গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি সড়কের ঘোড়া ফার্মের সামনের স্থানে এক’শ ফুট রাস্তা বছরজুড়ে জমে থাকে নোংরা পানি। শুকনো মৌসুমেও ড্রেন উপচে পড়ে রাস্তায় পঁচা পানি সড়কে ওঠে। এতে শিশু, বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ছে। নিয়ামত ড্রেন পরিষ্কার না করা এবং পাশের স্থানীয় লবনদহ নদী ভরাটের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয় বলে দাবী করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাওনা ইউনিয়নের বেলতলি গ্রামের লোকজনের শ্রীপুর উপজেলা সদরে আসার একমাত্র সড়ক এটি। পৌরসভার দক্ষিন বেড়াইদেরচালা এলাকার লোকজনদেরকে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়।
বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের স্থানীয় শিক্ষার্থী তানিয়া তানজিলা, মোক্তার মোল্লা, বাঁধন, জোনায়েদ সীমা আক্তারসহ তাদের সহপাঠিরা জানান, নোংরা পানি পাড়ি দিয়েই যেতে হয় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্চে। দীর্ঘদিন যাবত সড়কে ময়লা পানি জমে থাকায় বিভিন্ন স্থানে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে গেছে। আমাদের অনেক সহপাঠি মাঝে মধ্যে সড়কে জমে থাকা নোংরা পানিতে পিছলে পড়ে জামাকাপড়সহ বই খাতা নষ্ট হয়ে যায়। এ সড়ক দিয়ে আমাদের চলাচলে খুব কষ্ট হয়। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদেরকে এ সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটিতে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোনো স্থায়ী সমাধান নেয়নি। নর্দমা উপচে পড়ার কারণে রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পথচারীরা প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন। শিশুদের স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ঘরের কাছাকাছি নোংরা পানি ও কাঁদা চলে আসায় চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এতে দৈনন্দিন কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে।
তারা আরো বলেন, এ সড়কের আশপাশে আরাগান ডেনিম লিমিটেড, ডিজাইনটেক্স লিমিটেড, ওয়েলডান অ্যাপারেলস্ লিেিমিটড এবং এমএনআর ডিজাইন লিমিটেড কারখানার দূষিত পানি পৌরসভার নির্মিত ড্রেন দিয়ে প্রবাহিত হয়। সে তুলনায় ড্রেন সরু হয়ে গেছে এবং স্বাভাবিকভাবে পানি চলাচল করতে না পারায় ড্রেন ওভার ফ্লু হয়ে পনি সড়কের উপরে উঠে জমে থাকার কারণে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন ও মাহফুজ মিয়া বলেন, গত ১০ বছরে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন ভবন গড়ে উঠেছে। কিন্তু এখনো ময়লা অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আশপাশের কারখানা বা বাজারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। ড্রেনের পানি উপচে দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য পানিতে ভেসে আশপাশের আবাদি জমিতে চলে যায় এবং সড়কে জমে থাকে। পানি নিষ্কাশনেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়রা যত্রতত্র ও খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা স্তুপ করে রাখলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বাসাবাড়ি থেকে ময়লা নিয়ে যায় না। ময়লার ট্রাক এলাকায় ঢোকে না।
স্থানীয় কৃষক মাহফুজ মিয়া এবং কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব মিয়া বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্যে ড্রেন থাকলেও তার গভীরতা অপ্রতুল। অনেক জায়গায় ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে, কোথাও ভেঙ্গে গেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে বর্জ্য জমে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে রয়েছে। ড্রেনের পানি আরো দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অনেকে গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য হয়ে এ সড়ক দিয়ে নাক চেপে চলতে হচ্ছেএ
এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন বলেন, রিকশা, ভ্যান বা মোটরসাইকেল কোনো যানবাহনই এ সড়ক দিয়ে সহজে চলাচল করতে পারে না। বেশি ভাড়া দিলেও রিকশাওয়ালারা এলাকায় আসতে চায় না। বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বেহাল দশা হয়ে পড়ে। পৌরসভায় বললেও কেউ এসে দেখে না। কয়েকদিন আগে পৌরপ্রশাসকের নির্দেশে পৌরসভা থেকে লোকজন এসে সড়ক পরিদর্শন করে গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি এলাকায় পোশাক ও ডাইং কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখানকার দুর্গন্ধযুক্ত পানির সাথে বর্জ্য সরাসরি ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। দূষণ প্রতিরোধে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতেও তারা প্রতিকার পাচ্ছে না।
শ্রীপুর পৌর সচেতন নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, বছরের ১২ মাসই পানি জমে থাকে দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি সড়কে। তাছাড়া ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বর্ষা মৌসুম ছাড়াও বর্তমান সময়ে আশপাশের কারখানাগুলোর দুষিত পানি ড্রেন উপচে সড়কে পানি জমে যায়। ফলে সড়ক সব সময় কাদাময় ও পিচ্ছিল অবস্থায় থাকে। যা শুধু চলাচলের অসুবিধাই নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্যও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন এলাকার কেউ অসুস্থ হয়। এ সড়ক দিয়ে কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি সহজে ঢুকতে পারে না। সময় মতো গাড়ি পাওয়া যায় না। এতে মুমুর্ষ রোগীদেরকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ অবস্থায় এলাকাবাসী ড্রেনেজ ব্যবস্থা অরো সম্প্রসারন করে ড্রেন গভীর করা এবং সড়ক উঁচু করে নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
শ্রীপুর পৌর প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, এই ড্রেনটা দুইটি কারখানা আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তারা নিজেরাই করে নিয়েছে। পানি আটকানোর জন্য শুধু কারখানাই দায়ী নয়। আশেপাশে প্রায় তিন’শ বাড়ী ঘরের সুয়ারেজের লাইন দেওয়া হয়েছে। ড্রেনের ভেতরে কম্বল, জিন্স প্যান্ট, শার্ট এগুলো পাওয়া গেছে। বিশেষ করে খালের মুখে যেখানে পাইপ দিয়ে পানি বের হয় সেখানে পলি জমে খালের লেয়ার উপরে উঠে গেছে। অলরেডি এসকেভেটর দিয়ে পাইপের মুখ পরিষ্কারের কার্যক্রম চলছে। পিটগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনটি কারখানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ দায়িত্বে নিয়মিত পিটগুলো পরিষ্কার করবে। বিশেষ করে সকালবেলা কয়েক হাজার শ্রমিক গোসল, রান্নাবান্না শেষ করে ডিউটিতে যায়। তখন পানির চাপ বেশি থাকায় পানি ওভার ফ্লু হয়ে সড়কের উপরে উঠে আসে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি সড়কের ঘোড়া ফার্মের সামনের স্থানে এক’শ ফুট রাস্তা বছরজুড়ে জমে থাকে নোংরা পানি। শুকনো মৌসুমেও ড্রেন উপচে পড়ে রাস্তায় পঁচা পানি সড়কে ওঠে। এতে শিশু, বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ছে। নিয়ামত ড্রেন পরিষ্কার না করা এবং পাশের স্থানীয় লবনদহ নদী ভরাটের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয় বলে দাবী করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাওনা ইউনিয়নের বেলতলি গ্রামের লোকজনের শ্রীপুর উপজেলা সদরে আসার একমাত্র সড়ক এটি। পৌরসভার দক্ষিন বেড়াইদেরচালা এলাকার লোকজনদেরকে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়।
বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের স্থানীয় শিক্ষার্থী তানিয়া তানজিলা, মোক্তার মোল্লা, বাঁধন, জোনায়েদ সীমা আক্তারসহ তাদের সহপাঠিরা জানান, নোংরা পানি পাড়ি দিয়েই যেতে হয় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্চে। দীর্ঘদিন যাবত সড়কে ময়লা পানি জমে থাকায় বিভিন্ন স্থানে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে গেছে। আমাদের অনেক সহপাঠি মাঝে মধ্যে সড়কে জমে থাকা নোংরা পানিতে পিছলে পড়ে জামাকাপড়সহ বই খাতা নষ্ট হয়ে যায়। এ সড়ক দিয়ে আমাদের চলাচলে খুব কষ্ট হয়। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদেরকে এ সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটিতে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোনো স্থায়ী সমাধান নেয়নি। নর্দমা উপচে পড়ার কারণে রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পথচারীরা প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন। শিশুদের স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ঘরের কাছাকাছি নোংরা পানি ও কাঁদা চলে আসায় চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এতে দৈনন্দিন কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে।
তারা আরো বলেন, এ সড়কের আশপাশে আরাগান ডেনিম লিমিটেড, ডিজাইনটেক্স লিমিটেড, ওয়েলডান অ্যাপারেলস্ লিেিমিটড এবং এমএনআর ডিজাইন লিমিটেড কারখানার দূষিত পানি পৌরসভার নির্মিত ড্রেন দিয়ে প্রবাহিত হয়। সে তুলনায় ড্রেন সরু হয়ে গেছে এবং স্বাভাবিকভাবে পানি চলাচল করতে না পারায় ড্রেন ওভার ফ্লু হয়ে পনি সড়কের উপরে উঠে জমে থাকার কারণে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন ও মাহফুজ মিয়া বলেন, গত ১০ বছরে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন ভবন গড়ে উঠেছে। কিন্তু এখনো ময়লা অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আশপাশের কারখানা বা বাজারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। ড্রেনের পানি উপচে দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য পানিতে ভেসে আশপাশের আবাদি জমিতে চলে যায় এবং সড়কে জমে থাকে। পানি নিষ্কাশনেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়রা যত্রতত্র ও খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা স্তুপ করে রাখলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বাসাবাড়ি থেকে ময়লা নিয়ে যায় না। ময়লার ট্রাক এলাকায় ঢোকে না।
স্থানীয় কৃষক মাহফুজ মিয়া এবং কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব মিয়া বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্যে ড্রেন থাকলেও তার গভীরতা অপ্রতুল। অনেক জায়গায় ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে, কোথাও ভেঙ্গে গেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে বর্জ্য জমে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে রয়েছে। ড্রেনের পানি আরো দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অনেকে গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য হয়ে এ সড়ক দিয়ে নাক চেপে চলতে হচ্ছেএ
এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন বলেন, রিকশা, ভ্যান বা মোটরসাইকেল কোনো যানবাহনই এ সড়ক দিয়ে সহজে চলাচল করতে পারে না। বেশি ভাড়া দিলেও রিকশাওয়ালারা এলাকায় আসতে চায় না। বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বেহাল দশা হয়ে পড়ে। পৌরসভায় বললেও কেউ এসে দেখে না। কয়েকদিন আগে পৌরপ্রশাসকের নির্দেশে পৌরসভা থেকে লোকজন এসে সড়ক পরিদর্শন করে গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি এলাকায় পোশাক ও ডাইং কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখানকার দুর্গন্ধযুক্ত পানির সাথে বর্জ্য সরাসরি ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। দূষণ প্রতিরোধে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতেও তারা প্রতিকার পাচ্ছে না।
শ্রীপুর পৌর সচেতন নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, বছরের ১২ মাসই পানি জমে থাকে দক্ষিন বেড়াইদেরচালা-বেলতলি সড়কে। তাছাড়া ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বর্ষা মৌসুম ছাড়াও বর্তমান সময়ে আশপাশের কারখানাগুলোর দুষিত পানি ড্রেন উপচে সড়কে পানি জমে যায়। ফলে সড়ক সব সময় কাদাময় ও পিচ্ছিল অবস্থায় থাকে। যা শুধু চলাচলের অসুবিধাই নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্যও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন এলাকার কেউ অসুস্থ হয়। এ সড়ক দিয়ে কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি সহজে ঢুকতে পারে না। সময় মতো গাড়ি পাওয়া যায় না। এতে মুমুর্ষ রোগীদেরকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ অবস্থায় এলাকাবাসী ড্রেনেজ ব্যবস্থা অরো সম্প্রসারন করে ড্রেন গভীর করা এবং সড়ক উঁচু করে নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
শ্রীপুর পৌর প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, এই ড্রেনটা দুইটি কারখানা আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তারা নিজেরাই করে নিয়েছে। পানি আটকানোর জন্য শুধু কারখানাই দায়ী নয়। আশেপাশে প্রায় তিন’শ বাড়ী ঘরের সুয়ারেজের লাইন দেওয়া হয়েছে। ড্রেনের ভেতরে কম্বল, জিন্স প্যান্ট, শার্ট এগুলো পাওয়া গেছে। বিশেষ করে খালের মুখে যেখানে পাইপ দিয়ে পানি বের হয় সেখানে পলি জমে খালের লেয়ার উপরে উঠে গেছে। অলরেডি এসকেভেটর দিয়ে পাইপের মুখ পরিষ্কারের কার্যক্রম চলছে। পিটগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনটি কারখানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ দায়িত্বে নিয়মিত পিটগুলো পরিষ্কার করবে। বিশেষ করে সকালবেলা কয়েক হাজার শ্রমিক গোসল, রান্নাবান্না শেষ করে ডিউটিতে যায়। তখন পানির চাপ বেশি থাকায় পানি ওভার ফ্লু হয়ে সড়কের উপরে উঠে আসে।