অগ্রায়ণ মাসের আগমনে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার মৌসুম।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিনে পৃথিমপাশা, রবিরবাজার, টিলাগাঁও, রাৎগাঁও, কাদিপুর, কর্মধা, হাজিপুর, শরিফপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়—ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। মাঠজুড়ে সোনালি ধানের ঢেউ কাটতে কাটতে তাদের মুখে ফুটে উঠেছে নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দ।
কৃষকেরা জানান, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ায় ধান কাটার গতি বেড়েছে। যদিও অনেকেই এখনও হাতে ধান কেটে থাকেন, তবুও ধান কাটার যন্ত্র ব্যবহার করলে শ্রম ও সময় উভয়ই কম লাগে। নতুন ধান ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করে পিঠা তৈরি, মাচান নির্মাণ ও গুদাম প্রস্তুতের মতো ঐতিহ্যবাহী কাজেও ব্যস্ত সময় কাটছে গ্রামীণ পরিবারের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এ বছর কুলাউড়ায় ১৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। স্থানীয় জাত স্বর্ণা, রঞ্জিত, আসামি ছাড়াও আধুনিক জাত ব্রিধান-৪৯, ৭১, ৭৫, ৮৭ ও ১০৩ এর ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১৫ শতাংশ ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরো ধান কাটার কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও সোনালি ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। এতে কৃষকের মুখে আবারও হাসি ফিরবে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন জাতের ধান চাষে উৎসাহ দেওয়া এবং রোগ-পোকামাকড় ও প্রাকৃতিক ক্ষতি রোধে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
অগ্রায়ণ মাসের আগমনে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার মৌসুম।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিনে পৃথিমপাশা, রবিরবাজার, টিলাগাঁও, রাৎগাঁও, কাদিপুর, কর্মধা, হাজিপুর, শরিফপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়—ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। মাঠজুড়ে সোনালি ধানের ঢেউ কাটতে কাটতে তাদের মুখে ফুটে উঠেছে নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দ।
কৃষকেরা জানান, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ায় ধান কাটার গতি বেড়েছে। যদিও অনেকেই এখনও হাতে ধান কেটে থাকেন, তবুও ধান কাটার যন্ত্র ব্যবহার করলে শ্রম ও সময় উভয়ই কম লাগে। নতুন ধান ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করে পিঠা তৈরি, মাচান নির্মাণ ও গুদাম প্রস্তুতের মতো ঐতিহ্যবাহী কাজেও ব্যস্ত সময় কাটছে গ্রামীণ পরিবারের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এ বছর কুলাউড়ায় ১৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। স্থানীয় জাত স্বর্ণা, রঞ্জিত, আসামি ছাড়াও আধুনিক জাত ব্রিধান-৪৯, ৭১, ৭৫, ৮৭ ও ১০৩ এর ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১৫ শতাংশ ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরো ধান কাটার কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও সোনালি ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। এতে কৃষকের মুখে আবারও হাসি ফিরবে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন জাতের ধান চাষে উৎসাহ দেওয়া এবং রোগ-পোকামাকড় ও প্রাকৃতিক ক্ষতি রোধে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।