রাজশাহীতে বিচারকের ছেলেকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ব্যক্তির পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কমিশনারকে তলব করেছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম জানান, শনিবার রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এ বিষয়ে নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন মামলার শুনানিরও তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৩ নভেম্বর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার ছেলে তাওসিফ রহমানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকেও হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি গুরুতর জখম হন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর শুক্রবার বিচারক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ৩৪ বছর বয়সী লিমনকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম আরও বলেন, “পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায়, লিমন মিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে বক্তব্য প্রদান করেন। যা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র ৩৯ বিএলডি ৪৭০ সহ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, “আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব দেওয়া হবে।”
বিচারক আব্দুর রহমান এক বছর আগে রাজশাহীতে শ্রম আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব নেন। গত অক্টোবরে তাকে মহানগর দায়রা জজ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি শহরের ডাবতলা এলাকার ‘স্পার্ক ভিউ’ নামে একটি ১০ তলা ভবনের পাঁচতলায় স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে তাওসিফকে নিয়ে বসবাস করতেন। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুরে নবম শ্রেণির ছাত্র সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
রাজশাহীতে বিচারকের ছেলেকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ব্যক্তির পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কমিশনারকে তলব করেছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম জানান, শনিবার রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এ বিষয়ে নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন মামলার শুনানিরও তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৩ নভেম্বর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার ছেলে তাওসিফ রহমানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকেও হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি গুরুতর জখম হন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর শুক্রবার বিচারক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ৩৪ বছর বয়সী লিমনকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম আরও বলেন, “পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায়, লিমন মিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে বক্তব্য প্রদান করেন। যা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র ৩৯ বিএলডি ৪৭০ সহ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, “আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব দেওয়া হবে।”
বিচারক আব্দুর রহমান এক বছর আগে রাজশাহীতে শ্রম আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব নেন। গত অক্টোবরে তাকে মহানগর দায়রা জজ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি শহরের ডাবতলা এলাকার ‘স্পার্ক ভিউ’ নামে একটি ১০ তলা ভবনের পাঁচতলায় স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে তাওসিফকে নিয়ে বসবাস করতেন। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুরে নবম শ্রেণির ছাত্র সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।