ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
টেকনাফ উপকূলে নাফনদীর মোহনা থেকে একটি ট্রলারসহ ছয় বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের গোলার চর সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত জেলেরা হলেন, মো. আয়াছ, মো. ইয়াছিন, জিয়াউর রহমান, আতাউর হোসেন, কেফায়েত উল্লাহ ও রশিদ উল্লাহ। তাঁরা সবাই কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ জানান, টেকনাফের আবদুল মতলবের মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলার সাগর থেকে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। তখন আরাকান আর্মির একটি নৌকা এসে ট্রলারটিতে উঠে ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পুরো উপকূলের জেলেরা আতঙ্কে আছে।
এদিকে মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশি ট্রলারগুলো মিয়ানমারের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত তারা অন্তত ১৮৮ জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরে ছেড়ে দেয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, একটি ট্রলারসহ ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত আট মাসে নাফ নদী ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে পরে ফেরত আনা গেলেও এখনো অন্তত ১০০ জন জেলে তাদের হাতে বন্দি বলে জানা গেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
টেকনাফ উপকূলে নাফনদীর মোহনা থেকে একটি ট্রলারসহ ছয় বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের গোলার চর সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত জেলেরা হলেন, মো. আয়াছ, মো. ইয়াছিন, জিয়াউর রহমান, আতাউর হোসেন, কেফায়েত উল্লাহ ও রশিদ উল্লাহ। তাঁরা সবাই কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ জানান, টেকনাফের আবদুল মতলবের মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলার সাগর থেকে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। তখন আরাকান আর্মির একটি নৌকা এসে ট্রলারটিতে উঠে ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পুরো উপকূলের জেলেরা আতঙ্কে আছে।
এদিকে মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশি ট্রলারগুলো মিয়ানমারের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত তারা অন্তত ১৮৮ জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরে ছেড়ে দেয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, একটি ট্রলারসহ ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত আট মাসে নাফ নদী ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে পরে ফেরত আনা গেলেও এখনো অন্তত ১০০ জন জেলে তাদের হাতে বন্দি বলে জানা গেছে।