মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বিনামূল্যে আচ্ছাদিত ভ্যানে স্বপ্ন পূরণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। দেখছেন নতুন স্বপ্ন। চার পাশ কাচ দিয়ে ঘেরা এখন এই ভ্যান ব্যবহার করে শুধু বাজারেই নয়, ওয়াজ মাহফিল, মেলা, হাটবাজারেও খাবার বিক্রি করতে পারবেন। বিক্রি বাড়লে সংসারে একটু স্বস্তি আসবে। এমনটা প্রত্যাশা করেছেন ওই অসহায় আট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গত মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাস্তবায়িত আচ্ছাদিত রিকশা ভ্যান কর্মসূচি’র আওতায় সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ, সাটুরিয়া সদর ও ফুকুরহাটি ইউনিয়নের আটজন অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মাঝে বিনামূল্যে আচ্ছাদিত ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে।
কথা হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ঝালমুড়ি, চানাচুর ও ছোলা-বুট বিক্রেতা মো. ফজলুর রহমানের সাথে, দীর্ঘ আট বছর ধরে হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সব সময় স্বপ্ন দেখতেন, যদি একটি আচ্ছাদিত ভ্যান থাকত! কিন্তু আর্থিক সংকট তার এই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি। টেবিলের ওপর খাবার সাজিয়ে ধুলাবালি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেন সবসময় কিন্তু পুরোপুরি ধুলাবালি থেকে খাবারগুলি রক্ষা করা সম্ভব হতো না। তাই ক্রেতারাও এই অবস্থা দেখে চলে যেতেন। এখন এই ভ্যানটা পেয়ে আমি নিশ্চিন্তে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে আমার ব্যবসা করতে পারব।
বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান স্টেপ এর নির্বাহী পরিচালক সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকেই আর্থিক সমস্যার কারণে মানসম্মতভাবে খাবার বিক্রি করতে পারেন না। তাই আমরা চেষ্টা করছি তাদের এমন সহায়তা দিতে, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন। এখন তারা শুধু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার বিক্রি করবেন না, বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।
সাটুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, এই ধরনের আচ্ছাদিত ভ্যান বিতরণ শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তারও অংশ। আগে যারা ধুলাবালির মধ্যে খাবার বিক্রি করতেন, এখন তারা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ব্যবসা করতে পারছেন। এতে আয় বাড়বে, পরিবারে স্থিতিশীলতা আসবে, যা সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বিনামূল্যে আচ্ছাদিত ভ্যানে স্বপ্ন পূরণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। দেখছেন নতুন স্বপ্ন। চার পাশ কাচ দিয়ে ঘেরা এখন এই ভ্যান ব্যবহার করে শুধু বাজারেই নয়, ওয়াজ মাহফিল, মেলা, হাটবাজারেও খাবার বিক্রি করতে পারবেন। বিক্রি বাড়লে সংসারে একটু স্বস্তি আসবে। এমনটা প্রত্যাশা করেছেন ওই অসহায় আট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গত মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাস্তবায়িত আচ্ছাদিত রিকশা ভ্যান কর্মসূচি’র আওতায় সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ, সাটুরিয়া সদর ও ফুকুরহাটি ইউনিয়নের আটজন অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মাঝে বিনামূল্যে আচ্ছাদিত ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে।
কথা হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ঝালমুড়ি, চানাচুর ও ছোলা-বুট বিক্রেতা মো. ফজলুর রহমানের সাথে, দীর্ঘ আট বছর ধরে হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সব সময় স্বপ্ন দেখতেন, যদি একটি আচ্ছাদিত ভ্যান থাকত! কিন্তু আর্থিক সংকট তার এই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি। টেবিলের ওপর খাবার সাজিয়ে ধুলাবালি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেন সবসময় কিন্তু পুরোপুরি ধুলাবালি থেকে খাবারগুলি রক্ষা করা সম্ভব হতো না। তাই ক্রেতারাও এই অবস্থা দেখে চলে যেতেন। এখন এই ভ্যানটা পেয়ে আমি নিশ্চিন্তে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে আমার ব্যবসা করতে পারব।
বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান স্টেপ এর নির্বাহী পরিচালক সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকেই আর্থিক সমস্যার কারণে মানসম্মতভাবে খাবার বিক্রি করতে পারেন না। তাই আমরা চেষ্টা করছি তাদের এমন সহায়তা দিতে, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন। এখন তারা শুধু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার বিক্রি করবেন না, বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।
সাটুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, এই ধরনের আচ্ছাদিত ভ্যান বিতরণ শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তারও অংশ। আগে যারা ধুলাবালির মধ্যে খাবার বিক্রি করতেন, এখন তারা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ব্যবসা করতে পারছেন। এতে আয় বাড়বে, পরিবারে স্থিতিশীলতা আসবে, যা সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করবে।