ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার তারণগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযোগের তদন্ত চলাকালে তদন্ত কর্মকর্তার সামনেই প্রধান শিক্ষকের ওপর অর্তকিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রধান শিক্ষক সূবিনয় পুরকায়স্থ। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে দুই সহকারী শিক্ষকও হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত সুবিনয় পুরকায়স্থকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাতা সদস্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে করগাঁও ইউনিয়নের ক্ষিতিশ দাশ ও তার চাচাতো ভাই রতীশ দাশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। প্রধান শিক্ষক রতীশ দাশকে দাতা সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছেন, এ অভিযোগ এনে ক্ষিতিশ দাশ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের তদন্তে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোস্তফা কামাল বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করছিলেন। ঠিক সে সময় ক্ষিতিশ দাশ, তার ছেলে কিরণ দাশসহ আরও কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এলে সহকারী শিক্ষক অর্চনা রানী দাশসহ আরও একজন শিক্ষক আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ক্ষিতিশ দাশ ও তার ছেলে কিরণ দাশকে থানায় নিয়ে যায়। আহত অর্চনা রানী দাশকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার পর শিক্ষক সমাজ, অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক সমাজ ও সচেতন মহল দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুজনকে আটক করা হয়েছিল। ক্ষিতিশ দাশ বয়সে বৃদ্ধ ও অসুস্থ হওয়ায় পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষক সমাজের দাবি এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার তারণগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযোগের তদন্ত চলাকালে তদন্ত কর্মকর্তার সামনেই প্রধান শিক্ষকের ওপর অর্তকিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রধান শিক্ষক সূবিনয় পুরকায়স্থ। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে দুই সহকারী শিক্ষকও হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত সুবিনয় পুরকায়স্থকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাতা সদস্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে করগাঁও ইউনিয়নের ক্ষিতিশ দাশ ও তার চাচাতো ভাই রতীশ দাশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। প্রধান শিক্ষক রতীশ দাশকে দাতা সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছেন, এ অভিযোগ এনে ক্ষিতিশ দাশ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের তদন্তে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোস্তফা কামাল বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করছিলেন। ঠিক সে সময় ক্ষিতিশ দাশ, তার ছেলে কিরণ দাশসহ আরও কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এলে সহকারী শিক্ষক অর্চনা রানী দাশসহ আরও একজন শিক্ষক আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ক্ষিতিশ দাশ ও তার ছেলে কিরণ দাশকে থানায় নিয়ে যায়। আহত অর্চনা রানী দাশকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার পর শিক্ষক সমাজ, অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক সমাজ ও সচেতন মহল দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুজনকে আটক করা হয়েছিল। ক্ষিতিশ দাশ বয়সে বৃদ্ধ ও অসুস্থ হওয়ায় পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষক সমাজের দাবি এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।