কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) : উপজেলা সদর থেকে আমুয়া বাজার পর্যন্ত খানাখন্দে দুর্ভোগে চালক ও যাত্রীরা -সংবাদ
ঢাকা-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা সদর থেকে আমুয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সড়ক দিয়েই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন রুটে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে। পাশাপাশি আমুয়া, কচুয়া ও আশপাশের ইউনিয়নের হাজারো মানুষ উপজেলা সদর ও জেলা শহরে যাতায়াত করেন। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া, রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া এবং ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন সব ক্ষেত্রেই এ সড়কের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে।
রিকশা-ভ্যান চালক ও বাসযাত্রীরা জানান, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় অতিরিক্ত সময় ও ভাড়া দিতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে চলাচল আরও দুরূহ হয়ে পড়ে। আমুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. সোহেল বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমাদের চলাচল করতে হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহন নষ্ট হয়, যাত্রীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকে। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দ্রব্যমূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। চালকরা ঝুঁকিপূর্ণ এ পথে যাতায়াত করতে অনীহা প্রকাশ করছেন, ফলে পণ্য সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, সড়কের বর্তমান দুরবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় কাঠালিয়া-আমুয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা ও জনদুর্ভোগের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরিফ খান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের অর্থ বরাদ্দের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) : উপজেলা সদর থেকে আমুয়া বাজার পর্যন্ত খানাখন্দে দুর্ভোগে চালক ও যাত্রীরা -সংবাদ
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা সদর থেকে আমুয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সড়ক দিয়েই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন রুটে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে। পাশাপাশি আমুয়া, কচুয়া ও আশপাশের ইউনিয়নের হাজারো মানুষ উপজেলা সদর ও জেলা শহরে যাতায়াত করেন। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া, রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া এবং ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন সব ক্ষেত্রেই এ সড়কের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে।
রিকশা-ভ্যান চালক ও বাসযাত্রীরা জানান, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় অতিরিক্ত সময় ও ভাড়া দিতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে চলাচল আরও দুরূহ হয়ে পড়ে। আমুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. সোহেল বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমাদের চলাচল করতে হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহন নষ্ট হয়, যাত্রীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকে। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দ্রব্যমূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। চালকরা ঝুঁকিপূর্ণ এ পথে যাতায়াত করতে অনীহা প্রকাশ করছেন, ফলে পণ্য সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, সড়কের বর্তমান দুরবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় কাঠালিয়া-আমুয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা ও জনদুর্ভোগের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরিফ খান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের অর্থ বরাদ্দের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।