চিত্রা নদীর পাড়ের ‘লাল মিয়া’। বিশ্ববাসীর এস এম সুলতান। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ সুলতান। চিত্রশিল্পে খ্যাতি তার বিশ^জোড়া। গুণী এই চিত্রশিল্পীর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন সুলতান। বাবা মেছের আলী পেশায় ছিলেন রাজমিস্ত্রী। দরিদ্র সংসারে জীবনযুদ্ধ করে বড় হয়েছেন সুলতান। তবে, বাবা-মায়ের আদরের নাম ছিল-‘লাল মিয়া’।
মৃত্যুর পর ‘মাটি ও মানুষের চিত্রশিল্পী’ এসএম সুলতানকে জন্মভূমি নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ সম্মাননাসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
চিত্রা নদীর পাড়ের ‘লাল মিয়া’র রঙ তুলিতে দারিদ্র-ক্লিষ্ট ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো ভিন্ন রকম মর্যাদা পেয়েছেন। শ্রমজীবী মানুষগুলোকে এঁকেছেন পেশিবহুল করে। শক্তিশালী ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছেন তারা।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ছবি আঁকার পাশাপাশি বাঁশি বাজাতে পটু ছিলেন। পুষতেন বিষধর সাপ, বেজি, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণি।
বরেণ্য এই শিল্পীর মৃত্যুর পর তার বাসভবন ঘিরে গড়ে উঠেছে সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালা, শিশুস্বর্গ, কলেজসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার হরেক রকম ফুলসহ প্রকৃতিঘেরা পরিবেশ সুলতানপ্রেমীদের মুগ্ধ করে সব সময়। এছাড়া শান্ত-স্বচ্ছ প্রকৃতিঘেরা চিত্রা নদীর পাড়ে সুলতানের ভ্রাম্যমাণ শিশুস্বর্গ তথা দ্বিতলা নৌকাটি দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।
জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি শারমিন আক্তার জাহান জানান, সুলতানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ৬টায় পবিত্র কোরআন খতম। এরপর শিশুদের চিত্রাঙ্কন, সুলতানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি, দোয়া মাহফিল, শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
চিত্রা নদীর পাড়ের ‘লাল মিয়া’। বিশ্ববাসীর এস এম সুলতান। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ সুলতান। চিত্রশিল্পে খ্যাতি তার বিশ^জোড়া। গুণী এই চিত্রশিল্পীর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন সুলতান। বাবা মেছের আলী পেশায় ছিলেন রাজমিস্ত্রী। দরিদ্র সংসারে জীবনযুদ্ধ করে বড় হয়েছেন সুলতান। তবে, বাবা-মায়ের আদরের নাম ছিল-‘লাল মিয়া’।
মৃত্যুর পর ‘মাটি ও মানুষের চিত্রশিল্পী’ এসএম সুলতানকে জন্মভূমি নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ সম্মাননাসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
চিত্রা নদীর পাড়ের ‘লাল মিয়া’র রঙ তুলিতে দারিদ্র-ক্লিষ্ট ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো ভিন্ন রকম মর্যাদা পেয়েছেন। শ্রমজীবী মানুষগুলোকে এঁকেছেন পেশিবহুল করে। শক্তিশালী ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছেন তারা।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ছবি আঁকার পাশাপাশি বাঁশি বাজাতে পটু ছিলেন। পুষতেন বিষধর সাপ, বেজি, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণি।
বরেণ্য এই শিল্পীর মৃত্যুর পর তার বাসভবন ঘিরে গড়ে উঠেছে সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালা, শিশুস্বর্গ, কলেজসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার হরেক রকম ফুলসহ প্রকৃতিঘেরা পরিবেশ সুলতানপ্রেমীদের মুগ্ধ করে সব সময়। এছাড়া শান্ত-স্বচ্ছ প্রকৃতিঘেরা চিত্রা নদীর পাড়ে সুলতানের ভ্রাম্যমাণ শিশুস্বর্গ তথা দ্বিতলা নৌকাটি দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।
জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি শারমিন আক্তার জাহান জানান, সুলতানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ৬টায় পবিত্র কোরআন খতম। এরপর শিশুদের চিত্রাঙ্কন, সুলতানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি, দোয়া মাহফিল, শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।