উপকূলীয় জেলা হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর বড়ষ্টেশন মাছঘাট। ইলিশের আমদানি কমে যাওয়ায় মিলছে না কেজি দরে ইলিশের ডিম। এতে করে টাকা নিয়ে এলেও ইলিশের ডিম না পেয়ে হতাশা হয়ে ফিরছেন ইলিশের ডিম খেতে ইচ্ছুক ক্রেতারা।
গত ১৯ জুন বুধবার সন্ধ্যায় ইলিশের ডিম না থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার।
তিনি বলেন, এখন ইলিশ কম এবং দামও তুলনামূলক বেশি। ঘাটে যে পরিমাণ ইলিশ আসার কথা তা এখনো আসা শুরু হয়নি। তাই এই সময়ে এত দাম দিয়ে কেউ ইলিশের ডিম বের করে বিক্রি করার সাহস করছে না। তবে ডিমওয়ালা কিছু বড় ইলিশ রয়েছে। কেউ চাইলে সেই ইলিশগুলো কিনে নিজের ডিম খাওয়ার শখ পূরণ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, এক কেজি ডিম বের করতে হলে কমপক্ষে ১০/১২ কেজি ইলিশ কিনতে হবে। তাছাড়া এখনো মাছঘাটে চারদিকের ইলিশ আসা শুরু হয়নি। হয়তো আর মাসখানেক পর যখন সবদিকের ইলিশ ঘাটে আসবে। তখন মণপ্রতি ইলিশের দাম কমবে। সে সময় আবার ইলিশের ডিম বের করা শুরু হলে পুরোদমে তা পাবেন ক্রেতারা।
ইলিশের ডিম খেতে পছন্দ সাইয়ান চৌধুরী নামের একজন ক্রেতা জানান, অনেক আশা নিয়ে ঘাটে এসেছি ইলিশের ডিম কিনতে। কিন্তু দুঃখজনক। টাকা নিয়ে এসেও ইলিশের ডিমের দেখা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছি।
এর আগে প্রতি মৌসুমেই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের পাশাপাশি ইলিশের ডিমের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দামও হু হু করে বাড়ানো হয়। এতে ইলিশের ডিম কেজিপ্রতি ৩ হাজার ৩শ’ হতে ৩ হাজার ৬শ’ টাকা হয়ে থাকে।
হাজী আ. মালেক খন্দকার মৎস্য আড়তের ও মাহম্মদুল্লা খান লোনা এবং ডিম সংরক্ষণ ঘরের কর্মচারীরা বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কম। এই ইলিশের থেকে প্রতি মণে ৫/৬ কেজি করে ডিম বের করা হতো- যা একে বারেই কম।
তাই ক্রেতাদের চাহিদা মিটাতে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কম বলেই দক্ষিণাঞ্চলের ৩ ও ৪ নাম্বার ইলিশের ডিম দিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হয়। তবে এখন ইলিশের ডিম বের করার কাজ নেই। হয়তো কিছুদিন পর আবার এ কাজ শুরু হবে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী হাতিয়া, পটুয়াখালী, ভোলা সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার জেলেদের জালে ব্যাপক ইলিশ ধরা পড়লে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসা ফিসিং বোটগুলোর কিছু অংশ যারা চাঁদপুর থেকে দাদন নিয়েছে শত শত মন ইলিশ বিক্রি করার জন্য চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে আসতো। এখন সেই দৃশ্য চাঁদপুরের অতীত স্মৃতি হিসেবে দেখছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল।
গত কয়েক বছর যাবত নামার ইলিশের আমদানি একেবারে নেই বললেই চলে। আগে সাগরের সেই ইলিশ তিন ভাবে বিক্রি হতো। যেগুলো একটু শক্ত ইলিশ আড়তে বিক্রি হতো দুইভাবে। তিন নম্বর অর্থাৎ নরম ইলিশ কেটে লবন দেয়া এবং কাটা সেই ইলিশের ডিম ছাড়ানো হতো আরেকভাবে। এভাবেই চলতো শক্ত ও নরম ইলিশের ক্রয় বিক্রয়। অনেকে বলে থাকেন পচা ইলিশ কেটে কেজি দরে বিক্রির জন্য ডিম আলাদা করা হতো।
ইলিশের ডিম খেতে অনেক সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মাছের আমদানি থাকলেতো ইলিশের ডিমের দেখা মিলবে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
উপকূলীয় জেলা হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর বড়ষ্টেশন মাছঘাট। ইলিশের আমদানি কমে যাওয়ায় মিলছে না কেজি দরে ইলিশের ডিম। এতে করে টাকা নিয়ে এলেও ইলিশের ডিম না পেয়ে হতাশা হয়ে ফিরছেন ইলিশের ডিম খেতে ইচ্ছুক ক্রেতারা।
গত ১৯ জুন বুধবার সন্ধ্যায় ইলিশের ডিম না থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার।
তিনি বলেন, এখন ইলিশ কম এবং দামও তুলনামূলক বেশি। ঘাটে যে পরিমাণ ইলিশ আসার কথা তা এখনো আসা শুরু হয়নি। তাই এই সময়ে এত দাম দিয়ে কেউ ইলিশের ডিম বের করে বিক্রি করার সাহস করছে না। তবে ডিমওয়ালা কিছু বড় ইলিশ রয়েছে। কেউ চাইলে সেই ইলিশগুলো কিনে নিজের ডিম খাওয়ার শখ পূরণ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, এক কেজি ডিম বের করতে হলে কমপক্ষে ১০/১২ কেজি ইলিশ কিনতে হবে। তাছাড়া এখনো মাছঘাটে চারদিকের ইলিশ আসা শুরু হয়নি। হয়তো আর মাসখানেক পর যখন সবদিকের ইলিশ ঘাটে আসবে। তখন মণপ্রতি ইলিশের দাম কমবে। সে সময় আবার ইলিশের ডিম বের করা শুরু হলে পুরোদমে তা পাবেন ক্রেতারা।
ইলিশের ডিম খেতে পছন্দ সাইয়ান চৌধুরী নামের একজন ক্রেতা জানান, অনেক আশা নিয়ে ঘাটে এসেছি ইলিশের ডিম কিনতে। কিন্তু দুঃখজনক। টাকা নিয়ে এসেও ইলিশের ডিমের দেখা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছি।
এর আগে প্রতি মৌসুমেই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের পাশাপাশি ইলিশের ডিমের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দামও হু হু করে বাড়ানো হয়। এতে ইলিশের ডিম কেজিপ্রতি ৩ হাজার ৩শ’ হতে ৩ হাজার ৬শ’ টাকা হয়ে থাকে।
হাজী আ. মালেক খন্দকার মৎস্য আড়তের ও মাহম্মদুল্লা খান লোনা এবং ডিম সংরক্ষণ ঘরের কর্মচারীরা বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কম। এই ইলিশের থেকে প্রতি মণে ৫/৬ কেজি করে ডিম বের করা হতো- যা একে বারেই কম।
তাই ক্রেতাদের চাহিদা মিটাতে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কম বলেই দক্ষিণাঞ্চলের ৩ ও ৪ নাম্বার ইলিশের ডিম দিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হয়। তবে এখন ইলিশের ডিম বের করার কাজ নেই। হয়তো কিছুদিন পর আবার এ কাজ শুরু হবে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী হাতিয়া, পটুয়াখালী, ভোলা সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার জেলেদের জালে ব্যাপক ইলিশ ধরা পড়লে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসা ফিসিং বোটগুলোর কিছু অংশ যারা চাঁদপুর থেকে দাদন নিয়েছে শত শত মন ইলিশ বিক্রি করার জন্য চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে আসতো। এখন সেই দৃশ্য চাঁদপুরের অতীত স্মৃতি হিসেবে দেখছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল।
গত কয়েক বছর যাবত নামার ইলিশের আমদানি একেবারে নেই বললেই চলে। আগে সাগরের সেই ইলিশ তিন ভাবে বিক্রি হতো। যেগুলো একটু শক্ত ইলিশ আড়তে বিক্রি হতো দুইভাবে। তিন নম্বর অর্থাৎ নরম ইলিশ কেটে লবন দেয়া এবং কাটা সেই ইলিশের ডিম ছাড়ানো হতো আরেকভাবে। এভাবেই চলতো শক্ত ও নরম ইলিশের ক্রয় বিক্রয়। অনেকে বলে থাকেন পচা ইলিশ কেটে কেজি দরে বিক্রির জন্য ডিম আলাদা করা হতো।
ইলিশের ডিম খেতে অনেক সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মাছের আমদানি থাকলেতো ইলিশের ডিমের দেখা মিলবে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।