নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শীতকালীন সবজির খেত -সংবাদ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা এক দিনের ভারী বৃষ্টিতে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধান ও শীতকালীন সবজির মাঠে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ও পাকা রাস্তা তলিয়ে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এছাড়া ২০৫ হেক্টর জমিতে মরিচ, ১৭৬ হেক্টর জমিতে শাকসবজি এবং ৪৬৬টি পুকুরে মাছ চাষ করা হয়েছে। একদিনের টানা বৃষ্টিতে এসব ফসল ও মাছের চাষাবাদ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে উপজেলার কৃষকদের ব্যাপক ফসল ও মাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
১নং বুড়ইল ইউনিয়নের আমনচাষি বক্কার আলী বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ধান কাটতাম। কিন্তু হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে। ধানের শিষ পানিতে ডুবে গেছে। পানি দ্রুত না কমলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে, তখন বাজারে ভালো দামও পাওয়া যাবে না।
কেবল আমন নয়, বিপাকে পড়েছেন শীতকালীন সবজিচাষিরাও। মাঠে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, টমেটো, বেগুন ও মুলার আবাদ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে এসব খেতে পানি জমে গাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভাটরা ইউনিয়নের কৃষক রাজু মিয়া বলেন, আগাম জাতের সবজি চাষ করেছি, আর কিছুদিন পর বাজারে তুলতে পারতাম। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে, এখন সেগুলো নষ্ট হওয়ার পথে।
থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের এক কৃষক জানান, অল্প কিছু জমিতে আগাম জাতের সবজি চাষ করেছিলাম। টানা বৃষ্টিতে সেগুলোরও অনেকটা ক্ষতি হয়েছে।
মৎস্যচাষি জিয়া রহমান বলেন, বৃষ্টিতে পুকুরের পানি উপচে পড়ছে। আবহাওয়া ভালো না হলে মাছ পুকুর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, সমুদ্রে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে টানা বৃষ্টিতে ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমন ধান ও শীতকালীন সবজিতে কিছুটা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেন দ্রুত জমি থেকে পানি বের করে দেওয়া যায়। প্রয়োজনে নালা কেটে পানি নিষ্কাশন ও উপযুক্ত ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শীতকালীন সবজির খেত -সংবাদ
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা এক দিনের ভারী বৃষ্টিতে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধান ও শীতকালীন সবজির মাঠে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ও পাকা রাস্তা তলিয়ে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এছাড়া ২০৫ হেক্টর জমিতে মরিচ, ১৭৬ হেক্টর জমিতে শাকসবজি এবং ৪৬৬টি পুকুরে মাছ চাষ করা হয়েছে। একদিনের টানা বৃষ্টিতে এসব ফসল ও মাছের চাষাবাদ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে উপজেলার কৃষকদের ব্যাপক ফসল ও মাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
১নং বুড়ইল ইউনিয়নের আমনচাষি বক্কার আলী বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ধান কাটতাম। কিন্তু হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে। ধানের শিষ পানিতে ডুবে গেছে। পানি দ্রুত না কমলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে, তখন বাজারে ভালো দামও পাওয়া যাবে না।
কেবল আমন নয়, বিপাকে পড়েছেন শীতকালীন সবজিচাষিরাও। মাঠে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, টমেটো, বেগুন ও মুলার আবাদ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে এসব খেতে পানি জমে গাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভাটরা ইউনিয়নের কৃষক রাজু মিয়া বলেন, আগাম জাতের সবজি চাষ করেছি, আর কিছুদিন পর বাজারে তুলতে পারতাম। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে, এখন সেগুলো নষ্ট হওয়ার পথে।
থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের এক কৃষক জানান, অল্প কিছু জমিতে আগাম জাতের সবজি চাষ করেছিলাম। টানা বৃষ্টিতে সেগুলোরও অনেকটা ক্ষতি হয়েছে।
মৎস্যচাষি জিয়া রহমান বলেন, বৃষ্টিতে পুকুরের পানি উপচে পড়ছে। আবহাওয়া ভালো না হলে মাছ পুকুর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, সমুদ্রে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে টানা বৃষ্টিতে ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমন ধান ও শীতকালীন সবজিতে কিছুটা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেন দ্রুত জমি থেকে পানি বের করে দেওয়া যায়। প্রয়োজনে নালা কেটে পানি নিষ্কাশন ও উপযুক্ত ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।