ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এক দিন মুজুরের গরু অবৈধ ভাবে নিলামের অভিযোগ উঠায় নেত্রকোনার প্রত্যন্ত গ্রাম দলপায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্যের। ষাড়ের লড়াইয়ে অংশ নেয়ার অভিযোগে গোহাল ঘর থেকে গরু আটক করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে নিলাম করেছে প্রশাসন। যদিও লড়াইয়ে অংশ নেয়নি বলে দাবি করছে ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা। তবে পুলিশের দাবি জুয়ার আসরে অংশ নেয়ায় গরুটি আটক করে নিলাম দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের দলপা গ্রামে দিন মুজুর সিরাজুল ইসলাম একটি ষাড় লালন পালন করছিলেন। গত ২৮ অক্টোবর সকালে গরুটি চড়াতে পার্শবর্তী গ্রামে নিয়ে গেলে হঠাৎ উত্তেজিত হলে তাৎক্ষনিক রামপুর বাজারের ব্যবসায়ী হাদীস মিয়ার গোয়াল ঘরে বিশ্রামে রাখা হয়।
কিন্তু এর আগে ভোরে আশুজিয়া ইউনিয়নের কৈলাটি নদীর পাড়ে ষাঁড়ের লড়াই আয়োজন করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরু নিয়ে পালিয়ে যান আয়োজকরা। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া গরু আটকে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে স্থানীয় শিক্ষক শফিকুল ইসলামের তথ্যে রামপুর বাজারে হাদীস মিয়ার বাড়ির গোয়াল ঘরে বাঁধা অবস্থায় গরুটি আটক করে পুলিশ। পরে কয়েক ঘন্টার মধ্যে গরুটি নিলাম করে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। গোয়ালঘর থেকে আটককৃত গরুর নিলামে দেয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় শরিফ মিয়া, রুবেল মেম্বারসহ একাধিক বাসিন্দারা জানান, গরুটি দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করছিলেন দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম। প্রতিদিনের ন্যায় গ্রামে চড়ানোর উদ্যেশ্যে গরু নিয়ে বের হলে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যায়। এসময় রামপুর বাজারে হাদীস মিয়ার বাড়ির গোয়াল ঘরে বেধে রাখা হয়। পরে লড়াইয়ে অংশ নেয়া ষাড় উদ্ধার অভিযানের নামে পুলিশ। এ সময় গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখা সিরাজুলের গরুটি ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তরিগড়ি করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মোবাইকের্টের মাধ্যমে নিলামে তুলা হয়। তাদের অভিযোগ কোন রকম যাচাই বাছাই না করে গরুটি নিলামে দেয়া হয়েছে।
এদিকে গরুর মালিক সিরাজুলের দাবি, ২৮ অক্টোবর সকাল ১১টায় পুলিশ লড়াইয়ের গরু বলে তার গরুটি ধরে নিয়ে যায়। পরে থানায় গেলেও দায়িত্বশীল কারো সাথে দেখা করতে পারেননি। শেষে তাকে না জানিয়েই ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায় ষাড়টি রামপুর বাজারে নিলামে বিক্রি করা হয়। এখন গরুটি জাবাই করতে চাঁপ সৃষ্টি করছে পুলিশ।
নিলামের পর থেকেই ক্রেতা আপেল মিয়ার বাড়িতে কসাইসহ বারবার আসছে পুলিশ। কিন্ত গরুটি জবাই করার আগে তাকে জবাই করতে হবে বলে জানান তিনি। তাই সার্বক্ষনিক তিনি গরুটির পাশেই থাকছেন।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি করেন সিরাজুল।
ক্রেতা আপেল মিয়ার দাবি নিলামে গরুটি কিনলেও পুলিশ জোর করে গরুর শিং কেটে দেয়ার চেষ্টা করে। এখন প্রতিদিন তার বাড়িতে কসাই নিয়ে বারবার আসছে পুলিশ। গরুটি জবাই করতে চাপ সৃষ্টি করছেন।
এদিকে পুলিশকে তথ্য প্রদানকারী শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, নিলামকৃত ষাড়টি লড়েইয়ে অংশ নিয়েছিলো। তাই এটিকে ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে লড়াইয়ে অংশ না নেয়া গরু নিলামে দেয়ার অভিযোগ উঠায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দুয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাঈম-উল ইসলাম চৌধুরী জানান, মালিকানা ও সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ প্রসিকিউশন দিয়েছে। সে অনুযায়ী নিলাম হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
এক দিন মুজুরের গরু অবৈধ ভাবে নিলামের অভিযোগ উঠায় নেত্রকোনার প্রত্যন্ত গ্রাম দলপায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্যের। ষাড়ের লড়াইয়ে অংশ নেয়ার অভিযোগে গোহাল ঘর থেকে গরু আটক করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে নিলাম করেছে প্রশাসন। যদিও লড়াইয়ে অংশ নেয়নি বলে দাবি করছে ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা। তবে পুলিশের দাবি জুয়ার আসরে অংশ নেয়ায় গরুটি আটক করে নিলাম দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের দলপা গ্রামে দিন মুজুর সিরাজুল ইসলাম একটি ষাড় লালন পালন করছিলেন। গত ২৮ অক্টোবর সকালে গরুটি চড়াতে পার্শবর্তী গ্রামে নিয়ে গেলে হঠাৎ উত্তেজিত হলে তাৎক্ষনিক রামপুর বাজারের ব্যবসায়ী হাদীস মিয়ার গোয়াল ঘরে বিশ্রামে রাখা হয়।
কিন্তু এর আগে ভোরে আশুজিয়া ইউনিয়নের কৈলাটি নদীর পাড়ে ষাঁড়ের লড়াই আয়োজন করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরু নিয়ে পালিয়ে যান আয়োজকরা। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া গরু আটকে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে স্থানীয় শিক্ষক শফিকুল ইসলামের তথ্যে রামপুর বাজারে হাদীস মিয়ার বাড়ির গোয়াল ঘরে বাঁধা অবস্থায় গরুটি আটক করে পুলিশ। পরে কয়েক ঘন্টার মধ্যে গরুটি নিলাম করে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। গোয়ালঘর থেকে আটককৃত গরুর নিলামে দেয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় শরিফ মিয়া, রুবেল মেম্বারসহ একাধিক বাসিন্দারা জানান, গরুটি দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করছিলেন দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম। প্রতিদিনের ন্যায় গ্রামে চড়ানোর উদ্যেশ্যে গরু নিয়ে বের হলে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যায়। এসময় রামপুর বাজারে হাদীস মিয়ার বাড়ির গোয়াল ঘরে বেধে রাখা হয়। পরে লড়াইয়ে অংশ নেয়া ষাড় উদ্ধার অভিযানের নামে পুলিশ। এ সময় গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখা সিরাজুলের গরুটি ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তরিগড়ি করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মোবাইকের্টের মাধ্যমে নিলামে তুলা হয়। তাদের অভিযোগ কোন রকম যাচাই বাছাই না করে গরুটি নিলামে দেয়া হয়েছে।
এদিকে গরুর মালিক সিরাজুলের দাবি, ২৮ অক্টোবর সকাল ১১টায় পুলিশ লড়াইয়ের গরু বলে তার গরুটি ধরে নিয়ে যায়। পরে থানায় গেলেও দায়িত্বশীল কারো সাথে দেখা করতে পারেননি। শেষে তাকে না জানিয়েই ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায় ষাড়টি রামপুর বাজারে নিলামে বিক্রি করা হয়। এখন গরুটি জাবাই করতে চাঁপ সৃষ্টি করছে পুলিশ।
নিলামের পর থেকেই ক্রেতা আপেল মিয়ার বাড়িতে কসাইসহ বারবার আসছে পুলিশ। কিন্ত গরুটি জবাই করার আগে তাকে জবাই করতে হবে বলে জানান তিনি। তাই সার্বক্ষনিক তিনি গরুটির পাশেই থাকছেন।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি করেন সিরাজুল।
ক্রেতা আপেল মিয়ার দাবি নিলামে গরুটি কিনলেও পুলিশ জোর করে গরুর শিং কেটে দেয়ার চেষ্টা করে। এখন প্রতিদিন তার বাড়িতে কসাই নিয়ে বারবার আসছে পুলিশ। গরুটি জবাই করতে চাপ সৃষ্টি করছেন।
এদিকে পুলিশকে তথ্য প্রদানকারী শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, নিলামকৃত ষাড়টি লড়েইয়ে অংশ নিয়েছিলো। তাই এটিকে ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে লড়াইয়ে অংশ না নেয়া গরু নিলামে দেয়ার অভিযোগ উঠায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দুয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাঈম-উল ইসলাম চৌধুরী জানান, মালিকানা ও সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ প্রসিকিউশন দিয়েছে। সে অনুযায়ী নিলাম হয়েছে।