার ফলে সঠিক সময়ে পিআইসি গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়নি এবং কাজ শুরু করতে দেরি হয়। প্রাক্কলনে কিলোমিটারের যে মাপ সেটা একটা চালাকি। আমরা হাওর বাঁচাও আন্দেলনের পক্ষ থেকে অক্টোবর নভেম্বর মাসে যে জরিপটি পরিচালনা করি তাতে দেখা যায়, অনেক বাঁধের কিলোমিটারের পর কিলোমিটার মাটি ভরাটের প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রাক্কলনের সময় অক্ষত বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে সরকারের টাকা নয়-ছয়ের কাজ সেখান থেকে শুরু হয়। হাওরে অনেক বাঁধ রয়েছে যেখানে মাটি ভরাট না করে শুধু দুর্বাঘাস পরিষ্কার করে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। সরকারের বেঁধে দেয়া ২৮ ফেব্রুয়ারি কোন বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। আমাদের জরিপে আমরা দেখেছি, সে সময় ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ কাজ হয়েছে। এরপর পাউবো ও প্রশাসন গোপনে ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেন। কিন্তু ৯ মার্চ তারিখ জেলা প্রশাসন ও ডিসি সুনামগঞ্জ ফেসবুক ওয়ালে জানানো হয় যেহেতু সুনামগঞ্জ জেলায় কাবিটা বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এই পর্যায়ে বাঁধের কাজে কোথাও কোন ত্রুটি থাকলে বিস্তারিতসহ পিআইসির নম্বর ও স্থান উল্লেখ করে ইউএনওকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হয়েছে দাবি করলে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের হিসেবে ১০ মার্চ পর্যন্ত ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ কাজ হয়েছে।১০ মার্চ আমাদের বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে হাওরে পাঠিয়ে আমরা দেখেছি অনেক বাঁধে মাটির কাজ হচ্ছে। তবে কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটির কাজ হয়নি। পুরাতন বাঁধকে মেশিন দিয়ে মাটি খুঁড়ে নতুন করার চেষ্টা করা হয়েছে। অধিকাংশ বাঁধেই ঘাস লাগানো ও দুর্মুজ করা হয়নি। তাহলে কিভাবে জেলা প্রশাসন বলছে বাঁধের কাজ শেষ তা আমরা জানি না। আমরা আমাদের সকল উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি ও আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে বুঝতে পারছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি। নির্ধারিত সময় শেষে ১০ মার্চ কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সময়েও হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। ১০ মার্চ হাওড় বাঁচাও আন্দোলন বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন হাওড় পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

back to top