দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ফলের বাগান ও কৃষি খামারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে -সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ফলের বাগান ও কৃষি খামারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। উপজেলায় কৃষি বান্ধব উদ্যোক্তা সমন্বিত কৃষি খামার করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এলাকার বেকার যুবকরা এখন কৃষি খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানি গ্রামের কাজী আনিছুর রহমান,সদর ইউনিয়নের কাঁটাখালী গ্রামে সাদিউল্লা আলম,বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের সুলতান আহমেদ সরদার এবং রনগোপালদী ইউনিয়নের রনগোপালদী গ্রামের শাহ আলমের কৃষি খামার উপজেলাসহ সর্বত্র সাড়া ফেলেছে। বাগান দেখতে এলাকার অনেক দর্শনার্থীর ভিড় চোখে পড়ার মতো।
উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের সফল কৃষক শাহ আলম জোমাদ্দার বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী জাতের আম চাষ করে বাজিমাত করেছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় এবং এসএসিপি-রেইনস প্রকল্পের আওতায় তাকে বিভিন্ন জাতের আমের চারাসহ অন্যান্য উপকরণ প্রদান করা হয়। বর্তমানে বাগানে আমের সমারোহ বিরাজ করছে। অল্প সময়ে এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায় এমন একটি ফল আম। এই আম চাষ করে উপজেলার অনেক বেকার যুবক তাদের সংসারে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দেখা পেয়েছেন। ফল হিসাবে চাহিদা প্রচুর থাকায় দিন দিন আমের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আম চাষ করে শৌখিন চাষী শাহ আলম বাজিমাত করে সাড়া ফেলেছে। কৃষক শাহ আলমের বাগানে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করেছেন। তার বাগানে দেশী-বিদেশী প্রজাতির ৩৩ প্রকারের আম ছাড়াও আ¤্রপালি,বারি-৪ এবং বিদেশী জাতের মধ্যে কিউজাই, ব্যানানা ম্যাগো ও ব্লাকস্টোন অন্যতম। দক্ষিণ রণগোপালদী গ্রামের এই সফল চাষি শাহ আলম জোমাদ্দার জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে ৫০টি চারা রোপন করেছি। বাগানে এখন আমের সমারোহ বিরাজ করছে। বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু ফল আর ফল। এই বছর প্রায় ৫ লাখ টাকার আম বিক্রি হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, এটি এমন একটি ফল যা থেকে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তেমন একটা খরচ এবং পরিশ্রম ছাড়াই জমিতে জৈব সার দিলে এর ফলনে লাভ বেশি হয়। এবার তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে আমের চাষ করেছেন।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, এই আম একটি বিষমুক্ত ফল। অত্র উপজেলায় দিন দিন আম চাষ বাড়ছে। উপকূলের মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী। সকল চাষিদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অত্র উপজেলায় আম চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করা যায়।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ফলের বাগান ও কৃষি খামারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। উপজেলায় কৃষি বান্ধব উদ্যোক্তা সমন্বিত কৃষি খামার করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এলাকার বেকার যুবকরা এখন কৃষি খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানি গ্রামের কাজী আনিছুর রহমান, সদর ইউনিয়নের কাঁটাখালী গ্রামে সাদিউল্লা আলম এবং রনগোপালদী ইউনিয়নের রনগোপালদী গ্রামের শাহ আলমের কৃষি খামার উপজেলাসহ সর্বত্র সাড়া ফেলেছে। বাগান দেখতে এলাকার অনেক দর্শনার্থীর ভিড় চোখে পড়ার মতো।
উপজেলার কাঁটাখালীর গ্রামীন জনপদে সাদিউল্লার ২শ’ ৩০টি মাল্টার গাছ রোপণ করেছে। মাল্টার বাগান করে সে এখন স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছে। মাল্টা বারি-১ উচ্চ ফলনশীল ও নিয়মিত ফলদানকারী ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। পাকা ফল দেখতে আকর্ষণীয় এবং খেতে অনেক সুস্বাদু। ফাগুন মাসের মাঝামাঝি থেকে চৈত্র মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে মাল্টা গাছে ফুল আসা শুরু হয় এবং কার্তিক মাসে ফলন আহরণের উপযোগী হয়ে ওঠে। ফলনের প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেকটি গাছে ৭০-৮০টি ফল ধরে এবং পূর্ণাঙ্গ বয়সে ১৫০-২০০টি ফল ধরে যা স্থানীয় বাজারে এগুলো বিক্রি করা হয়ে থাকে।
দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে সাদিউল্লা আলম তার পৈত্রিক ৭ একর জমিতে ৩-৪ বছর আগে দুই প্রজাতির মাল্টা বারি-১ ও পাকিস্তানি ২৩০টি মাল্টার চারা রোপণ করেন। পাশাপাশি একই জায়গায় অর্ধশতাধিক জারা লেবুর চারা, ১৫০টি পেঁপের চারা ও ২০টি ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করেন। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের সফল কৃষক সুলতান আহমেদ সরদারের ৩ একর জমিতে আম বাগানে প্রায় ৩০ প্রকার দেশী-বিদেশী প্রজাতির আম রয়েছে। আম গাছের ধোকায় ধোকায় কাঁচা পাকা আম ঝুলছে। সুলতান সরদারের আম বাগান দেখে অনেকেই বাগান তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, এই আম একটি বিষমুক্ত ফল। অত্র উপজেলায় দিন দিন আম চাষ বাড়ছে। উপকূলের মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী। সকল চাষিদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অত্র উপজেলায় আমসহ অন্যান্য ফল চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করা যায়।
দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ফলের বাগান ও কৃষি খামারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে -সংবাদ
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ফলের বাগান ও কৃষি খামারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। উপজেলায় কৃষি বান্ধব উদ্যোক্তা সমন্বিত কৃষি খামার করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এলাকার বেকার যুবকরা এখন কৃষি খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানি গ্রামের কাজী আনিছুর রহমান,সদর ইউনিয়নের কাঁটাখালী গ্রামে সাদিউল্লা আলম,বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের সুলতান আহমেদ সরদার এবং রনগোপালদী ইউনিয়নের রনগোপালদী গ্রামের শাহ আলমের কৃষি খামার উপজেলাসহ সর্বত্র সাড়া ফেলেছে। বাগান দেখতে এলাকার অনেক দর্শনার্থীর ভিড় চোখে পড়ার মতো।
উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের সফল কৃষক শাহ আলম জোমাদ্দার বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী জাতের আম চাষ করে বাজিমাত করেছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় এবং এসএসিপি-রেইনস প্রকল্পের আওতায় তাকে বিভিন্ন জাতের আমের চারাসহ অন্যান্য উপকরণ প্রদান করা হয়। বর্তমানে বাগানে আমের সমারোহ বিরাজ করছে। অল্প সময়ে এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায় এমন একটি ফল আম। এই আম চাষ করে উপজেলার অনেক বেকার যুবক তাদের সংসারে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দেখা পেয়েছেন। ফল হিসাবে চাহিদা প্রচুর থাকায় দিন দিন আমের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আম চাষ করে শৌখিন চাষী শাহ আলম বাজিমাত করে সাড়া ফেলেছে। কৃষক শাহ আলমের বাগানে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করেছেন। তার বাগানে দেশী-বিদেশী প্রজাতির ৩৩ প্রকারের আম ছাড়াও আ¤্রপালি,বারি-৪ এবং বিদেশী জাতের মধ্যে কিউজাই, ব্যানানা ম্যাগো ও ব্লাকস্টোন অন্যতম। দক্ষিণ রণগোপালদী গ্রামের এই সফল চাষি শাহ আলম জোমাদ্দার জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে ৫০টি চারা রোপন করেছি। বাগানে এখন আমের সমারোহ বিরাজ করছে। বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু ফল আর ফল। এই বছর প্রায় ৫ লাখ টাকার আম বিক্রি হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, এটি এমন একটি ফল যা থেকে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তেমন একটা খরচ এবং পরিশ্রম ছাড়াই জমিতে জৈব সার দিলে এর ফলনে লাভ বেশি হয়। এবার তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে আমের চাষ করেছেন।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, এই আম একটি বিষমুক্ত ফল। অত্র উপজেলায় দিন দিন আম চাষ বাড়ছে। উপকূলের মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী। সকল চাষিদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অত্র উপজেলায় আম চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করা যায়।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ফলের বাগান ও কৃষি খামারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। উপজেলায় কৃষি বান্ধব উদ্যোক্তা সমন্বিত কৃষি খামার করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এলাকার বেকার যুবকরা এখন কৃষি খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানি গ্রামের কাজী আনিছুর রহমান, সদর ইউনিয়নের কাঁটাখালী গ্রামে সাদিউল্লা আলম এবং রনগোপালদী ইউনিয়নের রনগোপালদী গ্রামের শাহ আলমের কৃষি খামার উপজেলাসহ সর্বত্র সাড়া ফেলেছে। বাগান দেখতে এলাকার অনেক দর্শনার্থীর ভিড় চোখে পড়ার মতো।
উপজেলার কাঁটাখালীর গ্রামীন জনপদে সাদিউল্লার ২শ’ ৩০টি মাল্টার গাছ রোপণ করেছে। মাল্টার বাগান করে সে এখন স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছে। মাল্টা বারি-১ উচ্চ ফলনশীল ও নিয়মিত ফলদানকারী ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। পাকা ফল দেখতে আকর্ষণীয় এবং খেতে অনেক সুস্বাদু। ফাগুন মাসের মাঝামাঝি থেকে চৈত্র মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে মাল্টা গাছে ফুল আসা শুরু হয় এবং কার্তিক মাসে ফলন আহরণের উপযোগী হয়ে ওঠে। ফলনের প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেকটি গাছে ৭০-৮০টি ফল ধরে এবং পূর্ণাঙ্গ বয়সে ১৫০-২০০টি ফল ধরে যা স্থানীয় বাজারে এগুলো বিক্রি করা হয়ে থাকে।
দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে সাদিউল্লা আলম তার পৈত্রিক ৭ একর জমিতে ৩-৪ বছর আগে দুই প্রজাতির মাল্টা বারি-১ ও পাকিস্তানি ২৩০টি মাল্টার চারা রোপণ করেন। পাশাপাশি একই জায়গায় অর্ধশতাধিক জারা লেবুর চারা, ১৫০টি পেঁপের চারা ও ২০টি ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করেন। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের সফল কৃষক সুলতান আহমেদ সরদারের ৩ একর জমিতে আম বাগানে প্রায় ৩০ প্রকার দেশী-বিদেশী প্রজাতির আম রয়েছে। আম গাছের ধোকায় ধোকায় কাঁচা পাকা আম ঝুলছে। সুলতান সরদারের আম বাগান দেখে অনেকেই বাগান তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, এই আম একটি বিষমুক্ত ফল। অত্র উপজেলায় দিন দিন আম চাষ বাড়ছে। উপকূলের মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী। সকল চাষিদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অত্র উপজেলায় আমসহ অন্যান্য ফল চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করা যায়।