ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ব্রি ধান-১০৩ জাতের বাম্পার ফলন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয়, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উদ্যোগে এবং পাটনার প্রকল্পের অর্থায়নে কটিয়াদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ব্রি ধান-১০৩ জাতের শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১০৩ এর আবাদ করা হয়েছে। কৃষকদের ক্ষেতে এখন বাতাসে দুলছে সোনানি রঙের ব্রি ধান-১০৩। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে এ ধানের বীজ, সার, সংগ্রহ করেছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এসব ধান কর্তন।
বৃহ:বার বিকেলে উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে কৃষক মোঃ সেলিম মিয়ার জমিতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং কটিয়াদী পৌরসভার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফলিত গবেষণা বিভাগ, ব্রি, গাজীপুর এর চীফ সাইন্টিফিক অফিসার (সিএসও) এবং প্রধান ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফলিত গবেষণা বিভাগ, ব্রি, গাজীপুর এর প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার (পিএসও) ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ হাবিবুর রহমান মুকুল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ সাঈদ হোসেন কটিয়াদী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার আজহার মাহমুদ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জাহানসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় কৃষক/কৃষাণী ও গণমাধ্যমকর্মী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্রি ধান-১০৩ জাতের বৈশিষ্ট্য ও ফলন সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করেন। তারা জানান, এ জাতের ধান দ্রুত পাকে এবং বৈরী আবহাওয়াতেও স্থিতিশীল থাকে। প্রতি বিঘায় গড়ে ২২ থেকে ২৫ মণ ধান উৎপাদন সম্ভব হয়। চাল চিকন ও স্বাদেও উৎকৃষ্ট হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে এ জাতের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঝাকালিয়া ব্লকের চাষি মাইনুল হক মেনু জানান, আমি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান-১০৩ এর বীজ নিয়ে এক বিঘা জমিতে চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূঞা, পৌরসভার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মঈনুল ইসলাম এবং জালালপুর ইউনিয়নের ঝাকালিয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেনের সহযোগিতা ও পরামর্শে আমার জমিতে ব্রি ধান-১০৩ জাতের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.শফিকুল ইসলাম ভূঞা জানান, এ বছর উপজেলার একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ব্লকে আমনের মৌসুমে ব্রি ধান- ১০৩ জাত আবাদ করেছেন কৃষকরা।
কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি ধান-১০৩ জাতটি বিশেষভাবে কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। নমুনা ফসল কর্তনে দেখা যায়, এক বিঘা (৩৫ শতক) জমিতে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে, যা প্রচলিত আমন জাতগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। আগামীতে এ উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১০৩ জাত ধানের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ব্রি ধান-১০৩ জাতের বাম্পার ফলন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয়, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উদ্যোগে এবং পাটনার প্রকল্পের অর্থায়নে কটিয়াদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ব্রি ধান-১০৩ জাতের শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১০৩ এর আবাদ করা হয়েছে। কৃষকদের ক্ষেতে এখন বাতাসে দুলছে সোনানি রঙের ব্রি ধান-১০৩। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে এ ধানের বীজ, সার, সংগ্রহ করেছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এসব ধান কর্তন।
বৃহ:বার বিকেলে উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে কৃষক মোঃ সেলিম মিয়ার জমিতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং কটিয়াদী পৌরসভার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফলিত গবেষণা বিভাগ, ব্রি, গাজীপুর এর চীফ সাইন্টিফিক অফিসার (সিএসও) এবং প্রধান ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফলিত গবেষণা বিভাগ, ব্রি, গাজীপুর এর প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার (পিএসও) ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ হাবিবুর রহমান মুকুল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ সাঈদ হোসেন কটিয়াদী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার আজহার মাহমুদ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জাহানসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় কৃষক/কৃষাণী ও গণমাধ্যমকর্মী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্রি ধান-১০৩ জাতের বৈশিষ্ট্য ও ফলন সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করেন। তারা জানান, এ জাতের ধান দ্রুত পাকে এবং বৈরী আবহাওয়াতেও স্থিতিশীল থাকে। প্রতি বিঘায় গড়ে ২২ থেকে ২৫ মণ ধান উৎপাদন সম্ভব হয়। চাল চিকন ও স্বাদেও উৎকৃষ্ট হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে এ জাতের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঝাকালিয়া ব্লকের চাষি মাইনুল হক মেনু জানান, আমি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান-১০৩ এর বীজ নিয়ে এক বিঘা জমিতে চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূঞা, পৌরসভার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মঈনুল ইসলাম এবং জালালপুর ইউনিয়নের ঝাকালিয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেনের সহযোগিতা ও পরামর্শে আমার জমিতে ব্রি ধান-১০৩ জাতের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.শফিকুল ইসলাম ভূঞা জানান, এ বছর উপজেলার একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ব্লকে আমনের মৌসুমে ব্রি ধান- ১০৩ জাত আবাদ করেছেন কৃষকরা।
কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি ধান-১০৩ জাতটি বিশেষভাবে কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। নমুনা ফসল কর্তনে দেখা যায়, এক বিঘা (৩৫ শতক) জমিতে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে, যা প্রচলিত আমন জাতগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। আগামীতে এ উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১০৩ জাত ধানের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।