দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : লাই শাক পরিচর্চায় ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
কুমিল্লার গোমতি নদীর বালুচরে এখন চোখে পরে সবুজের সমারোহ। দূর থেকে তাকালে মনে হয় যেন এক সবুজ চাদরে মোড়ানো বিশাল এক মাঠ। চরের জমিতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে লাউ শাক। অল্প পুজিতে বেশি লাভ হয় এই শাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চরের শতাধিক কৃষক।
উপজেলার গ্রামের কৃষক আবুল বাশার কয়েক বছর আগেও গোমতির চরে লাউ মুলা ও লাল শাক চাষ করতেন। কিন্তু বর্ষার মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় তার। লোকসান পুড়িয়ে ওঠা ছিল কঠিন। পরে স্থানীয় পাইকারদের পরামর্শে তিনি লাউয়ের পরিবর্তে লাউ শাকের চাষ শুরু করেস। কারণ লাউ শাকের বাজার চাহিদা বেশি দামও ভালো। এখন তিনি প্রায় ৬০ শতক জমিতে লাউ শাক চাষ করে বেশ লাভবান তার সাফল্য দেখে আশপাশের শতাধিক কৃষক এখন লাউ শাক চাষ শুরু করেছেন। আগে যারা অন্য ফসল চাষ করতেন তারাও এখন লাউ শাক চাষ শুরু করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বেশ কিছু গ্রামে চড়ে ভরে উঠেছে সারিসারি সবুজ ফসলের মাঠ। লাউ শাক ছাড়াও শীতের আগাম সবজি যেমন মূলা, লাল শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গোল আলু খেতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা।
তাদের কেউ কেউ দলবেঁধে খেতে আগাছা পরিষ্কার করছে কেউ জমিতে পোকামাকড় দমনের ঔষধ ছিটাচ্ছেন কেউ আবার লাউশাকে ডগা কেটে আটি বাড়ছে।
কৃষক মিজানুর রহমান লাউ এর ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেল তিনি নিজের ভাগিনা ও ছেলেকে নিয়ে লাউশাকের ডগা কেটে আটি তৈরি করছেন। আর একজন শ্রমিক সে আঁটি পানিতে ধুয়ে বঞ্চির বেরিবাদের উপর সারিবদ্ধ করে রাখছেন। কৃষক মিজানুর রহমান বলেন লাউয়ের তুলনামূলক লাউশাকের ঝুঁকি ও খরচ কম। লাভ ও বেশি। এক গাছ থেকে চার পাঁচ বার পর্যন্ত ডগা কাটা যায়।
বৃষ্টিতে ক্ষতি হয় না আর পোকামাকড়ে আক্রমণও কম। আগে লাউ চাষ করতাম এতে ঝামেলা বেশি মাচা তৈরি করতে হয় পাহারা দিতে হয় খরচ ও পরিশ্রম বেশি। শাকে যেমন লাভ একই রকম লাভ লাউয়ের ও। এ শাক মাটিতেই বেড়ে ওঠে মাচা লাগেনা। একই গাছ থেকে ১০-২০ দিন পর পর ডগা কাটা যায়। ৬/৭ টি ডগা একত্র করে একটা করে আটি বাধা হয়। প্রতি আটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা যায়। প্রতি কানে জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ বিশ হাজার থেকে ত্রিশ হাজার টাকা লাভ করা হয়। তাই এখন লাউ বাদ দিয়ে লাউ শাকের চাষ করি। লাউ শাক শেষ হলে আলু চাষ করব। গ্রামের কৃষক আবুল খায়র বলেন বাজারে লাউয়ের চেয়ে শাকের চাহিদা বেশি। পাইকাররা লাউ না কিনে শাক কিনতে আগ্রহী বেশি তাই এখন লাউ শাক চাষ করি।
প্রতি আছি শাককে খরচ বাদে ১৫ থেকে ২০ টাকা লাভ হয়। একটি লাউ বেঁচলেও তা লাভ হয় না। এই গাছ থেকে কয়েক দফার লাউয়ের ডগা কাটা যায়। আগে লালসা কমলা চাষ করতাম অতিবৃষ্টিও পোকামাকড়ের কারণে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায় লোকসান হয় বেশি। তাই সহজ পদ্ধতিতে লাউ শাক চাষ করি। তিনি আরো বলেন এ শাক প্রথমে নিমসার পাইকারি বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : লাই শাক পরিচর্চায় ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার গোমতি নদীর বালুচরে এখন চোখে পরে সবুজের সমারোহ। দূর থেকে তাকালে মনে হয় যেন এক সবুজ চাদরে মোড়ানো বিশাল এক মাঠ। চরের জমিতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে লাউ শাক। অল্প পুজিতে বেশি লাভ হয় এই শাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চরের শতাধিক কৃষক।
উপজেলার গ্রামের কৃষক আবুল বাশার কয়েক বছর আগেও গোমতির চরে লাউ মুলা ও লাল শাক চাষ করতেন। কিন্তু বর্ষার মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় তার। লোকসান পুড়িয়ে ওঠা ছিল কঠিন। পরে স্থানীয় পাইকারদের পরামর্শে তিনি লাউয়ের পরিবর্তে লাউ শাকের চাষ শুরু করেস। কারণ লাউ শাকের বাজার চাহিদা বেশি দামও ভালো। এখন তিনি প্রায় ৬০ শতক জমিতে লাউ শাক চাষ করে বেশ লাভবান তার সাফল্য দেখে আশপাশের শতাধিক কৃষক এখন লাউ শাক চাষ শুরু করেছেন। আগে যারা অন্য ফসল চাষ করতেন তারাও এখন লাউ শাক চাষ শুরু করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বেশ কিছু গ্রামে চড়ে ভরে উঠেছে সারিসারি সবুজ ফসলের মাঠ। লাউ শাক ছাড়াও শীতের আগাম সবজি যেমন মূলা, লাল শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গোল আলু খেতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা।
তাদের কেউ কেউ দলবেঁধে খেতে আগাছা পরিষ্কার করছে কেউ জমিতে পোকামাকড় দমনের ঔষধ ছিটাচ্ছেন কেউ আবার লাউশাকে ডগা কেটে আটি বাড়ছে।
কৃষক মিজানুর রহমান লাউ এর ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেল তিনি নিজের ভাগিনা ও ছেলেকে নিয়ে লাউশাকের ডগা কেটে আটি তৈরি করছেন। আর একজন শ্রমিক সে আঁটি পানিতে ধুয়ে বঞ্চির বেরিবাদের উপর সারিবদ্ধ করে রাখছেন। কৃষক মিজানুর রহমান বলেন লাউয়ের তুলনামূলক লাউশাকের ঝুঁকি ও খরচ কম। লাভ ও বেশি। এক গাছ থেকে চার পাঁচ বার পর্যন্ত ডগা কাটা যায়।
বৃষ্টিতে ক্ষতি হয় না আর পোকামাকড়ে আক্রমণও কম। আগে লাউ চাষ করতাম এতে ঝামেলা বেশি মাচা তৈরি করতে হয় পাহারা দিতে হয় খরচ ও পরিশ্রম বেশি। শাকে যেমন লাভ একই রকম লাভ লাউয়ের ও। এ শাক মাটিতেই বেড়ে ওঠে মাচা লাগেনা। একই গাছ থেকে ১০-২০ দিন পর পর ডগা কাটা যায়। ৬/৭ টি ডগা একত্র করে একটা করে আটি বাধা হয়। প্রতি আটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা যায়। প্রতি কানে জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ বিশ হাজার থেকে ত্রিশ হাজার টাকা লাভ করা হয়। তাই এখন লাউ বাদ দিয়ে লাউ শাকের চাষ করি। লাউ শাক শেষ হলে আলু চাষ করব। গ্রামের কৃষক আবুল খায়র বলেন বাজারে লাউয়ের চেয়ে শাকের চাহিদা বেশি। পাইকাররা লাউ না কিনে শাক কিনতে আগ্রহী বেশি তাই এখন লাউ শাক চাষ করি।
প্রতি আছি শাককে খরচ বাদে ১৫ থেকে ২০ টাকা লাভ হয়। একটি লাউ বেঁচলেও তা লাভ হয় না। এই গাছ থেকে কয়েক দফার লাউয়ের ডগা কাটা যায়। আগে লালসা কমলা চাষ করতাম অতিবৃষ্টিও পোকামাকড়ের কারণে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায় লোকসান হয় বেশি। তাই সহজ পদ্ধতিতে লাউ শাক চাষ করি। তিনি আরো বলেন এ শাক প্রথমে নিমসার পাইকারি বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।