ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিদ্যালয়ের চেয়ার টেবিল, বেঞ্চ সবই আছে, নেই শুধু শিক্ষার্থী । জামালপুরের মাদারগঞ্জে চরপাকেরদহ ইউনিয়নে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক অফিস কক্ষে বসে খোশ গল্প করছেন। বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী নেই। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল চলে গেছে। হাজিরা খাতায় কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নেই। ক্লাসরুমও ফাঁকা।
প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনকে ২ জন সহকারী শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ১ জন বিদ্যালয়ে আসেননি। তিনি এ বিষয়ে কোন কিছু জানেন না। অন্য ১ জন টিচার্স ট্রেনিং এ আছেন। পরে বাধ্য হয়ে ঐ ১ জন শিক্ষকে ফোন করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ঐ শিক্ষক হাজির হলে তাদের মধ্যে উচ্চ বাক্য কথা কাটা কাটি শুরু হয়। সাংবাদিককে দেখে টেবিল থেকে শিক্ষার্থী হাজিরা খাতা নিয়ে নিজে নিজে একটা করে নাম বলতে থাকে এবং শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় টিক চিহ্ন দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে স্কুল সংলগ্ন বাসিন্দা শাহালী প্রামাণিক সংবাদকে বলেন, এখানে কোন শিক্ষার্থী নেই। স্কুলে শিক্ষকরা নিয়মিত উপস্থিত থাকে না । এই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী না থাকলেও সেখানে আরও একটি দ্বিতীয় তলা পাকা ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হবার পথে। পাকরুল সূর্য্য মূখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৪ জন শিক্ষক। কাগজে কলমে হিসাব ঠিকই আছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিদ্যালয়ের চেয়ার টেবিল, বেঞ্চ সবই আছে, নেই শুধু শিক্ষার্থী । জামালপুরের মাদারগঞ্জে চরপাকেরদহ ইউনিয়নে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক অফিস কক্ষে বসে খোশ গল্প করছেন। বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী নেই। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল চলে গেছে। হাজিরা খাতায় কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নেই। ক্লাসরুমও ফাঁকা।
প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনকে ২ জন সহকারী শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ১ জন বিদ্যালয়ে আসেননি। তিনি এ বিষয়ে কোন কিছু জানেন না। অন্য ১ জন টিচার্স ট্রেনিং এ আছেন। পরে বাধ্য হয়ে ঐ ১ জন শিক্ষকে ফোন করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ঐ শিক্ষক হাজির হলে তাদের মধ্যে উচ্চ বাক্য কথা কাটা কাটি শুরু হয়। সাংবাদিককে দেখে টেবিল থেকে শিক্ষার্থী হাজিরা খাতা নিয়ে নিজে নিজে একটা করে নাম বলতে থাকে এবং শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় টিক চিহ্ন দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে স্কুল সংলগ্ন বাসিন্দা শাহালী প্রামাণিক সংবাদকে বলেন, এখানে কোন শিক্ষার্থী নেই। স্কুলে শিক্ষকরা নিয়মিত উপস্থিত থাকে না । এই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী না থাকলেও সেখানে আরও একটি দ্বিতীয় তলা পাকা ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হবার পথে। পাকরুল সূর্য্য মূখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৪ জন শিক্ষক। কাগজে কলমে হিসাব ঠিকই আছে।