নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি -সংবাদ
প্রমত্তা মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ তিনটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। গত পাঁচ বছরে মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে ১৫ কিলোমিটার এলাকা। ব্রহ্মণবাড়িয়া-কিশোরগঞ্জ- নরসিংদী এলাকায় ভাঙ্গনের খেলা চলছে গত ৪০ বছর ধরে । প্রতি বছর দু/একটি গ্রাম গ্রাস করে চলছে সর্বগ্রাসী মেঘনা ,বাড়ছে উদ্বাস্ত ও ছিন্নমূল এর সংখ্যা। ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে অসংখ্য পরিবার ,নিঃস্ব পরিবার গুলো আজ বহু কষ্টে দিন যাপন করছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরে ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে-বাইশমৌজা, গাছতলা, চর কেদেরখলা, দূর্গারামপুর ,নয়াহাটি, মানিকনগর, নাসিরাবাদ, ধরাভাঙ্গা, কোনাপাড়া সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার- উলুকান্দি, পশ্চিম দরিয়াদৌলত, তেজখালী প্রভৃতি ইউনিয়নের আটটি গ্রামের অস্তিত্ব বর্তমানে চরম হুমকির সম্মুখীন। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার- সওদাগরকান্দি, চরমোদ্দা, মির্জ্জরচর , শান্তি নগর ,নীলক্ষী গ্রামের অন্তত ৫ হাজার অধিবাসীর বাড়ি ঘর বিলীন হয়েছে। নরসিংদী জেলার করিমপুর ,নজরজলদি ,আলমপুর সহ ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার পরিবারের ভিটামাটি হারিয়ে গেছে নদী গর্ভে। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কয়েকটি গ্রাম বিলীন হতে যাচ্ছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আগামী দুই/এক বছরের মধ্যে নবীনগর উপজেলার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার সহ আরো কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই ভাঙ্গনের ভয়াবহতা চরম আকার ধারণ করে। এ দিকে নদী ভাঙ্গনের উভয় পাড়ের এলাকাবাসী জানান- মেঘনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উওোলন করায় মেঘনা নদী বেশী করে ভাঙ্গছে। গত বছর নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনা বালুয়া গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই ভাঙন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদে কয়েক বার ভাঙ্গণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ জরুরি প্রদক্ষেপ গ্রহণ ও পুনর্বাসন এর আবেদন জানানো হলে । গত দুই বছর আগে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ হতে মানিকনগর বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ দেওয়া হয়েছে এবং নুরজাহানপুর- মুক্তারামপুরে ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এদিকে মেঘনা পাড়ের এলাকাবাসী জানান, সরকারের জরুরি প্রদক্ষেপ নিয়ে পুনর্বাসন দিয়ে তাদেরকে বাচিয়ে রাখার জন্য।
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি -সংবাদ
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
প্রমত্তা মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ তিনটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। গত পাঁচ বছরে মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে ১৫ কিলোমিটার এলাকা। ব্রহ্মণবাড়িয়া-কিশোরগঞ্জ- নরসিংদী এলাকায় ভাঙ্গনের খেলা চলছে গত ৪০ বছর ধরে । প্রতি বছর দু/একটি গ্রাম গ্রাস করে চলছে সর্বগ্রাসী মেঘনা ,বাড়ছে উদ্বাস্ত ও ছিন্নমূল এর সংখ্যা। ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে অসংখ্য পরিবার ,নিঃস্ব পরিবার গুলো আজ বহু কষ্টে দিন যাপন করছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরে ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে-বাইশমৌজা, গাছতলা, চর কেদেরখলা, দূর্গারামপুর ,নয়াহাটি, মানিকনগর, নাসিরাবাদ, ধরাভাঙ্গা, কোনাপাড়া সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার- উলুকান্দি, পশ্চিম দরিয়াদৌলত, তেজখালী প্রভৃতি ইউনিয়নের আটটি গ্রামের অস্তিত্ব বর্তমানে চরম হুমকির সম্মুখীন। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার- সওদাগরকান্দি, চরমোদ্দা, মির্জ্জরচর , শান্তি নগর ,নীলক্ষী গ্রামের অন্তত ৫ হাজার অধিবাসীর বাড়ি ঘর বিলীন হয়েছে। নরসিংদী জেলার করিমপুর ,নজরজলদি ,আলমপুর সহ ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার পরিবারের ভিটামাটি হারিয়ে গেছে নদী গর্ভে। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কয়েকটি গ্রাম বিলীন হতে যাচ্ছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আগামী দুই/এক বছরের মধ্যে নবীনগর উপজেলার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার সহ আরো কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই ভাঙ্গনের ভয়াবহতা চরম আকার ধারণ করে। এ দিকে নদী ভাঙ্গনের উভয় পাড়ের এলাকাবাসী জানান- মেঘনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উওোলন করায় মেঘনা নদী বেশী করে ভাঙ্গছে। গত বছর নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনা বালুয়া গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই ভাঙন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদে কয়েক বার ভাঙ্গণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ জরুরি প্রদক্ষেপ গ্রহণ ও পুনর্বাসন এর আবেদন জানানো হলে । গত দুই বছর আগে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ হতে মানিকনগর বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ দেওয়া হয়েছে এবং নুরজাহানপুর- মুক্তারামপুরে ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এদিকে মেঘনা পাড়ের এলাকাবাসী জানান, সরকারের জরুরি প্রদক্ষেপ নিয়ে পুনর্বাসন দিয়ে তাদেরকে বাচিয়ে রাখার জন্য।