ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
হবিগঞ্জের মাধবপুরের উপজেলা জামে মসজিদের মালিকানাধীন ৫টি নারিকেল গাছের প্রায় ৫০টি নারিকেল অনুমতি ছাড়া নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসুল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম কাউকে কিছু না জানিয়ে তার লোকজন নিয়ে মসজিদের গাছ থেকে নারিকেল কেটে নিয়ে যান। ঘটনাটি অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানা গেছে। মসজিদ কমিটির সদস্য ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতা জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মসজিদের সম্পদ চুরি করা গুরুতর গুনাহের কাজ। ৪০ থেকে ৫০টি নারিকেল তিনি নিয়ে গেছেন। আমরা আশা করি মসজিদের সভাপতি ইউএনও স্যার বিষয়টি দেখবেন।
মসজিদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক এলজিইডি প্রকৌশলী রেজাউন্নবীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা নারিকেল নেওয়ার বিষয়ে কোনো অনুমতি নেননি। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউন্নবী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাইকে নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা অফিসাররা দিনরাত কাজ করি জনগণের জন্য। কিছু নারিকেল নিয়েছি, অভিযোগ থাকলে মূল্য পরিশোধ করব। আমি জানতাম না এটি মসজিদের জায়গা। ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম বলেন, বিষয়টি জানলাম। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় তার একটি ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে তিনি নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে সেটি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
এসব ঘটনায় পৌরসভার ও উপজেলার মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও দুঃখের সৃষ্টি হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
হবিগঞ্জের মাধবপুরের উপজেলা জামে মসজিদের মালিকানাধীন ৫টি নারিকেল গাছের প্রায় ৫০টি নারিকেল অনুমতি ছাড়া নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসুল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম কাউকে কিছু না জানিয়ে তার লোকজন নিয়ে মসজিদের গাছ থেকে নারিকেল কেটে নিয়ে যান। ঘটনাটি অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানা গেছে। মসজিদ কমিটির সদস্য ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতা জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মসজিদের সম্পদ চুরি করা গুরুতর গুনাহের কাজ। ৪০ থেকে ৫০টি নারিকেল তিনি নিয়ে গেছেন। আমরা আশা করি মসজিদের সভাপতি ইউএনও স্যার বিষয়টি দেখবেন।
মসজিদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক এলজিইডি প্রকৌশলী রেজাউন্নবীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা নারিকেল নেওয়ার বিষয়ে কোনো অনুমতি নেননি। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউন্নবী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাইকে নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা অফিসাররা দিনরাত কাজ করি জনগণের জন্য। কিছু নারিকেল নিয়েছি, অভিযোগ থাকলে মূল্য পরিশোধ করব। আমি জানতাম না এটি মসজিদের জায়গা। ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম বলেন, বিষয়টি জানলাম। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় তার একটি ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে তিনি নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে সেটি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
এসব ঘটনায় পৌরসভার ও উপজেলার মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও দুঃখের সৃষ্টি হয়েছে।