মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা। মাছের জনপদ হিসেবে মোহনগঞ্জের সুখ্যাতি অনেক পুরনো। হাওর বাওর বেষ্টিত মোহনগঞ্জ উপজেলার মাছের গল্প মুখে মুখে। এমন এক সময় ছিল যখন ভাটির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ভাড়ে ভাড়ে, ঘোড়ায় করে মাছ আসতো মোহনগঞ্জের মাছঘাটে। ডাকের মাধ্যমে রেলে করে চালান হতো দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মোহনগঞ্জের কাঁচা মাছের পাশাপাশি রয়েছে শুঁটকি মাছের ঐতিহ্য। বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মাছের ঐতিহ্য নিয়ে মোহনগঞ্জে জমে উঠেছে শুঁটকির হাট। প্রতি বুধবার পৌরশহরে এখন শুঁটকির হাট জমজমাট। মূলত এটি একটি মৌসুমি হাট। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত এখানে শুঁটকির হাট বসে। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ও মোহনগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মানুষ শুঁটকি নিয়ে হাটে জড়ো হন ক্রেতা বিক্রেতারা। ভাদ্র মাস থেকে হাওর বাওর থেকে মাছ ধরে ডাঙ্গির (মাছ শুকানোর পদ্ধতি) মাধ্যমে মাছ শুকিয়ে বাজারজাত করেন এক শ্রেণীর মানুষ। কাকডাকা ভোর থেকে মানুষ বিভিন্ন মাছের শুটকি নিয়ে হাটে জড়ো হতে থাকেন। গৃহস্থারাও কমবেশি শুঁটকি নিয়ে আসেন মোহনগঞ্জের শুঁটকির হাটে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন শুঁটকির হাটে। আড়তদারদের মাধ্যমে শুঁটকি কিনে নিয়ে যান বিভিন্ন এলাকায়। উৎকৃষ্ট মানের চ্যাপা তৈরিতে মোহনগঞ্জের পুটিমাছ শুঁটকির চাহিদা রয়েছে। শুঁটকি হাটের আড়তদার চন্দন সরকার বলেন, মোহনগঞ্জরে শুঁটকির চাহিদা দেশজুড়ে। অত্র এলাকার এটিই শুঁটকির বড় হাট। আগে আরো জমজমাট ছিল। শুঁটকির আমদানি আরো বেশি ছিল। শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে আগত শুঁটকির ব্যাপারী আঃ ছালাম জানান বাপের আমল থেকে মোহনগঞ্জে আসি শুঁটকি কিনতে, আগে আমার বাপ আসতেন। বয়সের ভাড়ে তিনি আসেন না। আমি ধরে রেখেছি। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে এখানে চলে কেনাবেচা।হাট ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা বিক্রেতার কোলাহলে মুখরিত মোহনগঞ্জের ঐতিহ্যবাহি শুঁটকির হাট।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা। মাছের জনপদ হিসেবে মোহনগঞ্জের সুখ্যাতি অনেক পুরনো। হাওর বাওর বেষ্টিত মোহনগঞ্জ উপজেলার মাছের গল্প মুখে মুখে। এমন এক সময় ছিল যখন ভাটির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ভাড়ে ভাড়ে, ঘোড়ায় করে মাছ আসতো মোহনগঞ্জের মাছঘাটে। ডাকের মাধ্যমে রেলে করে চালান হতো দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মোহনগঞ্জের কাঁচা মাছের পাশাপাশি রয়েছে শুঁটকি মাছের ঐতিহ্য। বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মাছের ঐতিহ্য নিয়ে মোহনগঞ্জে জমে উঠেছে শুঁটকির হাট। প্রতি বুধবার পৌরশহরে এখন শুঁটকির হাট জমজমাট। মূলত এটি একটি মৌসুমি হাট। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত এখানে শুঁটকির হাট বসে। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ও মোহনগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মানুষ শুঁটকি নিয়ে হাটে জড়ো হন ক্রেতা বিক্রেতারা। ভাদ্র মাস থেকে হাওর বাওর থেকে মাছ ধরে ডাঙ্গির (মাছ শুকানোর পদ্ধতি) মাধ্যমে মাছ শুকিয়ে বাজারজাত করেন এক শ্রেণীর মানুষ। কাকডাকা ভোর থেকে মানুষ বিভিন্ন মাছের শুটকি নিয়ে হাটে জড়ো হতে থাকেন। গৃহস্থারাও কমবেশি শুঁটকি নিয়ে আসেন মোহনগঞ্জের শুঁটকির হাটে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন শুঁটকির হাটে। আড়তদারদের মাধ্যমে শুঁটকি কিনে নিয়ে যান বিভিন্ন এলাকায়। উৎকৃষ্ট মানের চ্যাপা তৈরিতে মোহনগঞ্জের পুটিমাছ শুঁটকির চাহিদা রয়েছে। শুঁটকি হাটের আড়তদার চন্দন সরকার বলেন, মোহনগঞ্জরে শুঁটকির চাহিদা দেশজুড়ে। অত্র এলাকার এটিই শুঁটকির বড় হাট। আগে আরো জমজমাট ছিল। শুঁটকির আমদানি আরো বেশি ছিল। শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে আগত শুঁটকির ব্যাপারী আঃ ছালাম জানান বাপের আমল থেকে মোহনগঞ্জে আসি শুঁটকি কিনতে, আগে আমার বাপ আসতেন। বয়সের ভাড়ে তিনি আসেন না। আমি ধরে রেখেছি। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে এখানে চলে কেনাবেচা।হাট ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা বিক্রেতার কোলাহলে মুখরিত মোহনগঞ্জের ঐতিহ্যবাহি শুঁটকির হাট।