নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : নষ্ট হওয়া ধান দেখে কৃষকের মাথায় হাত -সংবাদ
বগুড়ার নন্দীগ্রামের পল্লীতে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগাছানাশকে পুড়লো কৃষক আব্দুল কুদ্দুসের আধা পাকা ধান। স্বপ্ন দেখছিলেন সোনার ধান ঘরে তুলে ধান বিক্রির টাকা লাগাবেন সংসারের কাজে কিন্তু রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া কীটনাশকে তার প্রায় ৭০ হাজার টাকার ধানের সাথে পুড়ে গেছে তার স্বপ্ন । রোববার,(১৬ নভেম্বর ২০২৫) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১ নং বুড়ইল ইউনিয়নের গন্ধবপুর গ্রামের মৃত সবর উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস ও রেজাউল করিমের নিজ নামে ক্রয় কৃত ৬৫ শতাংশ জমিতে আমন মৌসুমে ৪৯ জাতের ধান চাষ করেন। ধানের শীষ বের হয়ে দানা পুষ্ঠ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময়ে দুর্বৃত্তরা গোপনে তাদের জমিতে আগাছা নাশক প্রয়োগ করে। আগাছা নাশক প্রয়োগের দুইদিন পর গতকাল শনিবার বিকেলে কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জমিতে গিয়ে দেখেন তার জমির ধান পুড়ে সাদা হয়ে গেছে। কান্না জড়িত কন্ঠে কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমি একজন গরিব চাষী, ৩০ বছর আগে আমাদের দুই ভাইয়ের নামে ক্রয় করা সামান্য জমিতে চাষাবাদ করে আমাদের সংসার চলে। কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। ভালো ফলনের আশায় এ বছর ৪৯ জাতের ধান চাষ করেছিলাম ধানও ভালো হয়েছিল। ধানের শীষ বের হয়ে দানা পুষ্ট হওয়ার আগেই রাতের আঁধারে কে বা কাহারা আমাদের জমিতে আগাছা মারার কীটনাশক ছিটিয়ে দেয়। পরে শনিবার লোকমুখে জানতে পেরে জমিতে গিয়ে দেখি আমার সমস্ত জমির ধান পুড়ে চিটা হয়ে গেছে। এখন আমি পরিবারকে কি খাওয়াবো আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। একই এলাকার কৃষক রয়েল প্রামানিক জানান, আব্দুল কুদ্দুস অত্যন্ত গরিব একজন চাষী। নিজের সামান্য জমিতে চাষ করা ধান দিয়ে তার সংসার চলে এবার তার ধান গুলোও নষ্ট করে দিল দুর্বৃত্তরা। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ধানক্ষেত পরিদর্শন করে নন্দীগ্রাম কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে যথাসাধ্য সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : নষ্ট হওয়া ধান দেখে কৃষকের মাথায় হাত -সংবাদ
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
বগুড়ার নন্দীগ্রামের পল্লীতে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগাছানাশকে পুড়লো কৃষক আব্দুল কুদ্দুসের আধা পাকা ধান। স্বপ্ন দেখছিলেন সোনার ধান ঘরে তুলে ধান বিক্রির টাকা লাগাবেন সংসারের কাজে কিন্তু রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া কীটনাশকে তার প্রায় ৭০ হাজার টাকার ধানের সাথে পুড়ে গেছে তার স্বপ্ন । রোববার,(১৬ নভেম্বর ২০২৫) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১ নং বুড়ইল ইউনিয়নের গন্ধবপুর গ্রামের মৃত সবর উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস ও রেজাউল করিমের নিজ নামে ক্রয় কৃত ৬৫ শতাংশ জমিতে আমন মৌসুমে ৪৯ জাতের ধান চাষ করেন। ধানের শীষ বের হয়ে দানা পুষ্ঠ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময়ে দুর্বৃত্তরা গোপনে তাদের জমিতে আগাছা নাশক প্রয়োগ করে। আগাছা নাশক প্রয়োগের দুইদিন পর গতকাল শনিবার বিকেলে কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জমিতে গিয়ে দেখেন তার জমির ধান পুড়ে সাদা হয়ে গেছে। কান্না জড়িত কন্ঠে কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমি একজন গরিব চাষী, ৩০ বছর আগে আমাদের দুই ভাইয়ের নামে ক্রয় করা সামান্য জমিতে চাষাবাদ করে আমাদের সংসার চলে। কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। ভালো ফলনের আশায় এ বছর ৪৯ জাতের ধান চাষ করেছিলাম ধানও ভালো হয়েছিল। ধানের শীষ বের হয়ে দানা পুষ্ট হওয়ার আগেই রাতের আঁধারে কে বা কাহারা আমাদের জমিতে আগাছা মারার কীটনাশক ছিটিয়ে দেয়। পরে শনিবার লোকমুখে জানতে পেরে জমিতে গিয়ে দেখি আমার সমস্ত জমির ধান পুড়ে চিটা হয়ে গেছে। এখন আমি পরিবারকে কি খাওয়াবো আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। একই এলাকার কৃষক রয়েল প্রামানিক জানান, আব্দুল কুদ্দুস অত্যন্ত গরিব একজন চাষী। নিজের সামান্য জমিতে চাষ করা ধান দিয়ে তার সংসার চলে এবার তার ধান গুলোও নষ্ট করে দিল দুর্বৃত্তরা। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ধানক্ষেত পরিদর্শন করে নন্দীগ্রাম কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে যথাসাধ্য সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।