পটুয়াখালীর দুমকি ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০২১ সালের ৮ জুন একনেক এ অনুমোদন হয় পায়রা নদীতে বাহেরচর-নলুয়া সেতু। প্রকল্পে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চার বছরেও শুরু হয়নি ৬১ কোটি টাকার সেতু নির্মাণ কাজ। এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একনেকে পাশ করা পায়রা নদীতে বাহেরচর-নলুয়া সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিশ্রুত প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন এবং সেতুর নকশা চূড়ান্ত করার পরেও রহস্যজনক কারণে বাহেরচর-নলুয়ায় নির্ধারিত জায়গার বদলে জলিশা-দাসপাড়া এলাকায় সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং অসন্তোষ বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, জলিশা-দাসপাড়া এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হলে নতুন করে বসতবাড়ি এবং কৃষিজমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও সেতু নির্মাণের জন্য নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। খরচও বাড়বে বহুগুণ। তাদের মতে, নলুয়া-বাহেরচরে রাস্তা ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ফেরি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন দৈনিক পারাপার হয়। জলিশা -দাসপাড়া এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হলে সরকারের প্রায় ৫শ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। এলাকবাসীও এই সেতুর কোনো সুফল পাবে না। তাদের দাবি, একনেকে পাশ করা নলুয়া-বাহেরচরেই সেতুটি নির্মাণ করা হোক। সরকারের অর্থ সাশ্রয়ে এবং একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প অনুযায়ী নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়দের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাউয়ারচর থেকে দুমকি (চরামদ্দি-চরাদি-দুধল-কবাই-নলুয়া) পর্যন্ত প্রস্তাবিত সেতুটি নির্মাণের প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয় ২০২১ সালের ৮ জুন। ১৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে সেতুর ধরণ নির্ধারণ করে হাইড্রোলিক্যাল ও মরফোলজিক্যাল স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। নকশার কাজ শেষ। কিন্তু একনেকে অনুমোদনের পর বাহেরচর মৌজার পরিবর্তে সেখানে যুক্ত করা হয়েছে জলিশা ও রাজাখালী মৌজা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাহেরচরের পরিবর্তে জলিশা ও রাজাখালী মৌজা যুক্ত করায় সেতু নির্মাণ খরচ বাড়বে প্রায় তিনশ কোটি টাকা। বাহেরচর এলাকার সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুয়াল গাজী বাহেরচরের বাসিন্দা ডালিম সিকদার জানান, জমি অধিগ্রহণসহ নানা ক্ষেত্রে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেউ কেউ সেতু নির্মাণের মৌজায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন। নলুয়া-বাহেরচরে সেতু নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর সেতুর সুফল পাবে। নলুয়া-বাহেরচর সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং ৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আমরা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো এবং অর্থ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। তিনি আরো জানান, জলিশা ও রাজাখালী মৌজায় জমি অধিগ্রহণ খরচ কম এবং পূর্ণবাসন প্রক্রিয়া খরচ কম হবে তাই জলিশা ও দাসপাড়া এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকি ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০২১ সালের ৮ জুন একনেক এ অনুমোদন হয় পায়রা নদীতে বাহেরচর-নলুয়া সেতু। প্রকল্পে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চার বছরেও শুরু হয়নি ৬১ কোটি টাকার সেতু নির্মাণ কাজ। এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একনেকে পাশ করা পায়রা নদীতে বাহেরচর-নলুয়া সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিশ্রুত প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন এবং সেতুর নকশা চূড়ান্ত করার পরেও রহস্যজনক কারণে বাহেরচর-নলুয়ায় নির্ধারিত জায়গার বদলে জলিশা-দাসপাড়া এলাকায় সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং অসন্তোষ বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, জলিশা-দাসপাড়া এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হলে নতুন করে বসতবাড়ি এবং কৃষিজমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও সেতু নির্মাণের জন্য নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। খরচও বাড়বে বহুগুণ। তাদের মতে, নলুয়া-বাহেরচরে রাস্তা ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ফেরি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন দৈনিক পারাপার হয়। জলিশা -দাসপাড়া এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হলে সরকারের প্রায় ৫শ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। এলাকবাসীও এই সেতুর কোনো সুফল পাবে না। তাদের দাবি, একনেকে পাশ করা নলুয়া-বাহেরচরেই সেতুটি নির্মাণ করা হোক। সরকারের অর্থ সাশ্রয়ে এবং একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প অনুযায়ী নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়দের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাউয়ারচর থেকে দুমকি (চরামদ্দি-চরাদি-দুধল-কবাই-নলুয়া) পর্যন্ত প্রস্তাবিত সেতুটি নির্মাণের প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয় ২০২১ সালের ৮ জুন। ১৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে সেতুর ধরণ নির্ধারণ করে হাইড্রোলিক্যাল ও মরফোলজিক্যাল স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। নকশার কাজ শেষ। কিন্তু একনেকে অনুমোদনের পর বাহেরচর মৌজার পরিবর্তে সেখানে যুক্ত করা হয়েছে জলিশা ও রাজাখালী মৌজা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাহেরচরের পরিবর্তে জলিশা ও রাজাখালী মৌজা যুক্ত করায় সেতু নির্মাণ খরচ বাড়বে প্রায় তিনশ কোটি টাকা। বাহেরচর এলাকার সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুয়াল গাজী বাহেরচরের বাসিন্দা ডালিম সিকদার জানান, জমি অধিগ্রহণসহ নানা ক্ষেত্রে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেউ কেউ সেতু নির্মাণের মৌজায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন। নলুয়া-বাহেরচরে সেতু নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর সেতুর সুফল পাবে। নলুয়া-বাহেরচর সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং ৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আমরা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো এবং অর্থ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। তিনি আরো জানান, জলিশা ও রাজাখালী মৌজায় জমি অধিগ্রহণ খরচ কম এবং পূর্ণবাসন প্রক্রিয়া খরচ কম হবে তাই জলিশা ও দাসপাড়া এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।