কক্সবাজারের রামুতে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বেশ কয়েকটি ঘটনার পরেও জড়িতরা ধরা না পরায় চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়ভুক্তভোগী জনসাধারণ। এ ছাড়া প্রায় প্রতি রাতেই এলাকার কোথাও না কোথাও বিভিন্ন স্থানে টিউবওয়েলের মাথা, মোটর, ব্যাটারিচালিত অটোবাইক ও গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাত নামলেই আতঙ্কে থাকতে হয়। পুলিশি টহল না থাকার কারণে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় কেউ কেউ থানায় অভিযোগ করলেও অনেক ভুক্তভোগীই ঝামেলা ভেবে পুলিশকে জানান না। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে নিয়মিতই অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শিগগির দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও আশস্ত করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের তৎপরতা বেড়েছে।
গত কয়েক মাসে যেসব অপরাধী চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের অধিকাংশ আবার জামিনে বেরিয়ে গেছে। অন্যদিকে জেল পলাতক দাগী অপরাধীদের পাশাপশি কিশোর গ্যাংয়ের চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ার তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল রামু চাকমারকুল আলী হোসেন সিকদার পাড়ায় লম্বরী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বাড়িতে ৩য় বারের মতো দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়ি তছনছ করে নিয়ে যায় অনেক মালামাল। এর আগেও তার বাড়িতে আরও দুইবার দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছিল। চোর শনাক্ত করাসহ কোনো মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। পরে রামু থানা পুলিশ ২ জন চোরকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।
গত ২৫ এপ্রিল রাতে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বাড়ির পাশে একই গ্রামে স্থানীয় মাসুদুর রহমান সুজনের বাড়িতে হানা দেয় সংঘবদ্ধ চোর। এ সময় পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে জেগে উঠলে চোরেরা পালিয়ে যায়। তার বাড়ি থেকে কোন কিছু নিতে পারেনি।
স্থানীয় মাসুদুর রহমান সুজন বলেন, চুরির সঙ্গে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র জড়িত। চোরেরা আগে থেকেই একটা বাসাকে নির্দিষ্ট করে বসবাসকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। যখন বাসায় কেউ থাকে না, তখন সুযোগ বুঝে চুরি করে। রাতের বেলায় প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। বাসায় ঢুকে সোনা ও টাকা চুরি করার পাশাপাশি টমটম গ্যারেজ থেকে টমটম গাড়ির ব্যাটারি, গোয়ালঘর থেকে গরু নিয়ে যায় চোরেরা। এ কারণে এখানে পুলিশি টহল আরও বাড়ানো উচিত।
রামু উপজেলার বাইপাস ব্রিজ সংলগ্ন হোসেন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে চুরির ঘটনা ঘটেছে। রামু বাইপাস এলাকায় অবস্থিত হোসেন ইন্জিনিয়াররিং ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী লুৎফর রহমান জানান ২১ এপ্রিল সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে দোকানে লাগানো তিনটি তালা ভেঙে চুরের দল ভিতরে প্রবেশ করে। ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল ও ৩০ হাজার ক্যাশ টাকা নিয়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল দিনদুপুরে রামু সিপাহিপাড়ায় দিন-দুপুরে দুর্ধর্ষ চুরি, স্বর্ণ-ল্যাপটপ-নগদ টাকাসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। খবর পেয়ে রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদশন করেন।
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় একটি পেট্রোল পাম্প থেকে চুরি হওয়া প্রায় ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফিলিং স্টেশনের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ মূহুরী পাড়ার মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং রামুর উত্তর ফতেখাঁরকুল গ্রামের মো. নেজাম। দুজনেই চুরির ঘটনার সময় ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেছুয়াপালং এলাকার মেসার্স এশিয়া লিংক পেট্রোলিয়াম ফিলিং স্টেশনের অফিস কক্ষে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
গত ২৩ এপ্রিল রামু উপজেলায় টহলরত পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টাকালে আব্দুর ছফুর নামে ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় ইতোমধ্যে ৭ চোর ও ১ ডাকাতকে আটক এবং ২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রামু উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূণ স্টেশনসহ বাজার ও আশপাশের এলাকায় সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তার করলেও দ্রুতই তারা জামিনে বের হয়ে আবার চুরি-ডাকাতিতে জড়াচ্ছেন বলেও তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চোরদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে, এমন অভিযোগ থানায় কেউ করেননি। তবে কিছুদিন আগে ২ জন চোরকে মোবাইল সহ হাতেনাতে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূণ এলাকায় পুলিশের নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
কক্সবাজারের রামুতে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বেশ কয়েকটি ঘটনার পরেও জড়িতরা ধরা না পরায় চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়ভুক্তভোগী জনসাধারণ। এ ছাড়া প্রায় প্রতি রাতেই এলাকার কোথাও না কোথাও বিভিন্ন স্থানে টিউবওয়েলের মাথা, মোটর, ব্যাটারিচালিত অটোবাইক ও গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাত নামলেই আতঙ্কে থাকতে হয়। পুলিশি টহল না থাকার কারণে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় কেউ কেউ থানায় অভিযোগ করলেও অনেক ভুক্তভোগীই ঝামেলা ভেবে পুলিশকে জানান না। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে নিয়মিতই অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শিগগির দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও আশস্ত করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের তৎপরতা বেড়েছে।
গত কয়েক মাসে যেসব অপরাধী চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের অধিকাংশ আবার জামিনে বেরিয়ে গেছে। অন্যদিকে জেল পলাতক দাগী অপরাধীদের পাশাপশি কিশোর গ্যাংয়ের চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ার তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল রামু চাকমারকুল আলী হোসেন সিকদার পাড়ায় লম্বরী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বাড়িতে ৩য় বারের মতো দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়ি তছনছ করে নিয়ে যায় অনেক মালামাল। এর আগেও তার বাড়িতে আরও দুইবার দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছিল। চোর শনাক্ত করাসহ কোনো মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। পরে রামু থানা পুলিশ ২ জন চোরকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।
গত ২৫ এপ্রিল রাতে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বাড়ির পাশে একই গ্রামে স্থানীয় মাসুদুর রহমান সুজনের বাড়িতে হানা দেয় সংঘবদ্ধ চোর। এ সময় পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে জেগে উঠলে চোরেরা পালিয়ে যায়। তার বাড়ি থেকে কোন কিছু নিতে পারেনি।
স্থানীয় মাসুদুর রহমান সুজন বলেন, চুরির সঙ্গে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র জড়িত। চোরেরা আগে থেকেই একটা বাসাকে নির্দিষ্ট করে বসবাসকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। যখন বাসায় কেউ থাকে না, তখন সুযোগ বুঝে চুরি করে। রাতের বেলায় প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। বাসায় ঢুকে সোনা ও টাকা চুরি করার পাশাপাশি টমটম গ্যারেজ থেকে টমটম গাড়ির ব্যাটারি, গোয়ালঘর থেকে গরু নিয়ে যায় চোরেরা। এ কারণে এখানে পুলিশি টহল আরও বাড়ানো উচিত।
রামু উপজেলার বাইপাস ব্রিজ সংলগ্ন হোসেন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে চুরির ঘটনা ঘটেছে। রামু বাইপাস এলাকায় অবস্থিত হোসেন ইন্জিনিয়াররিং ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী লুৎফর রহমান জানান ২১ এপ্রিল সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে দোকানে লাগানো তিনটি তালা ভেঙে চুরের দল ভিতরে প্রবেশ করে। ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল ও ৩০ হাজার ক্যাশ টাকা নিয়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল দিনদুপুরে রামু সিপাহিপাড়ায় দিন-দুপুরে দুর্ধর্ষ চুরি, স্বর্ণ-ল্যাপটপ-নগদ টাকাসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। খবর পেয়ে রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদশন করেন।
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় একটি পেট্রোল পাম্প থেকে চুরি হওয়া প্রায় ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফিলিং স্টেশনের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ মূহুরী পাড়ার মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং রামুর উত্তর ফতেখাঁরকুল গ্রামের মো. নেজাম। দুজনেই চুরির ঘটনার সময় ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেছুয়াপালং এলাকার মেসার্স এশিয়া লিংক পেট্রোলিয়াম ফিলিং স্টেশনের অফিস কক্ষে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
গত ২৩ এপ্রিল রামু উপজেলায় টহলরত পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টাকালে আব্দুর ছফুর নামে ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় ইতোমধ্যে ৭ চোর ও ১ ডাকাতকে আটক এবং ২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রামু উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূণ স্টেশনসহ বাজার ও আশপাশের এলাকায় সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তার করলেও দ্রুতই তারা জামিনে বের হয়ে আবার চুরি-ডাকাতিতে জড়াচ্ছেন বলেও তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চোরদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে, এমন অভিযোগ থানায় কেউ করেননি। তবে কিছুদিন আগে ২ জন চোরকে মোবাইল সহ হাতেনাতে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূণ এলাকায় পুলিশের নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।