মুন্সিগঞ্জ ইতিহাস পরিষদ-২০২৫
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ইতিহাস চর্চায় অবদান রাখায় মুন্সিগঞ্জ ইতিহাস পরিষদ-২০২৫ সম্মাননা পাচ্ছেন লেখক ও লোকগবেষক সাংবাদিক কাদের পলাশ। সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ ইতিহাস পরিষদ এর সভাপতি গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল। এছাড়াও ইতিহাস চর্চায় অবদান রাখায় এ সম্মাননা পাচ্ছেন আরো দুজন। এঁরা হলেন নওগাঁর অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম খান ও মুন্সিগঞ্জের রমজান মাহমুদ।
গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল বলেন, কাদের পলাশ সহ অন্য যে দুজন সম্মাননা পাচ্ছেন তাঁরা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস তথা তথ্য সংগ্রহের কাজে নিবেদিত প্রাণ মানুষ। আমরা তাদের সম্মাননা জানাতে পেরে আনন্দিত। আগামি ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় মুন্সিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এ সম্মাননা জানানো হবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লেখক ও সাংবাদিক কাদের পলাশ বলেন, প্রকৃত অর্থে একটি দেশের ইতিহাস-ঐহিত্য নিয়ে কাজ করার বিশেষ আনন্দ আছে। কাজ করছি। সম্মাননা পাওয়া মূখ্য বিষয় নয়, তবে কাজের সাথে স্বীকৃতি পেলে চর্চা বেগবান হয়। আমাকে মুন্সিগঞ্জ ইতিহাস পরিষদ-২০২৫ সম্মাননা প্রদানে মনোনীত করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করছি।
কাদের পলাশ গেল বছর অনূপ্রাণন তরুণ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২৪ সহ সাহিত্যচর্চা ও সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।
তিনি একাধারে কবি, গীতিকার, গল্পকার, লোকগবেষক, সাংবাদিক ও সংগঠক। সাহিত্য একাডেমি, চাঁদপুর এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাদের পলাশের কিশোর বয়সে লেখালেখির হাতেখড়ি হলেও তার সাহিত্য কর্ম পত্রিকায় প্রথম প্রকাশ ২০০৭ সালে। একই বছর সাংবাদিকতায় পথ চলা শুরু হলেও ২০০৯ সাল থেকে মাঠপর্যায়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি ২০১২ সাল থেকে টেলিভিশনে সাংবাদিকতা শুরু করেন। বর্তমানে যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন।
২০১৯-২০২৪ পর্যন্ত দৈনিক শপথ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক বর্তমানে পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সাল থেকে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। ২০২২ সাল থেকে চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। (২০১৫-২০১৭) চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩বছর শিক্ষকতা করেন। তিনি অর্থনীতিতে স্নাকোত্তর এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কাদের পলাশ চাঁদপুর শহরে স্থায়ী বসবাস করলেও তার পৈত্রিক বাড়ি কচুয়ার বাসাবাড়িয়া গ্রামে। তার লেখা গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও গবেষণাধর্মী বই প্রকাশ হয়েছে ১০টি।
কাদের পলাশের প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ হচ্ছে, গল্পগ্রন্থ : দীর্ঘশ্বাসের শব্দ (২০১৭), ইচ্ছেরা উড়ে গেছে (২০১৯), মেঘ উড়ে যাওয়ার পর (২০২৪)। কাব্যগ্রন্থ : স্মৃতির স্লোগান (২০২১)। উপন্যাস : রোদে পোড়া পালিশ (২০২২)। গবেষণা/সম্পাদনা : যাপনে উদ্যাপনে ইলিশ (২০১৯), বিরুদ্ধ স্রোতের মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন (২০২০), বিস্মৃতির চাঁদপুর (২০২০), দেড়শ বছরের সাংবাদিকতা ও চাঁদপুর (২০২৩), চাঁদপুরের সংস্কৃতি লোককথা ও অন্যান্য (২০২৪)।
মুন্সিগঞ্জ ইতিহাস পরিষদ-২০২৫
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
ইতিহাস চর্চায় অবদান রাখায় মুন্সিগঞ্জ ইতিহাস পরিষদ-২০২৫ সম্মাননা পাচ্ছেন লেখক ও লোকগবেষক সাংবাদিক কাদের পলাশ। সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ ইতিহাস পরিষদ এর সভাপতি গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল। এছাড়াও ইতিহাস চর্চায় অবদান রাখায় এ সম্মাননা পাচ্ছেন আরো দুজন। এঁরা হলেন নওগাঁর অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম খান ও মুন্সিগঞ্জের রমজান মাহমুদ।
গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল বলেন, কাদের পলাশ সহ অন্য যে দুজন সম্মাননা পাচ্ছেন তাঁরা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস তথা তথ্য সংগ্রহের কাজে নিবেদিত প্রাণ মানুষ। আমরা তাদের সম্মাননা জানাতে পেরে আনন্দিত। আগামি ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় মুন্সিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এ সম্মাননা জানানো হবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লেখক ও সাংবাদিক কাদের পলাশ বলেন, প্রকৃত অর্থে একটি দেশের ইতিহাস-ঐহিত্য নিয়ে কাজ করার বিশেষ আনন্দ আছে। কাজ করছি। সম্মাননা পাওয়া মূখ্য বিষয় নয়, তবে কাজের সাথে স্বীকৃতি পেলে চর্চা বেগবান হয়। আমাকে মুন্সিগঞ্জ ইতিহাস পরিষদ-২০২৫ সম্মাননা প্রদানে মনোনীত করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করছি।
কাদের পলাশ গেল বছর অনূপ্রাণন তরুণ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২৪ সহ সাহিত্যচর্চা ও সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।
তিনি একাধারে কবি, গীতিকার, গল্পকার, লোকগবেষক, সাংবাদিক ও সংগঠক। সাহিত্য একাডেমি, চাঁদপুর এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাদের পলাশের কিশোর বয়সে লেখালেখির হাতেখড়ি হলেও তার সাহিত্য কর্ম পত্রিকায় প্রথম প্রকাশ ২০০৭ সালে। একই বছর সাংবাদিকতায় পথ চলা শুরু হলেও ২০০৯ সাল থেকে মাঠপর্যায়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি ২০১২ সাল থেকে টেলিভিশনে সাংবাদিকতা শুরু করেন। বর্তমানে যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন।
২০১৯-২০২৪ পর্যন্ত দৈনিক শপথ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক বর্তমানে পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সাল থেকে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। ২০২২ সাল থেকে চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। (২০১৫-২০১৭) চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩বছর শিক্ষকতা করেন। তিনি অর্থনীতিতে স্নাকোত্তর এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কাদের পলাশ চাঁদপুর শহরে স্থায়ী বসবাস করলেও তার পৈত্রিক বাড়ি কচুয়ার বাসাবাড়িয়া গ্রামে। তার লেখা গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও গবেষণাধর্মী বই প্রকাশ হয়েছে ১০টি।
কাদের পলাশের প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ হচ্ছে, গল্পগ্রন্থ : দীর্ঘশ্বাসের শব্দ (২০১৭), ইচ্ছেরা উড়ে গেছে (২০১৯), মেঘ উড়ে যাওয়ার পর (২০২৪)। কাব্যগ্রন্থ : স্মৃতির স্লোগান (২০২১)। উপন্যাস : রোদে পোড়া পালিশ (২০২২)। গবেষণা/সম্পাদনা : যাপনে উদ্যাপনে ইলিশ (২০১৯), বিরুদ্ধ স্রোতের মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন (২০২০), বিস্মৃতির চাঁদপুর (২০২০), দেড়শ বছরের সাংবাদিকতা ও চাঁদপুর (২০২৩), চাঁদপুরের সংস্কৃতি লোককথা ও অন্যান্য (২০২৪)।