দুমকি (পটুয়াখালী) : শ্রীরামপুর আশ্রয়ন পল্লী -সংবাদ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর আশ্রয়ন পল্লীতে ঘর বরাদ্দে অনিয়ম, দখল ও ঘর বেচাকেনার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রকৃত উপকারভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আর সরকারি এই বৃহৎ মানবিক উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরাদ্দ ছাড়া কমপক্ষে তিনটি পরিবার আশ্রয়ন পল্লীর তিনটি ঘর দখল করে বসবাস করছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ-তারা বৈবাহিক সূত্রে ‘বাসিন্দাথপরিচয় দেখিয়ে প্রকল্পের ঘরে উঠেছেন। যদিও তাদের স্থায়ী ঠিকানা অন্য উপজেলায়।
ফলে এলাকার প্রকৃত ভূমিহীন ও দরিদ্র মানুষ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।ছাড়া ঘর পেয়ে কেউ কেউ কয়েক মাস না যেতেই তা গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘর বরাদ্দ পাওয়া একব্যক্তি প্রবাসে, অন্তত তিন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে তাদের বরাদ্দকৃত ঘরে বসবাস করছেন না। ঘরগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়, আর মালিকেরা অন্যত্র বসবাস করেন। এতে সরকারি সম্পত্তি অব্যবহৃত থেকে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, ঘরের বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও কিছু ব্যক্তি প্রশাসনের অগোচরে টাকার বিনিময়ে ঘর হস্তান্তর করছেন। এতে আশ্রয়ন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য-বাস্তব অসহায় দ্ররিদ মানুষগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।শ্রীরামপুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।
তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য কেউ কেউ প্রভাবশালী মহলের আশ্রয় নেন। স্থানীয় ইউপি সদস্যদের কেউ কেউও অভিযোগের আড়ালে রয়েছেন।ঘর দখল ও বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, স্বচ্ছল,জায়গাজমি আছে বা অবৈধভাবে কেউ ঘর দখল করে রাখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দুমকি (পটুয়াখালী) : শ্রীরামপুর আশ্রয়ন পল্লী -সংবাদ
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর আশ্রয়ন পল্লীতে ঘর বরাদ্দে অনিয়ম, দখল ও ঘর বেচাকেনার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রকৃত উপকারভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আর সরকারি এই বৃহৎ মানবিক উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরাদ্দ ছাড়া কমপক্ষে তিনটি পরিবার আশ্রয়ন পল্লীর তিনটি ঘর দখল করে বসবাস করছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ-তারা বৈবাহিক সূত্রে ‘বাসিন্দাথপরিচয় দেখিয়ে প্রকল্পের ঘরে উঠেছেন। যদিও তাদের স্থায়ী ঠিকানা অন্য উপজেলায়।
ফলে এলাকার প্রকৃত ভূমিহীন ও দরিদ্র মানুষ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।ছাড়া ঘর পেয়ে কেউ কেউ কয়েক মাস না যেতেই তা গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘর বরাদ্দ পাওয়া একব্যক্তি প্রবাসে, অন্তত তিন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে তাদের বরাদ্দকৃত ঘরে বসবাস করছেন না। ঘরগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়, আর মালিকেরা অন্যত্র বসবাস করেন। এতে সরকারি সম্পত্তি অব্যবহৃত থেকে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, ঘরের বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও কিছু ব্যক্তি প্রশাসনের অগোচরে টাকার বিনিময়ে ঘর হস্তান্তর করছেন। এতে আশ্রয়ন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য-বাস্তব অসহায় দ্ররিদ মানুষগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।শ্রীরামপুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।
তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য কেউ কেউ প্রভাবশালী মহলের আশ্রয় নেন। স্থানীয় ইউপি সদস্যদের কেউ কেউও অভিযোগের আড়ালে রয়েছেন।ঘর দখল ও বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, স্বচ্ছল,জায়গাজমি আছে বা অবৈধভাবে কেউ ঘর দখল করে রাখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।