হোমনা (কুমিল্লা) : তিতাসের দক্ষিণ শ্রীনারায়নকান্দি রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত -সংবাদ
কুমিল্লার তিতাসের অন্যতম জনবহুল দক্ষিণ শ্রীনারায়নকান্দি গ্রামের আঞ্চলিক সড়কে দীর্ঘ ৩৫ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
একটু বৃষ্টি হলেই কাদা-জলে রাস্তার বেহাল দশা হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। গর্ভবর্তী ও অসুস্থ রোগীদের নিয়েও পড়তে চরম বিপাকে। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণের দাবি করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীসহ এ রাস্তায় চলাচলরত জনসাধারণ, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের বিরামকান্দি ব্রিজ থেকে বলরামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শ্রীনারায়ণকান্দি কুয়েতি জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি ছোট-বড় গর্তে ভরা। কোথাও কোথাও রাস্তার দু’পাশ দিয়ে মাটি সরে গিয়ে রাস্তায় ভাঙন ধরেছে। স্থানীয় যুব সমাজের উদ্যোগে সেসব জায়গাগুলো প্লাষ্টিকের ব্যাগে মাটি ভরাট করে ভাঙন রোধে চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ৩৫ বছর ধরে বহু জনপ্রতিনিধি আসলেও কেহ ই এই রাস্তাটি পাকা করণের কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর।
কাঁচা এই রাস্তায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গ্রামের শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার যাতায়াত করতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশেই খানা-খন্দ ও কর্দমাক্ত অবস্থা থাকায় এটি এখন সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কাদায় পিচ্ছিল হয়ে পড়ে, ফলে জরুরী মুহূর্তে গর্ভবতী নারী, মুমূর্ষ রোগী বা বয়স্ক মানুষকে কাঁধে করে নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
গ্রামের প্রবীণ সমাজ সেবক হারুনুর রশিদ খান জানান, বছরের পর বছর অনেক জনপ্রতিনিধি এসেছে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু রাস্তাটি নিয়ে আর কোন দৃশ্যমান কাজ চোখে পড়েনি।
তরুন সমাজ সেবক দোলন মোল্লা বলেন, আমরা যুব সমাজের উদ্যোগর নিজেরাই রাস্তাটি মেরামত করে কোনোভাবে চলাচল করছি। কত বড় বড় জনপ্রতিনিধি এলেন; গেলেন, কেউই এই গ্রামের দিকে নজর দিলেন না। শুধু ভোটের আগে এসে ভোটে চেয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়।কিন্তু জনগণের কষ্ট লাঘবে কেউ উদ্যোগ নেননি।
মিজান বেপারী আক্ষেপ করে বলেন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারের লোকদের কাছে মনে হয় আমরা মানুষ নই? তা না হলে, ৩৫ বছরেও কি একটি রাস্তা পাকা না হয়? তারা উন্নয়ন কথাটা কি শুধু নিজেদের পেট ভরার জন্য ই করে থাকে?
এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা প্রকৌশলী মো. খোয়াজুর রহমান বলেন, রাস্তাটির সাথে সংযুক্ত একটি ব্রিজের নির্মাণকাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। ওই ব্রিজের সঙ্গে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাটিরও উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত আছে। অচিরেই রাস্তাটির কাজ শুরু করা হবে।
হোমনা (কুমিল্লা) : তিতাসের দক্ষিণ শ্রীনারায়নকান্দি রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত -সংবাদ
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লার তিতাসের অন্যতম জনবহুল দক্ষিণ শ্রীনারায়নকান্দি গ্রামের আঞ্চলিক সড়কে দীর্ঘ ৩৫ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
একটু বৃষ্টি হলেই কাদা-জলে রাস্তার বেহাল দশা হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। গর্ভবর্তী ও অসুস্থ রোগীদের নিয়েও পড়তে চরম বিপাকে। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণের দাবি করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীসহ এ রাস্তায় চলাচলরত জনসাধারণ, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের বিরামকান্দি ব্রিজ থেকে বলরামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শ্রীনারায়ণকান্দি কুয়েতি জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি ছোট-বড় গর্তে ভরা। কোথাও কোথাও রাস্তার দু’পাশ দিয়ে মাটি সরে গিয়ে রাস্তায় ভাঙন ধরেছে। স্থানীয় যুব সমাজের উদ্যোগে সেসব জায়গাগুলো প্লাষ্টিকের ব্যাগে মাটি ভরাট করে ভাঙন রোধে চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ৩৫ বছর ধরে বহু জনপ্রতিনিধি আসলেও কেহ ই এই রাস্তাটি পাকা করণের কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর।
কাঁচা এই রাস্তায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গ্রামের শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার যাতায়াত করতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশেই খানা-খন্দ ও কর্দমাক্ত অবস্থা থাকায় এটি এখন সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কাদায় পিচ্ছিল হয়ে পড়ে, ফলে জরুরী মুহূর্তে গর্ভবতী নারী, মুমূর্ষ রোগী বা বয়স্ক মানুষকে কাঁধে করে নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
গ্রামের প্রবীণ সমাজ সেবক হারুনুর রশিদ খান জানান, বছরের পর বছর অনেক জনপ্রতিনিধি এসেছে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু রাস্তাটি নিয়ে আর কোন দৃশ্যমান কাজ চোখে পড়েনি।
তরুন সমাজ সেবক দোলন মোল্লা বলেন, আমরা যুব সমাজের উদ্যোগর নিজেরাই রাস্তাটি মেরামত করে কোনোভাবে চলাচল করছি। কত বড় বড় জনপ্রতিনিধি এলেন; গেলেন, কেউই এই গ্রামের দিকে নজর দিলেন না। শুধু ভোটের আগে এসে ভোটে চেয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়।কিন্তু জনগণের কষ্ট লাঘবে কেউ উদ্যোগ নেননি।
মিজান বেপারী আক্ষেপ করে বলেন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারের লোকদের কাছে মনে হয় আমরা মানুষ নই? তা না হলে, ৩৫ বছরেও কি একটি রাস্তা পাকা না হয়? তারা উন্নয়ন কথাটা কি শুধু নিজেদের পেট ভরার জন্য ই করে থাকে?
এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা প্রকৌশলী মো. খোয়াজুর রহমান বলেন, রাস্তাটির সাথে সংযুক্ত একটি ব্রিজের নির্মাণকাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। ওই ব্রিজের সঙ্গে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাটিরও উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত আছে। অচিরেই রাস্তাটির কাজ শুরু করা হবে।