মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় কান্দাপাড়া গ্রামে গাজীখালি নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণের কাজ চলছে -সংবাদ
স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে ঘুরেছেন বছরের পর বছর। কোনো লাভ হয়নি। তাই গ্রামবাসী নিজেদের টাকায় গাজীখালি নদীর ওপর ৮০ ফুট দীর্ঘ ৮ ফুট প্রস্থ সেতু নির্মাণের কাজ করছেন। কাজ শুরু হয়েছে গত রোজার ঈদের পর। সেতু তৈরির কাজ শেষ হবার কথা আগামী ডিসেম্বরে।
যার যা সাধ্য সেই অনুযায়ী অর্থ দিচ্ছেন এলাকাবাসী, বললেন সেতু নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার ধানকোড়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে গাজীখালি নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণের কাজ চলছে।
ইতোমধ্যে পিলার ও দুপা?শের অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
সেতুটি নির্মিত হলে বারোবাড়িয়া, নয়াডিঙ্গি গ্রামসহ ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর হবে। সেতুর অভাবে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে কষ্ট হয়। আর গ্রামবাসীদের কয়েকটি হাটবাজারে যাতায়াতে কমপক্ষে ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে ব্যবহার করতে হয়।
কেন নিজেদের টাকায় সেতু নির্মাণের এ উদ্যোগ তা জিজ্ঞেস করার পর ক্ষোভ ঝারলো চেয়ারম্যান ও অনেক মেম্বারের মুখ থেকে।
তাদের একজন হেলাল মোল্লা বলেন, ‘সরকারের নানা জায়গায় আমরা ঘুরাঘুরি করেও সেতু নির্মাণ করতে পারিনি। আমরা গ্রামবাসী নিজেদের অর্থায়নে সেতু নির্মাণের কাজটা শুরু করছি। গ্রামের ধনী-গরিব সবাই সেতু নির্মাণের জন্য টাকা দিচ্ছে।’
পার্শ্ববর্তী থানা ধামরাইয়ের ভোলানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সুমনের সঙ্গে কথা হলে বলেন, ‘নদীর ওই পাড়ে আমার স্কুল প্রতিদিন ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। এক নৌকা ফেল করলে আধাঘণ্টা বসে থাকতে হয়। প্রতিদিন নদী পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছোট ডিঙ্গি নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে।’
কান্দাপাড়া গ্রামের গৃহবধু জিয়াসমিন বেগম বলেন, ৩৬ বছর আগে এ গ্রামে তার বিয়ে হয়েছে। বর্ষার সময় চলাচলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। তাই এলাকার সবাই মিলে সাধ্যমতো সেতু নির্মাণের জন্য টাকা দিচ্ছেন।
সেতু বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ভাবে সেতু নির্মাণ হবে সে আশায় বছরের পর বছর নানা দপ্তরে ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি। এখন নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছি নিজেদের টাকায় সেতু নির্মাণ করতে।’সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীসহ একটি টিম নির্মাণাধীন ঐ সেতুটি পরিদর্শন করেছি। যেহেতু সেতুটি কোনো ডিজাইন মোতাবেক বাস্তবায়ন হচ্ছে না তাই ব্রিজ বাস্তবায়ন কমিটিকে আমার দপ্তরে আসতে বলেছি।’ ‘জনগণের সুবিধার্থে’ ওই সেতু নির্মাণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় কান্দাপাড়া গ্রামে গাজীখালি নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণের কাজ চলছে -সংবাদ
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে ঘুরেছেন বছরের পর বছর। কোনো লাভ হয়নি। তাই গ্রামবাসী নিজেদের টাকায় গাজীখালি নদীর ওপর ৮০ ফুট দীর্ঘ ৮ ফুট প্রস্থ সেতু নির্মাণের কাজ করছেন। কাজ শুরু হয়েছে গত রোজার ঈদের পর। সেতু তৈরির কাজ শেষ হবার কথা আগামী ডিসেম্বরে।
যার যা সাধ্য সেই অনুযায়ী অর্থ দিচ্ছেন এলাকাবাসী, বললেন সেতু নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার ধানকোড়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে গাজীখালি নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণের কাজ চলছে।
ইতোমধ্যে পিলার ও দুপা?শের অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
সেতুটি নির্মিত হলে বারোবাড়িয়া, নয়াডিঙ্গি গ্রামসহ ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর হবে। সেতুর অভাবে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে কষ্ট হয়। আর গ্রামবাসীদের কয়েকটি হাটবাজারে যাতায়াতে কমপক্ষে ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে ব্যবহার করতে হয়।
কেন নিজেদের টাকায় সেতু নির্মাণের এ উদ্যোগ তা জিজ্ঞেস করার পর ক্ষোভ ঝারলো চেয়ারম্যান ও অনেক মেম্বারের মুখ থেকে।
তাদের একজন হেলাল মোল্লা বলেন, ‘সরকারের নানা জায়গায় আমরা ঘুরাঘুরি করেও সেতু নির্মাণ করতে পারিনি। আমরা গ্রামবাসী নিজেদের অর্থায়নে সেতু নির্মাণের কাজটা শুরু করছি। গ্রামের ধনী-গরিব সবাই সেতু নির্মাণের জন্য টাকা দিচ্ছে।’
পার্শ্ববর্তী থানা ধামরাইয়ের ভোলানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সুমনের সঙ্গে কথা হলে বলেন, ‘নদীর ওই পাড়ে আমার স্কুল প্রতিদিন ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। এক নৌকা ফেল করলে আধাঘণ্টা বসে থাকতে হয়। প্রতিদিন নদী পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছোট ডিঙ্গি নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে।’
কান্দাপাড়া গ্রামের গৃহবধু জিয়াসমিন বেগম বলেন, ৩৬ বছর আগে এ গ্রামে তার বিয়ে হয়েছে। বর্ষার সময় চলাচলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। তাই এলাকার সবাই মিলে সাধ্যমতো সেতু নির্মাণের জন্য টাকা দিচ্ছেন।
সেতু বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ভাবে সেতু নির্মাণ হবে সে আশায় বছরের পর বছর নানা দপ্তরে ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি। এখন নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছি নিজেদের টাকায় সেতু নির্মাণ করতে।’সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীসহ একটি টিম নির্মাণাধীন ঐ সেতুটি পরিদর্শন করেছি। যেহেতু সেতুটি কোনো ডিজাইন মোতাবেক বাস্তবায়ন হচ্ছে না তাই ব্রিজ বাস্তবায়ন কমিটিকে আমার দপ্তরে আসতে বলেছি।’ ‘জনগণের সুবিধার্থে’ ওই সেতু নির্মাণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।