নীলফামারীর ডিমলায় প্রেম করে বিয়ে করার অপরাধে গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতন। বেধড়ক মারপিট ও রড দিয়ে মাথায় অঘাত করে জখম করার অভিযোগ গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখমী অবস্থায় ঐ গৃহবধূকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার প,ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে রাসেল ইসলাম (২৬) একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে মোছা, রত্না আক্তার (২৪) কে গত ৭ বছর আগে পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছরের মাথায় ইয়ামিন (৬) নামের একটি কন্যা সন্তান হয়। প্রেম করে বিয়ে করার কারণে বিয়ের পর হতে রত্না আক্তার কে পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় রত্না আক্তার কে দেবর সোহেল রানা (২৪) সহ শশুর বাড়ির ৪/৫ জন মিলে বেধরক মারপিট করে এবং রড দ্বারা মাথায় আঘাত করে গুরুতর যখন করে। ঘটনার পর এলাকাবাসী রত্না আক্তার কে জখমী ও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
ছাতনাই ইউনিয়নের পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান জানান, কালিগঞ্জ গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রত্না আক্তার কে একই গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে রাসেল ইসলাম প্রেম ঘটিত কারনে পিতা-মাতার মতামত না নিয়ে বিয়ে করার কারনে রাসেলের অভিভাবকরা মেনে নিতে পারেনি। সে কারনে দীর্ঘদিন যাবত রত্না আক্তার নামের গৃহবধূটির উপরে নির্যাতন সহ পারিবারিক কলহ-বিবাদ চলে আসছে। আমি অনেক চেষ্টা করেও তাদের মধ্যে বিরাজমান বিবাদ মিটাতে পারিনি।
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আরমান জানান, রত্না নামের হাসপাতালে ভর্তি রোগীটির মাথায় প্রচন্ড চোট লেগে কেটে গেছে এছাড়া তার পুরো শরীরে মারপিটের জখমের অসংখ্য ছিহ্ন রয়েছে।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী জানান, রত্না আক্তার নামের গৃহবধূকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারপিট করে গুরুতর আহত করার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় প্রেম করে বিয়ে করার অপরাধে গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতন। বেধড়ক মারপিট ও রড দিয়ে মাথায় অঘাত করে জখম করার অভিযোগ গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখমী অবস্থায় ঐ গৃহবধূকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার প,ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে রাসেল ইসলাম (২৬) একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে মোছা, রত্না আক্তার (২৪) কে গত ৭ বছর আগে পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছরের মাথায় ইয়ামিন (৬) নামের একটি কন্যা সন্তান হয়। প্রেম করে বিয়ে করার কারণে বিয়ের পর হতে রত্না আক্তার কে পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় রত্না আক্তার কে দেবর সোহেল রানা (২৪) সহ শশুর বাড়ির ৪/৫ জন মিলে বেধরক মারপিট করে এবং রড দ্বারা মাথায় আঘাত করে গুরুতর যখন করে। ঘটনার পর এলাকাবাসী রত্না আক্তার কে জখমী ও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
ছাতনাই ইউনিয়নের পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান জানান, কালিগঞ্জ গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রত্না আক্তার কে একই গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে রাসেল ইসলাম প্রেম ঘটিত কারনে পিতা-মাতার মতামত না নিয়ে বিয়ে করার কারনে রাসেলের অভিভাবকরা মেনে নিতে পারেনি। সে কারনে দীর্ঘদিন যাবত রত্না আক্তার নামের গৃহবধূটির উপরে নির্যাতন সহ পারিবারিক কলহ-বিবাদ চলে আসছে। আমি অনেক চেষ্টা করেও তাদের মধ্যে বিরাজমান বিবাদ মিটাতে পারিনি।
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আরমান জানান, রত্না নামের হাসপাতালে ভর্তি রোগীটির মাথায় প্রচন্ড চোট লেগে কেটে গেছে এছাড়া তার পুরো শরীরে মারপিটের জখমের অসংখ্য ছিহ্ন রয়েছে।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী জানান, রত্না আক্তার নামের গৃহবধূকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারপিট করে গুরুতর আহত করার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।