রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ৯ বছর আগে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান বৃহস্পতিবার, (০৯ অক্টোবর ২০২৫) এ রায় দেন।
দণ্ডিত সোহেল রানা পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডে তার মা শিউলী বেগম এবং ফুফু মাজেদা বেগমের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন বিচারক।
এ আদালতের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) জানান, আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদন্ডের টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালে সোহেল রানার সঙ্গে মোছাম্মৎ সোনিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সোনিয়াকে ‘মারধর করতেন’ তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়ের সংসার বাঁচাতে সোনিয়ার বাবা মো. চান মিয়া ৯০ হাজার টাকা যৌতুক দেন। এরপর আরও ৫০ হাজার টাকার জন্য সোনিয়াকে ‘শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন’ করতে থাকে তার স্বামীর পরিবার। মামলায় বলা হয়, ‘২০১৬ সালের ১৭ জুলাই রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে সোহেল রানা অন্য আসামিদের সহযোগিতায় কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজের ঢালে ইমাম আলীর গলির বাড়িতে সোনিয়াকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।’ এ অভিযোগে মিয়া চান ১৮ জুলাই কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ওই বছরের ২৬ অক্টোবর তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৮ সালের ৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার, সোহেল রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ৯ বছর আগে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান বৃহস্পতিবার, (০৯ অক্টোবর ২০২৫) এ রায় দেন।
দণ্ডিত সোহেল রানা পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডে তার মা শিউলী বেগম এবং ফুফু মাজেদা বেগমের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন বিচারক।
এ আদালতের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) জানান, আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদন্ডের টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালে সোহেল রানার সঙ্গে মোছাম্মৎ সোনিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সোনিয়াকে ‘মারধর করতেন’ তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়ের সংসার বাঁচাতে সোনিয়ার বাবা মো. চান মিয়া ৯০ হাজার টাকা যৌতুক দেন। এরপর আরও ৫০ হাজার টাকার জন্য সোনিয়াকে ‘শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন’ করতে থাকে তার স্বামীর পরিবার। মামলায় বলা হয়, ‘২০১৬ সালের ১৭ জুলাই রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে সোহেল রানা অন্য আসামিদের সহযোগিতায় কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজের ঢালে ইমাম আলীর গলির বাড়িতে সোনিয়াকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।’ এ অভিযোগে মিয়া চান ১৮ জুলাই কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ওই বছরের ২৬ অক্টোবর তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৮ সালের ৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার, সোহেল রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।