ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নেত্রকোনার পূর্বধলায় পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এক নারীর গর্ভপাত ঘটিয়ে নবজাতকের মৃত্যু নবজাতকের মরদেহ পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভিতরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত নবজাতকের মা নার্গিস আক্তার (৩৫) এর স্বামী রহমত আলী ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। পাঁচ বছর আগে তিনি স্বল্প সময়ের জন্য দেশে এসে পুনরায় বিদেশে চলে যান। তাদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে।
প্রায় এক বছর আগে নার্গিস আক্তারের সঙ্গে তার ফুফা-শ্বশুরের ছেলে শাহ আলমের (২৫) পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্ক থেকে তিনি গর্ভবতী হন। গর্ভাবস্থার সাত মাস পূর্ণ হলে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ সময় শাহ আলম গর্ভপাতের জন্য নার্গিসকে চাপ দিতে থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে শাহ আলম জোরপূর্বক নার্গিস আক্তারকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ান। ওষুধ খাওয়ার পর পেটব্যথা শুরু হলে তিনি দেবরের শ্বশুরের বাড়িতে যান। সেখানে ধাত্রী হাসিনা আক্তারের সহায়তায় তিনি মৃত নবজাতকের জন্ম দেন। পরে নবজাতকের মরদেহ পাশের জঙ্গলে ফেলে দেন নার্গিস।
সংবাদ পেয়ে পূর্বধলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ধাত্রী হাসিনা আক্তার জানান, তিনিই নার্গিসের প্রসব করান।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নবজাতকের মা’কেও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
নেত্রকোনার পূর্বধলায় পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এক নারীর গর্ভপাত ঘটিয়ে নবজাতকের মৃত্যু নবজাতকের মরদেহ পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভিতরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত নবজাতকের মা নার্গিস আক্তার (৩৫) এর স্বামী রহমত আলী ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। পাঁচ বছর আগে তিনি স্বল্প সময়ের জন্য দেশে এসে পুনরায় বিদেশে চলে যান। তাদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে।
প্রায় এক বছর আগে নার্গিস আক্তারের সঙ্গে তার ফুফা-শ্বশুরের ছেলে শাহ আলমের (২৫) পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্ক থেকে তিনি গর্ভবতী হন। গর্ভাবস্থার সাত মাস পূর্ণ হলে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ সময় শাহ আলম গর্ভপাতের জন্য নার্গিসকে চাপ দিতে থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে শাহ আলম জোরপূর্বক নার্গিস আক্তারকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ান। ওষুধ খাওয়ার পর পেটব্যথা শুরু হলে তিনি দেবরের শ্বশুরের বাড়িতে যান। সেখানে ধাত্রী হাসিনা আক্তারের সহায়তায় তিনি মৃত নবজাতকের জন্ম দেন। পরে নবজাতকের মরদেহ পাশের জঙ্গলে ফেলে দেন নার্গিস।
সংবাদ পেয়ে পূর্বধলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ধাত্রী হাসিনা আক্তার জানান, তিনিই নার্গিসের প্রসব করান।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নবজাতকের মা’কেও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।