alt

তিন বছরেও শেষ হয়নি খাসিয়ামারা সেতুর কাজ, দুর্ভোগে মানুষ

প্রতিনিধি, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) : বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) : রশি টেনে খেয়া নৌকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হচ্ছেন নারী-শিশুরাও -সংবাদ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুরে খাসিয়ামারা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ তিন বছর পার হলেও এখনো শেষ হয়নি। ফলে প্রতিদিনই রশি টেনে খেয়া নৌকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন নারী-শিশুসহ সাধারণ যাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি ক্ষোভও বাড়ছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ৫০০ মিটার চেইনেজে ৭৫ মিটার পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আলীপুর-টেংরাটিলা খেয়াঘাটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই নির্মাণকাজের অগ্রগতি ছিল অত্যন্ত ধীরগতির।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—ঠিকাদার দুই দিন কাজ করলে দুই মাস কাজ বন্ধ রাখেন। কখনো কখনো আরও দীর্ঘ সময় ধরে কোনো ধরনের কাজই হয় না। বর্তমানে প্রায় ছয় মাস ধরে পুরো প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা প্রতিদিন জীবনবাজি রেখে খেয়া দিয়ে পারাপার হচ্ছি। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। সেতুর কাজ কখন শেষ হবে—এমন প্রশ্নের জবাব কেউ দিতে পারে না।

একই গ্রামের গৃহিণী ফারজানা আক্তার সেতু জানান,“বৃষ্টি হলে বা নদীতে স্রোত থাকলে খেয়া পার হতে খুব ভয় লাগে। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়—এভাবে কতদিন চলবে জানি না। টেংরা হাইস্কুলের শিক্ষার্থী তুষার বলেন, “ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হয়ে স্কুলে আসতে হয়। বর্ষায় স্রোত বাড়লে কখন দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না।

দোয়ারাবাজার এলজিইডির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঠিকাদারের খামখেয়ালি আচরণে ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত কাজ চললে আরও দুই বছর আগেই সেতুর নির্মাণ শেষ হতো। এ বিষয়ে ঠিকাদার শংকর বাবুর ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই ব্রিজের কাজ পুনরায় শুরু হবে।

ছবি

শেরপুরে টিসিবির ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার আটক

ছবি

নড়াইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষরা ছেলেকে হত্যা করেছে, দাবি মায়ের

ছবি

আত্রাইয়ে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ পালিত

ছবি

মোরেলগঞ্জে জাতীয় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

ছবি

বীগঞ্জে তদন্ত চলাকালে প্রধান শিক্ষকের উপর অর্তকিত হামলা, দুই শিক্ষক আহত

ছবি

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

ছবি

নেত্রকোণায় প্রতিদিন অর্ধ কোটি টাকার মাছের বেচাকেনা

ছবি

শীতের শুরুতে আগাম আলুচাষে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ঘিওরের কৃষকদের

ছবি

অন্তর্বর্তী সময়ে অতি ডানপন্থিদের আস্ফালন যেমন বেড়েছে, সরকারের দিক থেকে আস্কারাও পেয়েছে: শিক্ষক নেটওয়ার্ক

ছবি

কক্সবাজার জেল গেইট এলাকায় পাহাড় ধ্বংস: প্রকৃতির সামনে নতুন ঝুঁকি

ছবি

কালিহাতীতে পরিত্যক্ত মেশিন ঘরে কিশোরী ধর্ষণ

দুমকিতে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রিকরণ বিষয়ক কর্মশালা

ছবি

মোহনগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল

ছবি

আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

গজারিয়ায় বালু ভরাটে কমছে আমাদি জমি ও মাটির উর্বরতা

ছবি

শীতের আমেজে কদর বেড়েছে গরম কাপড়, লেপ, তোষকের

ছবি

সিলেটে এতিম শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের স্কুল

ছবি

রাঙ্গাবালীতে সংরক্ষিত বন ধ্বংস তরমুজ খেতের প্রস্তুতি

ছবি

ভেজাল কীটনাশক কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কারাদণ্ড, জরিমানা

ছবি

মৌলভীবাজারে পাহাড়ি বনভূমিতে চলছে বাঁশ লুটের উৎসব

ছবি

অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে সান্তাহারে চার আবাসিক হোটেলে তালা দিল জনতা

ছবি

নবীনগরের বগাহানী সেতুটি বেহাল অবস্থা

ছবি

নবীগঞ্জে অমনের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে আনন্দের ঝিলিক

ছবি

শাহজাদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে থাকে ৬ মাস

ছবি

কালকিনিতে পরিবহনের ধাক্কায় যুবক নিহত

ছবি

পোরশায় একযোগে ১১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপণ

ছবি

চমেক হাসপাতালে কয়েদির মৃত্যু

ছবি

জয়পুরহাটে সার সংকটে বিপাকে চাষিরা

ছবি

বিরামপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ

ছবি

যশোরে ডিবি পরিচয়ে ফিল্মি স্টাইলে প্রাইভেটকার ছিনতাই

ছবি

দুমকিতে গাঁজাসহ আটক ১

ছবি

রাজিবপুরে সেলাই বিষয়ক প্রশিক্ষণ

গোয়ালন্দে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

স্ত্রীর মামলায় পৌরসভার প্রকৌশলীর কারাদন্ড

ছবি

চরফ্যাসনের ফুটপাতে শীতের উচ্ছ্বাস

ছবি

ডিমলায় মাদ্রাসার জমির ধান লুটসহ জমি জবর দখলের অভিযোগ

tab

তিন বছরেও শেষ হয়নি খাসিয়ামারা সেতুর কাজ, দুর্ভোগে মানুষ

প্রতিনিধি, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) : রশি টেনে খেয়া নৌকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হচ্ছেন নারী-শিশুরাও -সংবাদ

বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুরে খাসিয়ামারা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ তিন বছর পার হলেও এখনো শেষ হয়নি। ফলে প্রতিদিনই রশি টেনে খেয়া নৌকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন নারী-শিশুসহ সাধারণ যাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি ক্ষোভও বাড়ছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ৫০০ মিটার চেইনেজে ৭৫ মিটার পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আলীপুর-টেংরাটিলা খেয়াঘাটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই নির্মাণকাজের অগ্রগতি ছিল অত্যন্ত ধীরগতির।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—ঠিকাদার দুই দিন কাজ করলে দুই মাস কাজ বন্ধ রাখেন। কখনো কখনো আরও দীর্ঘ সময় ধরে কোনো ধরনের কাজই হয় না। বর্তমানে প্রায় ছয় মাস ধরে পুরো প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা প্রতিদিন জীবনবাজি রেখে খেয়া দিয়ে পারাপার হচ্ছি। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। সেতুর কাজ কখন শেষ হবে—এমন প্রশ্নের জবাব কেউ দিতে পারে না।

একই গ্রামের গৃহিণী ফারজানা আক্তার সেতু জানান,“বৃষ্টি হলে বা নদীতে স্রোত থাকলে খেয়া পার হতে খুব ভয় লাগে। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়—এভাবে কতদিন চলবে জানি না। টেংরা হাইস্কুলের শিক্ষার্থী তুষার বলেন, “ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হয়ে স্কুলে আসতে হয়। বর্ষায় স্রোত বাড়লে কখন দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না।

দোয়ারাবাজার এলজিইডির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঠিকাদারের খামখেয়ালি আচরণে ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত কাজ চললে আরও দুই বছর আগেই সেতুর নির্মাণ শেষ হতো। এ বিষয়ে ঠিকাদার শংকর বাবুর ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই ব্রিজের কাজ পুনরায় শুরু হবে।

back to top