শ্রীমঙ্গল : বিক্রির জন্য কাঁঠালের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা -সংবাদ
শ্রীমঙ্গল উপজেলাসহ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা উপজেলার চা বাগান ও পাহাড়ে এলাকায় প্রতিটি গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল। জেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে, পাহাড়, টিলা ও জঙ্গলের ভেতরে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল। গাছের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল। যদিও পুরো পাকাপোক্ত কাঁঠাল হওয়ার সময় বাকি রয়েছে প্রায় আরও ২ মাস।
জ্যৈষ্ঠ মাস পেরিয়ে আষাঢ় মাস এলেই মনকাড়া লোভনীয় কাঁঠালের গন্ধে মুখর হয়ে উঠবে প্রতিটি বাড়ির আঙিনা ও হাট-বাজার। ইতোমধ্যে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। পাইকাররা গ্রামে এসে আগামভাবে কিনে রাখা কাঁঠালের বাগানের কিছু কিছু গাছ থেকে কাঁঠাল কাটা শুরু করেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর গ্রামের নিজাম উদ্দিন জানান, ‘বাজারে কাঁচা কাঁঠালের বাজারদর ভালো হওয়ায় তিনি আগে ভাগেই বিক্রি করে দিয়ে লাভবান হয়েছেন। স্থানীয় খুচরা বাজারেও কাঁঠাল বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, কাঁঠালের বিচি এখানকার মানুষের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ তরকারি। বিশেষ করে কাঠালের বিচ দিয়ে শুটকি ভর্তা অত্যন্ত প্রিয় সকলের। বিভিন্ন ধরনের শাক ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে রান্না করা তরকারি এখানকার মানুষ তৃপ্তির সঙ্গে ভাত খেতে পারেন।’
পৌর এলাকার চণ্ডীপুর গ্রামের কৃষক খালেদ আহমদ জানান, এবার আমের ফলন কম হওয়ায় স্থানীয় বাজারে কাঁঠালের চাহিদা বেশি। তাই ভালো দামেই কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। গ্রামে পাইকারি এসে কাঠাল কিনছেন। তারা তা বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
মাধবপুর ইউনিয়নের টিলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নয়ন মিয়া জানান, তাদের ১২টি গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। এগুলো পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে, মৌসুমি ফলের উপহার হিসেবে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠানো হয়। যাদের গাছ নেই তারাও নিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার জয়েন্ত কুমার রায় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, উপজেলার ভূমি সমতল ও বেলে-দোঁআশ হাওয়ায় কাঁঠাল চাষে খুবই উপযোগী। চলতি বছর কাঁঠালের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি গাছে নজরকাড়া কাঁঠাল এসেছে। ‘কাঁঠাল গ্রাম বাংলার একটি জনপ্রিয় ফল। এটি অত্যাধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জাতীয় ফল।
শ্রীমঙ্গল : বিক্রির জন্য কাঁঠালের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা -সংবাদ
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
শ্রীমঙ্গল উপজেলাসহ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা উপজেলার চা বাগান ও পাহাড়ে এলাকায় প্রতিটি গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল। জেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে, পাহাড়, টিলা ও জঙ্গলের ভেতরে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল। গাছের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল। যদিও পুরো পাকাপোক্ত কাঁঠাল হওয়ার সময় বাকি রয়েছে প্রায় আরও ২ মাস।
জ্যৈষ্ঠ মাস পেরিয়ে আষাঢ় মাস এলেই মনকাড়া লোভনীয় কাঁঠালের গন্ধে মুখর হয়ে উঠবে প্রতিটি বাড়ির আঙিনা ও হাট-বাজার। ইতোমধ্যে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। পাইকাররা গ্রামে এসে আগামভাবে কিনে রাখা কাঁঠালের বাগানের কিছু কিছু গাছ থেকে কাঁঠাল কাটা শুরু করেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর গ্রামের নিজাম উদ্দিন জানান, ‘বাজারে কাঁচা কাঁঠালের বাজারদর ভালো হওয়ায় তিনি আগে ভাগেই বিক্রি করে দিয়ে লাভবান হয়েছেন। স্থানীয় খুচরা বাজারেও কাঁঠাল বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, কাঁঠালের বিচি এখানকার মানুষের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ তরকারি। বিশেষ করে কাঠালের বিচ দিয়ে শুটকি ভর্তা অত্যন্ত প্রিয় সকলের। বিভিন্ন ধরনের শাক ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে রান্না করা তরকারি এখানকার মানুষ তৃপ্তির সঙ্গে ভাত খেতে পারেন।’
পৌর এলাকার চণ্ডীপুর গ্রামের কৃষক খালেদ আহমদ জানান, এবার আমের ফলন কম হওয়ায় স্থানীয় বাজারে কাঁঠালের চাহিদা বেশি। তাই ভালো দামেই কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। গ্রামে পাইকারি এসে কাঠাল কিনছেন। তারা তা বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
মাধবপুর ইউনিয়নের টিলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নয়ন মিয়া জানান, তাদের ১২টি গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। এগুলো পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে, মৌসুমি ফলের উপহার হিসেবে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠানো হয়। যাদের গাছ নেই তারাও নিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার জয়েন্ত কুমার রায় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, উপজেলার ভূমি সমতল ও বেলে-দোঁআশ হাওয়ায় কাঁঠাল চাষে খুবই উপযোগী। চলতি বছর কাঁঠালের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি গাছে নজরকাড়া কাঁঠাল এসেছে। ‘কাঁঠাল গ্রাম বাংলার একটি জনপ্রিয় ফল। এটি অত্যাধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জাতীয় ফল।