লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভিড় -সংবাদ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে আবহাওয়া পরিবর্তনে বেড়েছে জ্বরের প্রকোপ। জ্বর-সর্দি- কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। জ্বর ঠান্ডা জনিত রোগের দাপটে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন জ্বর ও ঠান্ডা কাশি নিয়ে আসছে প্রায় চার থেকে পাঁচশত রোগী।
একজনের জ্বর হলে পরিবারের অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে ঠান্ডা কাশি শরীরে প্রচণ্ড ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে ৪ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে বহির্বিভাগ প্রতিদিন চারশ’র বেশি জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এছাড়া চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন ভর্তি আছে চার জন চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১২৮ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে থাকলে এই ভোগান্তিও বাড়ে। গরম গিয়ে পড়েছে শীত তাতে বাড়ছে হাঁচি, কাশি, জ্বর, সর্দির মতো সমস্যা। বেশি উদ্বেগ শিশু,বয়স্ক ও শ্বাসের রোগীদের নিয়ে। দুই থেকে তিন দিনের জ্বর নিয়ে আসছেন রোগীরা। উপসর্গও প্রায় একই রকম।
রোগীদের স্বজনরা বলছেন একজনের জ্বর হলে পরিবারের অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে ঠান্ডা কাশি শরীরে প্রচণ্ড ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। জ্বরে ভুগতে হচ্ছে এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত। জ্বর ভালো হওয়ার পরও শারীরিক দুর্বলতা থাকছে। শিশু, বয়স্ক, শ্বাসকষ্টজনিত রোগী এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সেখানে কথা হয় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন আমেনা বেগমের সাথে তিনি বলেন, ছোট ভাইয়ের দুই সপ্তাহ যাবত জ্বর হইছে জ্বর সেরে উঠছে না। জ্বর উঠার পর তিন দিন নাপা ট্যাবলেট খাওয়ানোর পরেও জ্বর থাকায় হাসপাতালে নিয়ে আসছি। ডাঃ তিন দিনের জরের কথা শুনে প্যারাসিটামন তিন বেলা লিখে দেয় প্যারাসিটামল ৫ দিন খাওয়ার পরের জ্বর ছাড়ছে না ঔষধ খাওয়ালে জ্বর চলে যায় কয়ের ঘণ্টা পর আবার আসে এজন্য আবারো ডাঃ দেখাতে আসছি।
জিহাদের আম্মু বলেন বাচ্চাদের জ্বর হলেই চিন্তায় আসে, মনেহয় ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া হয়েছে। পাঁচ টাকা টিকিটে চিকিৎসা পাওয়া যায় বলেই সরকারি হাসপাতালে আসি হাসপাতালের চিকিৎসক জ্বরের কথা শুনে রোগীকে দুর থেকে দেখে প্যারাসিটামল তিন বেলা লিখে দিচ্ছে। চিকিৎসক রোগীকে চেকআপ বা ছুঁয়েও দেখছেন না আমেনা বেগম ও আনছার আলী বলেন ডা. জ্বরের কথা শুনে প্যারসিটামল লিখে দিয়েছে? কাউন্টারে বিনামূল্যে এক পাতা ট্যাবলেট দিয়েছে তিন বেলা খাওয়ার জন্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আবাসিক) মেডিকেল অফিসার ডা. বেবী নাজনীন সোহানা বলেন আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বর ও ঠান্ডা কাশি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গরমের পর আসছে শীত তাতে বাড়ছে হাঁচি, কাশি, জ্বর, সর্দির মতো সমস্যা। প্রতিদিন প্রায় চারশো রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগী আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। বর্তমানে চার জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে? রোগীকে যাতে ঠিকমতো সেবা দেওয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্কর বলেন জ্বরে ভয়ের কিছু নেই সিজেন চেঞ্জ হচ্ছে শীত আসছে তাই এমন হচ্ছে । সিজেন পরিবর্তন হলে জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। জ্বরে এখন পর্যন্ত আমরা এলাইনমেন্ট কিছু দেখছি না।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভিড় -সংবাদ
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে আবহাওয়া পরিবর্তনে বেড়েছে জ্বরের প্রকোপ। জ্বর-সর্দি- কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। জ্বর ঠান্ডা জনিত রোগের দাপটে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন জ্বর ও ঠান্ডা কাশি নিয়ে আসছে প্রায় চার থেকে পাঁচশত রোগী।
একজনের জ্বর হলে পরিবারের অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে ঠান্ডা কাশি শরীরে প্রচণ্ড ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে ৪ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে বহির্বিভাগ প্রতিদিন চারশ’র বেশি জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এছাড়া চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন ভর্তি আছে চার জন চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১২৮ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে থাকলে এই ভোগান্তিও বাড়ে। গরম গিয়ে পড়েছে শীত তাতে বাড়ছে হাঁচি, কাশি, জ্বর, সর্দির মতো সমস্যা। বেশি উদ্বেগ শিশু,বয়স্ক ও শ্বাসের রোগীদের নিয়ে। দুই থেকে তিন দিনের জ্বর নিয়ে আসছেন রোগীরা। উপসর্গও প্রায় একই রকম।
রোগীদের স্বজনরা বলছেন একজনের জ্বর হলে পরিবারের অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে ঠান্ডা কাশি শরীরে প্রচণ্ড ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। জ্বরে ভুগতে হচ্ছে এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত। জ্বর ভালো হওয়ার পরও শারীরিক দুর্বলতা থাকছে। শিশু, বয়স্ক, শ্বাসকষ্টজনিত রোগী এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সেখানে কথা হয় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন আমেনা বেগমের সাথে তিনি বলেন, ছোট ভাইয়ের দুই সপ্তাহ যাবত জ্বর হইছে জ্বর সেরে উঠছে না। জ্বর উঠার পর তিন দিন নাপা ট্যাবলেট খাওয়ানোর পরেও জ্বর থাকায় হাসপাতালে নিয়ে আসছি। ডাঃ তিন দিনের জরের কথা শুনে প্যারাসিটামন তিন বেলা লিখে দেয় প্যারাসিটামল ৫ দিন খাওয়ার পরের জ্বর ছাড়ছে না ঔষধ খাওয়ালে জ্বর চলে যায় কয়ের ঘণ্টা পর আবার আসে এজন্য আবারো ডাঃ দেখাতে আসছি।
জিহাদের আম্মু বলেন বাচ্চাদের জ্বর হলেই চিন্তায় আসে, মনেহয় ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া হয়েছে। পাঁচ টাকা টিকিটে চিকিৎসা পাওয়া যায় বলেই সরকারি হাসপাতালে আসি হাসপাতালের চিকিৎসক জ্বরের কথা শুনে রোগীকে দুর থেকে দেখে প্যারাসিটামল তিন বেলা লিখে দিচ্ছে। চিকিৎসক রোগীকে চেকআপ বা ছুঁয়েও দেখছেন না আমেনা বেগম ও আনছার আলী বলেন ডা. জ্বরের কথা শুনে প্যারসিটামল লিখে দিয়েছে? কাউন্টারে বিনামূল্যে এক পাতা ট্যাবলেট দিয়েছে তিন বেলা খাওয়ার জন্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আবাসিক) মেডিকেল অফিসার ডা. বেবী নাজনীন সোহানা বলেন আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বর ও ঠান্ডা কাশি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গরমের পর আসছে শীত তাতে বাড়ছে হাঁচি, কাশি, জ্বর, সর্দির মতো সমস্যা। প্রতিদিন প্রায় চারশো রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগী আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। বর্তমানে চার জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে? রোগীকে যাতে ঠিকমতো সেবা দেওয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্কর বলেন জ্বরে ভয়ের কিছু নেই সিজেন চেঞ্জ হচ্ছে শীত আসছে তাই এমন হচ্ছে । সিজেন পরিবর্তন হলে জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। জ্বরে এখন পর্যন্ত আমরা এলাইনমেন্ট কিছু দেখছি না।