ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ইরাদত ও নাজির শিকদারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্টো তারা থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে নড়াইলের মাছিমদিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
তৌহিদ শেখসহ ভুক্তভোগীরা জানান, ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ থেকে ডিসিআর মূলে ৬৯ শতক জমি ভোগদখল করে আসছেন তারা। এর মধ্যে তৌহিদ শেখ ১৩ শতক, মোজাহের শেখ ও তরিকুল শেখ ২০ শতক, নূর আলম ও হামিদা দম্পতি ১৫ শতক, রেবেকা ১২ শতক এবং মোহাম্মদ সবুর নয় শতক জমি ভোগদখল করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা নিজেদের ডিসিআরভুক্ত জমিতে বিছালী রাখার জন্য নতুন ঘর নির্মাণ শুরু করলে প্রতিপক্ষরা বাধা দেন। ইরাদত, নাজির, শাহাদত, রহিম শিকদার, মিরাজ, ফিরোজ, সিয়াম ও রবিউল শেখসহ আরো কয়েকজন ঘর নির্মাণে বাধা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাধা দেয়ার একপর্যায়ে ইরাদত শিকদারের মাথায় টিনের আঘাত লাগে। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় তৌহিদ শেখদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিপক্ষরা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী তৌহিদ শেখ বলেন, আমাদের জমি দখলের চেষ্টা যেমন করা হচ্ছে; তেমনি থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। টিনে ইরাদত শিকদারের মাথায় আঘাত লাগলেও আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রতিপক্ষরা বাধা দেয়ায় আমরা জমিতে কোনো কাজ করতে পারছি না।
তৌহিদ শেখ আরও বলেন, এই জমি লক্ষèী ও অনিমারা ওয়ারিশ হিসেবে দাবি করলেও আদালতে তা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। জমির ওয়ারিশ প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে লোকজন ভাড়া করে এনে আমাদের ডিসিআর কাটা জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। এছাড়া কৃষ্ণপুর মৌজায় শফিউদ্দিন নামের একব্যক্তির ১৮ শতক জমিও অভিযুক্তরা দখলের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে ইরাদত ও নাজির শিকদারসহ অভিযুক্তরা দাবি করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে; তা ঠিক নয়। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এসব বলা হচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ইরাদত ও নাজির শিকদারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্টো তারা থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে নড়াইলের মাছিমদিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
তৌহিদ শেখসহ ভুক্তভোগীরা জানান, ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ থেকে ডিসিআর মূলে ৬৯ শতক জমি ভোগদখল করে আসছেন তারা। এর মধ্যে তৌহিদ শেখ ১৩ শতক, মোজাহের শেখ ও তরিকুল শেখ ২০ শতক, নূর আলম ও হামিদা দম্পতি ১৫ শতক, রেবেকা ১২ শতক এবং মোহাম্মদ সবুর নয় শতক জমি ভোগদখল করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা নিজেদের ডিসিআরভুক্ত জমিতে বিছালী রাখার জন্য নতুন ঘর নির্মাণ শুরু করলে প্রতিপক্ষরা বাধা দেন। ইরাদত, নাজির, শাহাদত, রহিম শিকদার, মিরাজ, ফিরোজ, সিয়াম ও রবিউল শেখসহ আরো কয়েকজন ঘর নির্মাণে বাধা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাধা দেয়ার একপর্যায়ে ইরাদত শিকদারের মাথায় টিনের আঘাত লাগে। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় তৌহিদ শেখদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিপক্ষরা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী তৌহিদ শেখ বলেন, আমাদের জমি দখলের চেষ্টা যেমন করা হচ্ছে; তেমনি থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। টিনে ইরাদত শিকদারের মাথায় আঘাত লাগলেও আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রতিপক্ষরা বাধা দেয়ায় আমরা জমিতে কোনো কাজ করতে পারছি না।
তৌহিদ শেখ আরও বলেন, এই জমি লক্ষèী ও অনিমারা ওয়ারিশ হিসেবে দাবি করলেও আদালতে তা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। জমির ওয়ারিশ প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে লোকজন ভাড়া করে এনে আমাদের ডিসিআর কাটা জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। এছাড়া কৃষ্ণপুর মৌজায় শফিউদ্দিন নামের একব্যক্তির ১৮ শতক জমিও অভিযুক্তরা দখলের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে ইরাদত ও নাজির শিকদারসহ অভিযুক্তরা দাবি করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে; তা ঠিক নয়। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এসব বলা হচ্ছে।