ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নে বিষধর সাপের কামড়ে প্রাণ হারিয়েছে মো. সোহেল গাজী (২৬) নামের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাঝেরচর নতুন ঈশানবালা বাজারের খোরশেদের হোটেলে। সোহেল গাজী প্রতিদিনের মতো স্থানীয় ওই হোটেলে দুধ দিতে গিয়েছিলেন। দোকানের ফ্রিজে দুধ রাখার সময় ফ্রিজের নিচে ঠিক তখনই একটি বিষধর সাপ এসে তার পায়ে কামড় দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি ছটফট করতে থাকেন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে স্প্রীডবোটে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে সাপের অ্যান্টিভেনম দেন, কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরই সোহেল গাজী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
এই মৃত্যুর পর হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের দাবি সাপের কামড়ের পর তার পা রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসার সময় রশি খুলে ফেলায় বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে যায়। এছাড়া হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ না থাকায় পরিবারকে বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। সেই দেরিতেই নাকি ঘটে বিপর্যয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জানান, রোগীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সাপটি ছিল সাত প্রজাতির বিষধর, যা প্রাণঘাতী পর্যায়ের ছিল। তাই চিকিৎসা দেওয়ার পরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এমনকি দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিকিৎসকরা বলেন, সাপের কামড়ের পর সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া উচিত। দেরি হলে বিষ শরীরে ছড়িয়ে যায় এবং বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।
এদিকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া জানান, আইনগত প্রক্রিয়ায় নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নে বিষধর সাপের কামড়ে প্রাণ হারিয়েছে মো. সোহেল গাজী (২৬) নামের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাঝেরচর নতুন ঈশানবালা বাজারের খোরশেদের হোটেলে। সোহেল গাজী প্রতিদিনের মতো স্থানীয় ওই হোটেলে দুধ দিতে গিয়েছিলেন। দোকানের ফ্রিজে দুধ রাখার সময় ফ্রিজের নিচে ঠিক তখনই একটি বিষধর সাপ এসে তার পায়ে কামড় দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি ছটফট করতে থাকেন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে স্প্রীডবোটে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে সাপের অ্যান্টিভেনম দেন, কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরই সোহেল গাজী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
এই মৃত্যুর পর হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের দাবি সাপের কামড়ের পর তার পা রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসার সময় রশি খুলে ফেলায় বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে যায়। এছাড়া হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ না থাকায় পরিবারকে বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। সেই দেরিতেই নাকি ঘটে বিপর্যয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জানান, রোগীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সাপটি ছিল সাত প্রজাতির বিষধর, যা প্রাণঘাতী পর্যায়ের ছিল। তাই চিকিৎসা দেওয়ার পরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এমনকি দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিকিৎসকরা বলেন, সাপের কামড়ের পর সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া উচিত। দেরি হলে বিষ শরীরে ছড়িয়ে যায় এবং বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।
এদিকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া জানান, আইনগত প্রক্রিয়ায় নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।