বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের কম্পাউন্ডে বিপুল পরিমাণ জাটকা লুট করেছে স্থানীয় লোকজন। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক আলী হাসান।
ঘটনার সূত্রপাত ‘পাচারের মাছ’ আটক করে তা বিতরণের সময়। কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী কিংস পরিবহনের একটি বাসে জাটকা পাচারের খবর পাওয়া যায়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকায় মৎস্য কর্মকর্তারা অবস্থান নেন। পরবর্তীতে বাসটি আটক করে ১৬টি কার্টুনে ভর্তি জাটকা উদ্ধার করে দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সহকারী পরিচালক আলী হাসান বলেন, “উদ্ধারকৃত মাছগুলো বিতরণের জন্য নগরীর প্রায় ৩০টি এতিমখানা, মাদ্রাসা ও শিশু সদনকে জানানো হয়। একটি কার্টুন বিতরণের পর হঠাৎ কয়েকশ নারী-পুরুষ কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে বাকী মাছ লুট করে নিয়ে যায়। লাঠিচার্জ করেও তাদের থামানো যায়নি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশালের এক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, কুয়াকাটার আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দর থেকে প্রায় নিয়মিতভাবেই বিপুল পরিমাণ জাটকা ঢাকায় পাচার হয়। কয়েকজন ব্যবসায়ী এই পাচারের সঙ্গে জড়িত এবং তারা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে নির্দিষ্ট হারে টাকা দিয়ে যাত্রীবাহী বাসে জাটকা পাঠায়।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার উদ্ধার হওয়া জাটকার আনুমানিক বাজারমূল্য পাঁচ লাখ টাকার মতো হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী আল আমিন বলেন, “মৎস্য অফিসের কর্মী, মাদ্রাসার লোক, আনসার সদস্য আর কিছু সাংবাদিক তখন ভেতরে ছিলেন। মাছ বিতরণের জন্য গেট খোলা হলে আশপাশের মানুষ হুড়োহুড়ি করে ঢুকে ব্যাগে ভর্তি করে মাছ নিয়ে যায়।”
ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নারী, পুরুষ ও শিশুরা দৌঁড়ে গিয়ে জাটকা নিচ্ছে — কেউ হাতে কেউবা ব্যাগে ভরে নিয়ে যাচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের কম্পাউন্ডে বিপুল পরিমাণ জাটকা লুট করেছে স্থানীয় লোকজন। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক আলী হাসান।
ঘটনার সূত্রপাত ‘পাচারের মাছ’ আটক করে তা বিতরণের সময়। কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী কিংস পরিবহনের একটি বাসে জাটকা পাচারের খবর পাওয়া যায়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকায় মৎস্য কর্মকর্তারা অবস্থান নেন। পরবর্তীতে বাসটি আটক করে ১৬টি কার্টুনে ভর্তি জাটকা উদ্ধার করে দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সহকারী পরিচালক আলী হাসান বলেন, “উদ্ধারকৃত মাছগুলো বিতরণের জন্য নগরীর প্রায় ৩০টি এতিমখানা, মাদ্রাসা ও শিশু সদনকে জানানো হয়। একটি কার্টুন বিতরণের পর হঠাৎ কয়েকশ নারী-পুরুষ কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে বাকী মাছ লুট করে নিয়ে যায়। লাঠিচার্জ করেও তাদের থামানো যায়নি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশালের এক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, কুয়াকাটার আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দর থেকে প্রায় নিয়মিতভাবেই বিপুল পরিমাণ জাটকা ঢাকায় পাচার হয়। কয়েকজন ব্যবসায়ী এই পাচারের সঙ্গে জড়িত এবং তারা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে নির্দিষ্ট হারে টাকা দিয়ে যাত্রীবাহী বাসে জাটকা পাঠায়।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার উদ্ধার হওয়া জাটকার আনুমানিক বাজারমূল্য পাঁচ লাখ টাকার মতো হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী আল আমিন বলেন, “মৎস্য অফিসের কর্মী, মাদ্রাসার লোক, আনসার সদস্য আর কিছু সাংবাদিক তখন ভেতরে ছিলেন। মাছ বিতরণের জন্য গেট খোলা হলে আশপাশের মানুষ হুড়োহুড়ি করে ঢুকে ব্যাগে ভর্তি করে মাছ নিয়ে যায়।”
ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নারী, পুরুষ ও শিশুরা দৌঁড়ে গিয়ে জাটকা নিচ্ছে — কেউ হাতে কেউবা ব্যাগে ভরে নিয়ে যাচ্ছে।