ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
টাকা চাইনা বিচার চাই, গরিব মানুষের টাকা নেই বলে কি বিচার পাবো না। এভাবে অঝোরে কেঁধে দিনমজুর পরিবারের পিতা মাতার আর্তনাদ। মকতব শিক্ষকের বেতনের টাকা দিতে না পারায় ক্রিকেট স্টাম্প থেকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর জখম অতপর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৭ মাস পরে শিশু শিক্ষার্থী নুসরাত খাতুনের মর্মান্তিক মৃত্যু। এ মর্মান্তিক মৃত্যু এলাকাবাসি ও স্বজনরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের মধ্য খাউলিয়া গ্রামে। শিক্ষার্থীর মাতা মোসা. শাহিদা বেগম বাদি হয়ে উক্ত শিক্ষক মামুন শেখের বিরুদ্ধে বাগেরহাট বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পরবর্তী তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিশন (পিবিআই) কে নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ঘটনায় গত রোববার বেলা ১২টায় ভুক্তভোগী স্বজন ও স্থানীয় গ্রামবাসিরা মাদ্রাসার (মকতব) শিক্ষক মামুন শেখের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন।
মানববন্ধন থেকে বিক্ষোভকারিরা অভিযোগ করে বলেন, মধ্য খাউলিয়া গ্রামের দিনমজুর নাসির শেখের মেয়ে নুসরাত খাতুন (১১) ২৭৩নং মধ্যে খাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ও ইসলামী শিক্ষাদানের জন্য একই গ্রামের বাড়ির নিকটে মকতব শিক্ষক মো. মামুন শেখের নিকট প্রতিনিয়ত সেপারা পড়তো। উক্ত মকতব শিক্ষকের ৩ মাসের ৬শ’ টাকা বকেয়া বেতন না দিতে পারায় ঘটনারদিন গত বছরের ২৪ অক্টোবর শিক্ষার্থী নুসরাত খাতুন প্রতিদিনের ন্যায় মকতবের ক্লাসে গেলে শিক্ষক বকেয়া বেতনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম। ওই জখমী স্থানে টিউমার হয়ে ক্যান্সারে রুপ নেয়। চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে প্রথমে ঢাকার নিটর মহাখালী সর্বশেষ এভার কেয়ার মেডিকেল হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৭ মাস চিকিৎসার পরে গত ২৯ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। তার র্দীঘ চিকিৎসায় দিনমজুর পরিবারের সম্বল সামান্য জমিটুকুও হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ে। তবুও মেয়েকে বাঁচাতে পারেনি।
মানববন্ধন থেকে মাতা সাহিদা বেগম, পিতা নাসির শেখ, প্রতিবেশী বেল্লাল হোসেন, শাহ আলম আকন, রোজিনা আক্তার, দুলিয়া বেগম, নিলুফা বেগম, সহপাঠি নুরুন নাহারসহ একাধিকরা উক্ত শিক্ষক মামুন শেখের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
মধ্য খাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক ডালিয়া আক্তার বলেন, নুসরাত খাতুন বিদ্যালয় থেকে ২০২৪ সালে ৫ম শ্রেনীতে পাস করেছেন। সকালে সে মকতবেও পড়তেন। তবে, তার মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পরে মারা গেছে। প্রকৃত ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক তদন্তকারি কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার বলেন, সাহিদা বেগমের দায়েরকৃত মামলা তদন্তধিন রয়েছে। শিক্ষার্থী নুসরাত খাতুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যান্সারে আক্রান্ত্রের বিষয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসাপতালে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
টাকা চাইনা বিচার চাই, গরিব মানুষের টাকা নেই বলে কি বিচার পাবো না। এভাবে অঝোরে কেঁধে দিনমজুর পরিবারের পিতা মাতার আর্তনাদ। মকতব শিক্ষকের বেতনের টাকা দিতে না পারায় ক্রিকেট স্টাম্প থেকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর জখম অতপর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৭ মাস পরে শিশু শিক্ষার্থী নুসরাত খাতুনের মর্মান্তিক মৃত্যু। এ মর্মান্তিক মৃত্যু এলাকাবাসি ও স্বজনরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের মধ্য খাউলিয়া গ্রামে। শিক্ষার্থীর মাতা মোসা. শাহিদা বেগম বাদি হয়ে উক্ত শিক্ষক মামুন শেখের বিরুদ্ধে বাগেরহাট বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পরবর্তী তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিশন (পিবিআই) কে নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ঘটনায় গত রোববার বেলা ১২টায় ভুক্তভোগী স্বজন ও স্থানীয় গ্রামবাসিরা মাদ্রাসার (মকতব) শিক্ষক মামুন শেখের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন।
মানববন্ধন থেকে বিক্ষোভকারিরা অভিযোগ করে বলেন, মধ্য খাউলিয়া গ্রামের দিনমজুর নাসির শেখের মেয়ে নুসরাত খাতুন (১১) ২৭৩নং মধ্যে খাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ও ইসলামী শিক্ষাদানের জন্য একই গ্রামের বাড়ির নিকটে মকতব শিক্ষক মো. মামুন শেখের নিকট প্রতিনিয়ত সেপারা পড়তো। উক্ত মকতব শিক্ষকের ৩ মাসের ৬শ’ টাকা বকেয়া বেতন না দিতে পারায় ঘটনারদিন গত বছরের ২৪ অক্টোবর শিক্ষার্থী নুসরাত খাতুন প্রতিদিনের ন্যায় মকতবের ক্লাসে গেলে শিক্ষক বকেয়া বেতনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম। ওই জখমী স্থানে টিউমার হয়ে ক্যান্সারে রুপ নেয়। চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে প্রথমে ঢাকার নিটর মহাখালী সর্বশেষ এভার কেয়ার মেডিকেল হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৭ মাস চিকিৎসার পরে গত ২৯ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। তার র্দীঘ চিকিৎসায় দিনমজুর পরিবারের সম্বল সামান্য জমিটুকুও হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ে। তবুও মেয়েকে বাঁচাতে পারেনি।
মানববন্ধন থেকে মাতা সাহিদা বেগম, পিতা নাসির শেখ, প্রতিবেশী বেল্লাল হোসেন, শাহ আলম আকন, রোজিনা আক্তার, দুলিয়া বেগম, নিলুফা বেগম, সহপাঠি নুরুন নাহারসহ একাধিকরা উক্ত শিক্ষক মামুন শেখের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
মধ্য খাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক ডালিয়া আক্তার বলেন, নুসরাত খাতুন বিদ্যালয় থেকে ২০২৪ সালে ৫ম শ্রেনীতে পাস করেছেন। সকালে সে মকতবেও পড়তেন। তবে, তার মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পরে মারা গেছে। প্রকৃত ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক তদন্তকারি কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার বলেন, সাহিদা বেগমের দায়েরকৃত মামলা তদন্তধিন রয়েছে। শিক্ষার্থী নুসরাত খাতুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যান্সারে আক্রান্ত্রের বিষয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসাপতালে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।