সাতক্ষীরা : পলো বাওয়া দিয়ে মাছ ধরার উৎসব -সংবাদ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাছ ধরার জন্য গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘পলো বাওয়া উৎসব’ চলছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ উৎসব চলছে। প্রতিদিন উপজেলার নোয়াকাটি বিল, কাজিরহাট বিল, ভাড়কীর বিল, কায়বা কোলনী বিলে ও লক্ষিখোলার বিলে এই উৎসবে হাজার হাজার মাছ শিকারি অংশ নিচ্ছেন। চন্দনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, আশরাফুজ্জামান,আলমগীর হোসেন, সাব্বির হোসেন, রায়হান, আতাউরসহ কয়েকজন যুবক শীত মৌসুমজুড়ে এই উৎসবের আয়োজন করেন। এজন্য আগেই মাইকিং ও ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে পলো বাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
চন্দনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ জানান, কলারোয়া উপজেলার কয়েকটি বড় বড় বিল পানিতে ডুবে থাকে। এসব বিলে আমন ধান না হওয়ায় মৎস্য শিকারিরা মাছ ধরেন। তবে বিলের পানি নিষ্কাশনের নির্দিষ্ট সময়ে আয়োজন করা হয় পলো বাওয়া উৎসবের।
তিনি আরো বলেন, কলারোয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম থেকে শৌখিন মাছ শিকারিরা ভোর থেকে জড়ো হন বিলপাড়ে। পূর্ব থেকেই নির্ধারিত দিনে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে পলো বাওয়া। আয়োজক কমিটির সদস্য রিপন হোসেন বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য মাছ ধরার জন্য পলো বাওয়া । অনেক পুরোনো এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে চায়না জাল, কারেন্ট জালে মাছ শিকার বন্ধে সচেতনতা তৈরি করতেই ঘোষণা দিয়ে পলো বাওয়ার আয়োজন করা হয়।
আলমগীর হোসেন নামে আরেক সদস্য জানান, আমরা আশানুরূপ মাছ পাচ্ছি। তবে উন্মুক্ত জলাশয়ে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে অনেকে মাছ ধরার কারণে বিলে মাছের সংকট দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় আয়োজন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবার পলো বাওয়া উৎসব হচ্ছে শুনেছি। তবে ওই সব বিলে জলাবদ্ধার কারণে ফসল হয় না। তাই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে মাছ ধরার জন্য পলো বাওয়া উৎসব পালন করে। এছাড়া ওই সমস্ত জমি ব্যক্তি মালিকানা হওয়ায় কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সাতক্ষীরা : পলো বাওয়া দিয়ে মাছ ধরার উৎসব -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাছ ধরার জন্য গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘পলো বাওয়া উৎসব’ চলছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ উৎসব চলছে। প্রতিদিন উপজেলার নোয়াকাটি বিল, কাজিরহাট বিল, ভাড়কীর বিল, কায়বা কোলনী বিলে ও লক্ষিখোলার বিলে এই উৎসবে হাজার হাজার মাছ শিকারি অংশ নিচ্ছেন। চন্দনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, আশরাফুজ্জামান,আলমগীর হোসেন, সাব্বির হোসেন, রায়হান, আতাউরসহ কয়েকজন যুবক শীত মৌসুমজুড়ে এই উৎসবের আয়োজন করেন। এজন্য আগেই মাইকিং ও ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে পলো বাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
চন্দনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ জানান, কলারোয়া উপজেলার কয়েকটি বড় বড় বিল পানিতে ডুবে থাকে। এসব বিলে আমন ধান না হওয়ায় মৎস্য শিকারিরা মাছ ধরেন। তবে বিলের পানি নিষ্কাশনের নির্দিষ্ট সময়ে আয়োজন করা হয় পলো বাওয়া উৎসবের।
তিনি আরো বলেন, কলারোয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম থেকে শৌখিন মাছ শিকারিরা ভোর থেকে জড়ো হন বিলপাড়ে। পূর্ব থেকেই নির্ধারিত দিনে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে পলো বাওয়া। আয়োজক কমিটির সদস্য রিপন হোসেন বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য মাছ ধরার জন্য পলো বাওয়া । অনেক পুরোনো এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে চায়না জাল, কারেন্ট জালে মাছ শিকার বন্ধে সচেতনতা তৈরি করতেই ঘোষণা দিয়ে পলো বাওয়ার আয়োজন করা হয়।
আলমগীর হোসেন নামে আরেক সদস্য জানান, আমরা আশানুরূপ মাছ পাচ্ছি। তবে উন্মুক্ত জলাশয়ে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে অনেকে মাছ ধরার কারণে বিলে মাছের সংকট দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় আয়োজন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবার পলো বাওয়া উৎসব হচ্ছে শুনেছি। তবে ওই সব বিলে জলাবদ্ধার কারণে ফসল হয় না। তাই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে মাছ ধরার জন্য পলো বাওয়া উৎসব পালন করে। এছাড়া ওই সমস্ত জমি ব্যক্তি মালিকানা হওয়ায় কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।