বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালি ধান আমন -সংবাদ
মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালি ধান আমন। ক্ষেতজুড়ে এখন দুলছে সোনালি ধানের শীষ। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা কথাটির স্বার্থকতা দেখা গেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার সারোয়াতলি, আমুচিয়া, করলডেঙ্গা ও জৈষ্টপুরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিগন্ত জুড়ে আমন ধানের মনকাড়া সোনালী রঙের অপরূপ সৌন্দর্য্য নজর কাড়ছে যে কারোই। বাতাসে ছড়াচ্ছে আমনের মৌ মৌ গন্ধ। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা খুশি। এবার বোয়ালখালীতে আগাম জাতের ব্রি ধান ৪৭-৪৯, ৯৩, ৯৬, সাদা পাই জাম ও কাটারী ধানের চাষ করেছেন কৃষকেরা। আগাম জাতের ধান বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে , প্রতি ৪০ শতকে এবার আমন ধান চাষে খরচ পড়েছে প্রায় ১৪- ১৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় খরচ পুষিয়ে লাভের আশা করছেন তারা। কৃষকরা ক্ষেতের ধান কাটার অপেক্ষায় রয়েছেন। অনেক কৃষক আবার বেশি ধান পাওয়ার আশায় জমিতে সার প্রয়োগ করছেন। কেউ আবার ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। তবে কখন নতুন ধান ঘরে তুলবেন এ স্বপ্নে বিভোর কৃষকরা। ফসল ঘরে তোলার আশায় প্রতিটি কৃষক পরিবারের চোখে মুখে সোনালি স্বপ্নের ছাপ। ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকরা বেশ খুশি। কদিন পরেই মনের আনন্দে সোনালি ধান ঘরে তুলবেন কৃষক-কৃষাণীরা ।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, বোয়ালখালীতে এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সারসহ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ফলন দেখে কৃষকদের মনে বিরাজ করছে যেন উৎসব। উপজেলার সারোয়াতলি গ্রামের কৃষক মোর্শেদ আলম এবার ৪ একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, বোরো ধানের ভালো দাম পেয়েছি। আর সে কারণেই আমন ধান চাষ করছি। আশা করি বাজারে ধানের ভালো দাম পাওয়া যাবে। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে আমনের বাম্পার ফলন আশা করছেন তিনি।
২০ একর জমিতে আমন চাষ করেছেন আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো আবদুল জলিল। তিনি বলেন, ব্রি-ধান ৯৩, ৯৬, ৪৯ ও আগাম জাতের ১০৩ চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা শুরু হবে। একই কথা জানিয়েছেন আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক এস এম বাবর, জৈষ্টপুরা গ্রামের কৃষক মো. ইছাক, আহম্মদ ও করলডেঙ্গা এলাকার কৃষক মো. জামাল উদ্দিন।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র দে বলেন, ধান চাষের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে ধানের রোগবালাইও কম। এখন পর্যন্ত ফসলের মাঠ ভালো রয়েছে। তাই আগামী সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা ধান কাটতে পারবেন। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার
উপজেলার কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছি। এছাড়া আগাম জাতের আমন ধান কাটার পর ওইসব জমিতে অনেকে শীতকালীন শাকসবজি ও ডাল জাতীয় ফসল আবাদে জমিও প্রস্তুত করছেন বলে জানান তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালি ধান আমন -সংবাদ
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালি ধান আমন। ক্ষেতজুড়ে এখন দুলছে সোনালি ধানের শীষ। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা কথাটির স্বার্থকতা দেখা গেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার সারোয়াতলি, আমুচিয়া, করলডেঙ্গা ও জৈষ্টপুরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিগন্ত জুড়ে আমন ধানের মনকাড়া সোনালী রঙের অপরূপ সৌন্দর্য্য নজর কাড়ছে যে কারোই। বাতাসে ছড়াচ্ছে আমনের মৌ মৌ গন্ধ। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা খুশি। এবার বোয়ালখালীতে আগাম জাতের ব্রি ধান ৪৭-৪৯, ৯৩, ৯৬, সাদা পাই জাম ও কাটারী ধানের চাষ করেছেন কৃষকেরা। আগাম জাতের ধান বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে , প্রতি ৪০ শতকে এবার আমন ধান চাষে খরচ পড়েছে প্রায় ১৪- ১৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় খরচ পুষিয়ে লাভের আশা করছেন তারা। কৃষকরা ক্ষেতের ধান কাটার অপেক্ষায় রয়েছেন। অনেক কৃষক আবার বেশি ধান পাওয়ার আশায় জমিতে সার প্রয়োগ করছেন। কেউ আবার ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। তবে কখন নতুন ধান ঘরে তুলবেন এ স্বপ্নে বিভোর কৃষকরা। ফসল ঘরে তোলার আশায় প্রতিটি কৃষক পরিবারের চোখে মুখে সোনালি স্বপ্নের ছাপ। ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকরা বেশ খুশি। কদিন পরেই মনের আনন্দে সোনালি ধান ঘরে তুলবেন কৃষক-কৃষাণীরা ।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, বোয়ালখালীতে এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সারসহ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ফলন দেখে কৃষকদের মনে বিরাজ করছে যেন উৎসব। উপজেলার সারোয়াতলি গ্রামের কৃষক মোর্শেদ আলম এবার ৪ একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, বোরো ধানের ভালো দাম পেয়েছি। আর সে কারণেই আমন ধান চাষ করছি। আশা করি বাজারে ধানের ভালো দাম পাওয়া যাবে। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে আমনের বাম্পার ফলন আশা করছেন তিনি।
২০ একর জমিতে আমন চাষ করেছেন আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো আবদুল জলিল। তিনি বলেন, ব্রি-ধান ৯৩, ৯৬, ৪৯ ও আগাম জাতের ১০৩ চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা শুরু হবে। একই কথা জানিয়েছেন আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক এস এম বাবর, জৈষ্টপুরা গ্রামের কৃষক মো. ইছাক, আহম্মদ ও করলডেঙ্গা এলাকার কৃষক মো. জামাল উদ্দিন।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র দে বলেন, ধান চাষের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে ধানের রোগবালাইও কম। এখন পর্যন্ত ফসলের মাঠ ভালো রয়েছে। তাই আগামী সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা ধান কাটতে পারবেন। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার
উপজেলার কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছি। এছাড়া আগাম জাতের আমন ধান কাটার পর ওইসব জমিতে অনেকে শীতকালীন শাকসবজি ও ডাল জাতীয় ফসল আবাদে জমিও প্রস্তুত করছেন বলে জানান তিনি।