বেরোবির সংঘর্ষে আহতরা -সংবাদ
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মার্কেটিং, পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে প্রান্ত নামে এক শিক্ষার্থীকে গুরতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। এ সংঘর্ষ পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের সাফায়েত শুভ, শাহরিয়ার অপু, সজীব, সৌরভ, নাজমুজ সাকিব, রোহান সরকার, জিহাদ (সবাই ১৬তম ব্যাচ) ও আশরাফুল (১৪তম ব্যাচ)।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ প্রামানিককে আহ্বায়ক ও প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমানকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, অতি সম্প্রতি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘জেন-জি ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর সেমিফাইনাল খেলায় মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার অপুর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর জের ধরে গতকাল সোমবার রাতে চকবাজার এলাকায় মার্কেটিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তুহিন রানা বলেন, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রোহান ও অপুর সঙ্গে পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা দলবেধে হামলা চালায়।
এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে মার্কেটিং, পরিসংখ্যান ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় সহ আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সকলেই দেশী অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে অন্তত ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।
এসময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জনি ও প্রান্ত এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ সহ আরও ২ জন। খবর পেয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী ও প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান সহ অন্যরা ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়।
পরে গভীর রাতে উপাচার্য ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ও ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।
বেরোবির সংঘর্ষে আহতরা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মার্কেটিং, পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে প্রান্ত নামে এক শিক্ষার্থীকে গুরতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। এ সংঘর্ষ পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের সাফায়েত শুভ, শাহরিয়ার অপু, সজীব, সৌরভ, নাজমুজ সাকিব, রোহান সরকার, জিহাদ (সবাই ১৬তম ব্যাচ) ও আশরাফুল (১৪তম ব্যাচ)।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ প্রামানিককে আহ্বায়ক ও প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমানকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, অতি সম্প্রতি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘জেন-জি ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর সেমিফাইনাল খেলায় মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার অপুর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর জের ধরে গতকাল সোমবার রাতে চকবাজার এলাকায় মার্কেটিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তুহিন রানা বলেন, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রোহান ও অপুর সঙ্গে পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা দলবেধে হামলা চালায়।
এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে মার্কেটিং, পরিসংখ্যান ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় সহ আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সকলেই দেশী অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে অন্তত ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।
এসময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জনি ও প্রান্ত এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ সহ আরও ২ জন। খবর পেয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী ও প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান সহ অন্যরা ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়।
পরে গভীর রাতে উপাচার্য ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ও ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।