ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি আবারও বাড়ছে। মাঝে কিছুদিন মন্দাবস্থা থাকার পর গতি ফিরছে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগষ্ট) কৃষিপণ্যে রপ্তানি আয় এসেছে প্রায় ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৬৬ লাখ ডলার।
এ সময়ে বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তামাকপণ্য থেকে। এ খাতে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ৯৩ শতাংশ। তামাকপণ্য থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৫ কোটি ডলারের বেশি।
গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অন্যান্য কৃষিপণ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের। তবে তা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের শুকনো খাবার।
বিভিন্ন ধরনের সবজি রপ্তানি করে এ বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে ১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ২৩ লাখ ডলারের। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সবজি রপ্তানি বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের ফল রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি হওয়া অন্যান্য কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে মসলা, তেলবীজ, পান, এনিমেল ও ভ্যাজিটেবল ফ্যাট, চিনি ও কনফেকশনারি পণ্য, চা ইত্যাদি।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় প্রথমবারের মত এক বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। রপ্তানি হয় প্রায় ১০৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয় ১৯ শতাংশের বেশি। এ ধারা অব্যাহত থাকে পরের বছরও। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১১৬ কোটি ডলারের মতো কৃষিপণ্য রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে।
রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আসে ১৩ শতাংশ। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে এর পরের অর্থবছর। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় কৃষিপণ্য রপ্তানি ২৭ শতাংশ কমে যায়। রপ্তানি হয় ৮৪ কোটি ডলারের পণ্য। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আবার কিছুটা বেড়ে হয় ৯৬ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি আসে ১৬ শতাংশ।
এরপর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বেশ খানিকটা সময় জুড়ে নানা কারণে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে মন্দাবস্থা দেখা যায়।
টানা কয়েক মাস রপ্তানি কমে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত অর্থবছরটিতে প্রায় ৯৯ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা আড়াই শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও এ খাতে রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি আবারও বাড়ছে। মাঝে কিছুদিন মন্দাবস্থা থাকার পর গতি ফিরছে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগষ্ট) কৃষিপণ্যে রপ্তানি আয় এসেছে প্রায় ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৬৬ লাখ ডলার।
এ সময়ে বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তামাকপণ্য থেকে। এ খাতে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ৯৩ শতাংশ। তামাকপণ্য থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৫ কোটি ডলারের বেশি।
গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অন্যান্য কৃষিপণ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের। তবে তা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের শুকনো খাবার।
বিভিন্ন ধরনের সবজি রপ্তানি করে এ বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে ১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ২৩ লাখ ডলারের। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সবজি রপ্তানি বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের ফল রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি হওয়া অন্যান্য কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে মসলা, তেলবীজ, পান, এনিমেল ও ভ্যাজিটেবল ফ্যাট, চিনি ও কনফেকশনারি পণ্য, চা ইত্যাদি।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় প্রথমবারের মত এক বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। রপ্তানি হয় প্রায় ১০৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয় ১৯ শতাংশের বেশি। এ ধারা অব্যাহত থাকে পরের বছরও। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১১৬ কোটি ডলারের মতো কৃষিপণ্য রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে।
রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আসে ১৩ শতাংশ। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে এর পরের অর্থবছর। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় কৃষিপণ্য রপ্তানি ২৭ শতাংশ কমে যায়। রপ্তানি হয় ৮৪ কোটি ডলারের পণ্য। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আবার কিছুটা বেড়ে হয় ৯৬ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি আসে ১৬ শতাংশ।
এরপর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বেশ খানিকটা সময় জুড়ে নানা কারণে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে মন্দাবস্থা দেখা যায়।
টানা কয়েক মাস রপ্তানি কমে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত অর্থবছরটিতে প্রায় ৯৯ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা আড়াই শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও এ খাতে রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে।