চুয়াডাঙ্গা : জীবননগরে বীজতলা তৈরি করছেন কৃষক -সংবাদ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেশিরভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ধান চাষের জন্য এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত। অধিকাংশ কৃষক প্রতি বছরে আউশ, আমন ও ইরি ধান চাষ করে থাকেন। আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। সামনে বোরো ধান চাষের মৌসুম আসছে। বোরো ধান চাষের জন্য এখন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জীবননগর উপজেলার কৃষকরা।
জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন কৃষি জমিতে ঘুরে চাষিদের ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ততা দেখা গেছে। বিশেষ করে নিচু জমিতে এই বীজতলা তৈরির কাজ বেশি চলছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলায় অনেকেই এখন বাণিজ্যিকভাবে বীজ তলা তৈরি করছেন। বীজ তলা তৈরি করে অন্যান্য চাষিদের কাছ থেকে ১ কাঠা জমির জন্য ১১০০ টাকা নিচ্ছেন। অনেকেই আবার ৩-৪ বিঘা জমিতে বীজ তলা তৈরি করছেন। বোরো ধান লাগানোর সময় প্রতি বিঘা জমির ধানের চারা ২০০০-২২০০ টাকা দরে বিক্রি করেন তারা।
জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের ধান চাষি শাহাবুদ্দিন বলেন, এবার ২ বিঘা জমিতে ধান লাগাবো। তাই দুই কাঠা জমিতে আজ বীজতলা তৈরি করা করা হলো। প্রথমে কোদাল দিয়ে মাটিগুলো ঝুরঝুরা করে নেওয়া হয়েছে। তারপর এর মধ্যে পানি দিয়ে পাওয়ারট্রলির মাধ্যমে চাষ করে কাদা তৈরি করা হয়। পরে মই বা কলাগাছ দিয়ে কাদাগুলো সমান করা হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের বীজ কিনে রেখেছি। দুইদিন পর ধানগুলো এই বীজ তলায় ছিটানো হবে।
রায়পুর গ্রামের ধান চাষি সুজাত হোসেন জানান, বাংলা অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে থেকে বোরো ধান লাগনো শুরু হবে। এখন থেকেই বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারনে ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে হাওয়ায় সম্ভাবনা থাকে। যার কারনে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জায়গা জুড়ে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে।
ধোপাখালী গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, এবার বৃষ্টি পাতের পরিমাণ বেশি যার কারনে জলাবদ্ধতায় ধান চাষের জমিগুলো পানিতে ডুবে আছে। জমির ডাঙ্গায় কিছু জায়গা পরিষ্কার করে বীজতলা তৈরি করেছি। বীজতলার চারাগুলো এক মাস পরে লাগানো হবে। তখন জমির পানি কমে ধান লাগানোর উপযুক্ত হবে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতবছর জীবননগর উপজেলায় ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। সেখানে ৬ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ হয়েছিল। এটাই এই বছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ করছে। কৃষকদের কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে ও বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের বীজ সংগ্রহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
চুয়াডাঙ্গা : জীবননগরে বীজতলা তৈরি করছেন কৃষক -সংবাদ
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেশিরভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ধান চাষের জন্য এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত। অধিকাংশ কৃষক প্রতি বছরে আউশ, আমন ও ইরি ধান চাষ করে থাকেন। আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। সামনে বোরো ধান চাষের মৌসুম আসছে। বোরো ধান চাষের জন্য এখন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জীবননগর উপজেলার কৃষকরা।
জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন কৃষি জমিতে ঘুরে চাষিদের ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ততা দেখা গেছে। বিশেষ করে নিচু জমিতে এই বীজতলা তৈরির কাজ বেশি চলছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলায় অনেকেই এখন বাণিজ্যিকভাবে বীজ তলা তৈরি করছেন। বীজ তলা তৈরি করে অন্যান্য চাষিদের কাছ থেকে ১ কাঠা জমির জন্য ১১০০ টাকা নিচ্ছেন। অনেকেই আবার ৩-৪ বিঘা জমিতে বীজ তলা তৈরি করছেন। বোরো ধান লাগানোর সময় প্রতি বিঘা জমির ধানের চারা ২০০০-২২০০ টাকা দরে বিক্রি করেন তারা।
জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের ধান চাষি শাহাবুদ্দিন বলেন, এবার ২ বিঘা জমিতে ধান লাগাবো। তাই দুই কাঠা জমিতে আজ বীজতলা তৈরি করা করা হলো। প্রথমে কোদাল দিয়ে মাটিগুলো ঝুরঝুরা করে নেওয়া হয়েছে। তারপর এর মধ্যে পানি দিয়ে পাওয়ারট্রলির মাধ্যমে চাষ করে কাদা তৈরি করা হয়। পরে মই বা কলাগাছ দিয়ে কাদাগুলো সমান করা হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের বীজ কিনে রেখেছি। দুইদিন পর ধানগুলো এই বীজ তলায় ছিটানো হবে।
রায়পুর গ্রামের ধান চাষি সুজাত হোসেন জানান, বাংলা অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে থেকে বোরো ধান লাগনো শুরু হবে। এখন থেকেই বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারনে ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে হাওয়ায় সম্ভাবনা থাকে। যার কারনে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জায়গা জুড়ে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে।
ধোপাখালী গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, এবার বৃষ্টি পাতের পরিমাণ বেশি যার কারনে জলাবদ্ধতায় ধান চাষের জমিগুলো পানিতে ডুবে আছে। জমির ডাঙ্গায় কিছু জায়গা পরিষ্কার করে বীজতলা তৈরি করেছি। বীজতলার চারাগুলো এক মাস পরে লাগানো হবে। তখন জমির পানি কমে ধান লাগানোর উপযুক্ত হবে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতবছর জীবননগর উপজেলায় ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। সেখানে ৬ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ হয়েছিল। এটাই এই বছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ করছে। কৃষকদের কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে ও বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের বীজ সংগ্রহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।