ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের অন্তারমোড়-রাখালগাছি খেয়াঘাট নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থানীয় প্রশাসন ইজারা প্রদান করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন পাটনি সম্প্রদায়ের বিষ্ণ চৌধুরী। তিনি দাবি করেন তার দাদু দারিক নাথ চৌধুরী, তার পিতা ভগবান চৌধুরীসহ তার পূর্ব পুরুষ পাটনি সম্প্রদায় হিসেবে শত শত বছর ধরে এই খেয়াঘাট পরিচালনা করে আসছিলেন।
জমিদারী প্রথা চলাকালে তেওতা জমিদারদের কাছ থেকে তার পূর্ব পুরুষ, পরে তার বাবা ভগবান চৌধুরী, তার পর তিনি দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা গ্রহণ করে পরিচালনা করে আসছিলেন। বিগত বছরে মাত্র ৪৫ হাজার টাকায় তিনি ইজারা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, কিন্তু ২০২৫ সালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান ইজারা কার্যক্রম নিজ দপ্তরে নিয়ে আসেন।
ইজারা প্রদানে শর্ত আছে যে পাটনি সম্পদায়ের কোন প্রতিনিধি থাকলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে তাকে খেয়াঘাটের ইজারা প্রদান করতে হবে। আমি পাটনি সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও নিময়তান্ত্রিক ইজারায় অংশ নেই। এ ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা সরকারি ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা থকলেও এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা দরপরত্র জমা দেই। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জান ইউএনও মহোদয়ের কথা বলে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। অনেক কষ্ট করে বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে এবং নিজের রুটি-রুজি ঠিক রাখতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের কাছে ২ লাখ টাকা তুলে দেন। তারপরও তিনি ওই খেয়াঘাটের ইজারা পাননি। পরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ওই ২ লাখ টাকা তাকে ফেরত দেন। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন,
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ইজারা পাওয়া ব্যাক্তি পাটনি সম্প্রদায়ের কোন মানুষ না। পক্ষান্তরে আমি জন্মগত ভাবে পাটনি সম্প্রদায়ের জনগেষ্ঠির মানুষ। আমার অনুকুলে ওই খেয়াঘাটের লীজ প্রদান না করায় আমি মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৬৩৭১/২৫ রিট পিটিশন দায়ের করি। পরবর্তীতে রিভিউ শনানিতে ২৯/০৭/২০২৫ তারিখ থেকে ৩ মাসের জন্য ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করেন।
কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে মো. মিনাল শেখ নামে এক ব্যাক্তিকে ইজারা প্রদান করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দেবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. ইসমাইল হোসনে, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান মোল্লা। এ সময় তারাও দাবি করেন, যুগ যুগ ধরে ভগবান চৌধুরীর উত্তরসরী হিসেনে বিষ্ণ চৌধুরী অন্তারমোড়-রাখালগাছি খেয়া ঘাট পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এবছর উপজেলা প্রশাসন অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে স্থানীয় মো. মিনাল শেখকে ইজারা দিয়েছেন। এটা খুবই নিন্দনীয় কাজ বলে আমরা মনে করি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিষ্ণ চৌধুরী যে পাটনি সম্প্রদায়ের লোক, তার কোন প্রমাণ তিনি হাজির করতে পারেননি। এ সংক্রান্ত কোন সার্টিফিকেট অথবা দালিলিক প্রমান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কথা বলে কেউ টাকা নিয়েছে, সে বিষয়ে আমার জানা নেই। এর আগে এ ধরনের কোন অভিযোগও পাইনি। এ ধরনে অভিযোগের কোন প্রমান থাকলে আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে পারেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের অন্তারমোড়-রাখালগাছি খেয়াঘাট নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থানীয় প্রশাসন ইজারা প্রদান করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন পাটনি সম্প্রদায়ের বিষ্ণ চৌধুরী। তিনি দাবি করেন তার দাদু দারিক নাথ চৌধুরী, তার পিতা ভগবান চৌধুরীসহ তার পূর্ব পুরুষ পাটনি সম্প্রদায় হিসেবে শত শত বছর ধরে এই খেয়াঘাট পরিচালনা করে আসছিলেন।
জমিদারী প্রথা চলাকালে তেওতা জমিদারদের কাছ থেকে তার পূর্ব পুরুষ, পরে তার বাবা ভগবান চৌধুরী, তার পর তিনি দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা গ্রহণ করে পরিচালনা করে আসছিলেন। বিগত বছরে মাত্র ৪৫ হাজার টাকায় তিনি ইজারা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, কিন্তু ২০২৫ সালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান ইজারা কার্যক্রম নিজ দপ্তরে নিয়ে আসেন।
ইজারা প্রদানে শর্ত আছে যে পাটনি সম্পদায়ের কোন প্রতিনিধি থাকলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে তাকে খেয়াঘাটের ইজারা প্রদান করতে হবে। আমি পাটনি সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও নিময়তান্ত্রিক ইজারায় অংশ নেই। এ ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা সরকারি ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা থকলেও এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা দরপরত্র জমা দেই। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জান ইউএনও মহোদয়ের কথা বলে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। অনেক কষ্ট করে বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে এবং নিজের রুটি-রুজি ঠিক রাখতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের কাছে ২ লাখ টাকা তুলে দেন। তারপরও তিনি ওই খেয়াঘাটের ইজারা পাননি। পরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ওই ২ লাখ টাকা তাকে ফেরত দেন। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন,
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ইজারা পাওয়া ব্যাক্তি পাটনি সম্প্রদায়ের কোন মানুষ না। পক্ষান্তরে আমি জন্মগত ভাবে পাটনি সম্প্রদায়ের জনগেষ্ঠির মানুষ। আমার অনুকুলে ওই খেয়াঘাটের লীজ প্রদান না করায় আমি মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৬৩৭১/২৫ রিট পিটিশন দায়ের করি। পরবর্তীতে রিভিউ শনানিতে ২৯/০৭/২০২৫ তারিখ থেকে ৩ মাসের জন্য ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করেন।
কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে মো. মিনাল শেখ নামে এক ব্যাক্তিকে ইজারা প্রদান করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দেবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. ইসমাইল হোসনে, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান মোল্লা। এ সময় তারাও দাবি করেন, যুগ যুগ ধরে ভগবান চৌধুরীর উত্তরসরী হিসেনে বিষ্ণ চৌধুরী অন্তারমোড়-রাখালগাছি খেয়া ঘাট পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এবছর উপজেলা প্রশাসন অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে স্থানীয় মো. মিনাল শেখকে ইজারা দিয়েছেন। এটা খুবই নিন্দনীয় কাজ বলে আমরা মনে করি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিষ্ণ চৌধুরী যে পাটনি সম্প্রদায়ের লোক, তার কোন প্রমাণ তিনি হাজির করতে পারেননি। এ সংক্রান্ত কোন সার্টিফিকেট অথবা দালিলিক প্রমান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কথা বলে কেউ টাকা নিয়েছে, সে বিষয়ে আমার জানা নেই। এর আগে এ ধরনের কোন অভিযোগও পাইনি। এ ধরনে অভিযোগের কোন প্রমান থাকলে আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে পারেন।