ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে রেশমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ নিজের আড়াই বছরের অসুস্থ কন্যা লামিয়া খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজ বাড়িতেই এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত রেশমা খাতুন সৌদি প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী। লামিয়া ছিল তাদের একমাত্র সন্তান।ঘটনার খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশু লামিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। অর্থাভাবে তার সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেননি মা রেশমা। প্রবাসী স্বামী রহিদুল ইসলাম নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন না এবং সংসারের খরচও দিতেন না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক সংকট ও অশান্তিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েই রেশমা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ ম-ল বলেন, শিশু সন্তানকে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছেন এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা।
সন্ধ্যায় বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোলাইমান শেখ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক সংকট, শিশুর অসুস্থতা ও পারিবারিক অশান্তি থেকে হতাশ হয়ে রেশমা খাতুন তার শিশুকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছ। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে রেশমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ নিজের আড়াই বছরের অসুস্থ কন্যা লামিয়া খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজ বাড়িতেই এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত রেশমা খাতুন সৌদি প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী। লামিয়া ছিল তাদের একমাত্র সন্তান।ঘটনার খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশু লামিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। অর্থাভাবে তার সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেননি মা রেশমা। প্রবাসী স্বামী রহিদুল ইসলাম নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন না এবং সংসারের খরচও দিতেন না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক সংকট ও অশান্তিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েই রেশমা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ ম-ল বলেন, শিশু সন্তানকে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছেন এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা।
সন্ধ্যায় বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোলাইমান শেখ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক সংকট, শিশুর অসুস্থতা ও পারিবারিক অশান্তি থেকে হতাশ হয়ে রেশমা খাতুন তার শিশুকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছ। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।