ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কক্সবাজারের সাগরপাড়ের ঝলমলে ঢেউয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক বিভীষিকাময় অভিযোগ। কলাতলীর সায়মন বিচ রিসোর্টের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘ন ডরাই সার্ফিং ক্লাব’-এর এক প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন কিশোরী সার্ফারকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত প্রশিক্ষকের নাম মোহাম্মদ হাসান ওরফে সাগর।
অভিযোগ অনুসারে, দরিদ্র পরিবারের কিশোরীদের সার্ফিং শেখানোর নামে ক্লাবে টেনে আনা হলেও, একপর্যায়ে তাদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতন চালাতেন ওই প্রশিক্ষক। সম্প্রতি তিনজন কিশোরী সাহস সঞ্চয় করে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, মোহাম্মদ হাসান ওরফে সাগর তাদের একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন এবং কাউকে জানালে ক্লাব থেকে বের করে দেওয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিতেন। বিষয়টি সায়মন রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ন্যায়বিচারের বদলে তাদের কঠোরভাবে ‘চুপ থাকতে’ বলা হয়। এমনকি একবার হোটেলে ডেকে তিন কিশোরীর ভিডিও জবানবন্দি নেওয়া হলেও তা আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার না করে ধামাচাপা দেওয়া হয়।
সায়মন রিসোর্টের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মোরসালীন চৌধুরী বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশনকে পাঠানো এক ইমেইলে কিশোরীদের ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত প্রশিক্ষকের সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরবর্তী আইনি বা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।
অন্যদিকে, সায়মন হোটেলের কর্মকর্তা আসাদ নুর সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্তকে আমরা ক্লাব থেকে বের করে দিয়েছি, আর কী করতে পারি?
বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশন ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে।
অলিম্পিকের অন্যতম খেলা সার্ফিংকে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে সংস্থাটি। কিন্তু কক্সবাজারের মতো পর্যটনকেন্দ্রিক শহরে ক্রীড়ার আড়ালে এমন ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হওয়া পুরো সম্প্রদায়ের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
স্থানীয় ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি বিশ্বজনপ্রিয় খেলায় এ ধরণের অপরাধ কেবল ভুক্তভোগীদের জীবনকে ধ্বংস করছে না বরং বাংলাদেশের সার্ফিংয়ের ভবিষ্যৎকেও গভীর সংকটে ফেলছে।
প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্ত ধর্ষককে সাময়িক বহিষ্কারই কি যথেষ্ট? কেন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনের আওতায় না এনে ধামাচাপার চেষ্টা করছে?
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
কক্সবাজারের সাগরপাড়ের ঝলমলে ঢেউয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক বিভীষিকাময় অভিযোগ। কলাতলীর সায়মন বিচ রিসোর্টের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘ন ডরাই সার্ফিং ক্লাব’-এর এক প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন কিশোরী সার্ফারকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত প্রশিক্ষকের নাম মোহাম্মদ হাসান ওরফে সাগর।
অভিযোগ অনুসারে, দরিদ্র পরিবারের কিশোরীদের সার্ফিং শেখানোর নামে ক্লাবে টেনে আনা হলেও, একপর্যায়ে তাদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতন চালাতেন ওই প্রশিক্ষক। সম্প্রতি তিনজন কিশোরী সাহস সঞ্চয় করে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, মোহাম্মদ হাসান ওরফে সাগর তাদের একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন এবং কাউকে জানালে ক্লাব থেকে বের করে দেওয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিতেন। বিষয়টি সায়মন রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ন্যায়বিচারের বদলে তাদের কঠোরভাবে ‘চুপ থাকতে’ বলা হয়। এমনকি একবার হোটেলে ডেকে তিন কিশোরীর ভিডিও জবানবন্দি নেওয়া হলেও তা আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার না করে ধামাচাপা দেওয়া হয়।
সায়মন রিসোর্টের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মোরসালীন চৌধুরী বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশনকে পাঠানো এক ইমেইলে কিশোরীদের ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত প্রশিক্ষকের সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরবর্তী আইনি বা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।
অন্যদিকে, সায়মন হোটেলের কর্মকর্তা আসাদ নুর সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্তকে আমরা ক্লাব থেকে বের করে দিয়েছি, আর কী করতে পারি?
বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশন ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে।
অলিম্পিকের অন্যতম খেলা সার্ফিংকে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে সংস্থাটি। কিন্তু কক্সবাজারের মতো পর্যটনকেন্দ্রিক শহরে ক্রীড়ার আড়ালে এমন ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হওয়া পুরো সম্প্রদায়ের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
স্থানীয় ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি বিশ্বজনপ্রিয় খেলায় এ ধরণের অপরাধ কেবল ভুক্তভোগীদের জীবনকে ধ্বংস করছে না বরং বাংলাদেশের সার্ফিংয়ের ভবিষ্যৎকেও গভীর সংকটে ফেলছে।
প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্ত ধর্ষককে সাময়িক বহিষ্কারই কি যথেষ্ট? কেন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনের আওতায় না এনে ধামাচাপার চেষ্টা করছে?