ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিচারপ্রার্থী নারী ও তার বাবাকে আদালত চত্বরে নির্যাতন করে গুরতর আহত করা কারাগারে আটক আসামী ও কারা কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জ্বাল করে আদালতে আবেদন দাখিল করার অপরাধে আরিফুল ইসলাম আরিফ এ্যাডভোকেটের আইনজিবী সমিতির সদস্যপদ স্থগিত এবং রংপুরের সব আদালতে প্রাকটিস নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে রংপুর আইনজিবী সমিতি। সেই সাথে ওই আইনজিবীর মোহরার শামীমের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আইনজিবী সমিতির সাধারন সম্পাদক আফতাব উদ্দিন এ্যাডভোকেট। রংপুর আইনজিবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের মেয়ে মোছাঃ জিম্মি আখতার রংপুর আইনজিবী সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগে জানান গত ১৭/৯/২৫ইং তারিখে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে যৌতুক মামলার বাদী হিসেবে তার হাজিরার দিন ছিলো। জিম্মি আখতার তার স্বামী রোমান সরকারের বিরুদ্ধে তাকে যৌতুক দাবি করে না দেয়ায় নির্যাতন করার অভিযোগে মামলা করেছিলেন। ওই দিন আসামী রোমান সরকারের আইনজিবী আরিফুল ইসলাম ও তার মোহরার শামীম আদালত প্রাঙ্গনে অবস্থিত তার চেম্বারে জোর করে তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় জিম্মি আখতারের বাবা ওবায়দুল হক বাঁধা দিলে আইনজিবী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও তার মোহরার শামীম তার বাবাকে শত শত মানুষের সামনে বেদম মারধর করে গুরতর আহত করে। বাবাকে রক্ষা করতে গিয়ে জিম্মি আখতারও আহত হয়। পরে অন্যান্য আইনজিবী সহ অনেকে এসে তাদের উদ্ধার করে জিম্মি আখতারের বাবা ওবায়দুল হককে রক্তাক্ত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে। হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়ে ২৫/০৯/২৫ইং তারিখে জিম্মি আখতার রংপুর আইনজিবী সমিতির সভাপতি সাধারন সম্পাদক বরাবর আইনজিবী আরিফুল ইসলাম আরিফ এ্যাডভোকেট ও তার মোহরার শামীমের বিরুদ্ধে তার বাবা ও তাকে নির্যাতন করে গুরতর আহত করার ঘটনার বিচার দাবি করে লিখিত অভিযোগ করে। রংপুর আইনজিবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে লিখিত অভিযোগ পাবার পর রংপুর আইনজিবী সমিতির সভা আহবান করে পুরো ঘটনা তদন্ত করার জন্য সিনিয়র আইনজিবী রইছ উদ্দিন বাদশা এ্যাডভোকেটকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। এদিকে ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে তদন্ত কমিটি আরও একটি গুরতর জ্বায়িাতির অভিযোগ পান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের। সেখানে অভিযোগ পাওয়া যায় আইনজিবী আরিফুল ইসলাম আরিফ জজ আদালতের ক্রিমিনাল মিস ৮৮৯/২৫ নম্বর মামলার ওকালত নামায় রংপুর কারাগারে আটক আসামীর স্বাক্ষর, হাজতী নম্বর ও সত্যায়নকারী ডেপুটী জেলারের স্বাক্ষর জ্বাল করে ওকালত নামা মুলে উক্ত ৮৮৯/২৫ ক্রিমিনাল মিস মামলায় দাখিল করে। বিষয়টি জেলা জজ আদালতের বিচারকের সন্দেহ হলে পুরো বিষয়টি রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কাছে পাঠালে কারাকর্তৃপক্ষ আসামীর ও কারাকর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জ্বাল বলে লিখিত ভাবে জানায়
এদিকে তদন্ত কমিটি তদন্ত কালে অভিযোগ কারিনী জিম্মি আখতার ও তার বাবা ওবায়দুল হক সহ প্রত্যাক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়। সেই সাথে কারাগারে আটক আসামী ও কারা কতৃপক্ষের স্বাক্ষর জ্বাল করে আদালতে আবেদন দাখিল করার বিষয়টির সত্যতা প্রমানিত হলে তদন্ত কমিটি আইনজিবী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও তার মোহরার শামীমকে দোষি সাব্যস্ত কতরে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করার সুপারিশ করে।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহবায়ক সিনিয়র আইনজিবী রইছ উদ্দিন বাদশা এ্যাডভোকেট জানান তদন্ত কালে আইনজিবী আরিফুল ও তার মোহরারের বিরুদ্ধে আদালত প্রাঙ্গনে বিচার প্রার্থী নারী ও তার বাবাকে অমানুষিক নির্যাতন আদালতে কারাগারের কর্মকর্তা ও আসামীর স্বাক্ষর জ্বাল করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আমরা প্রতিবেদন দিয়েছি। একজন আইনজিবীর এ ধরনেরে কর্মকান্ড আইন পেশার মতো মহান পেশাকে কলংকিত করেছে বলে আমরা মনে করি বলে জানান।
সার্বিক ব্যাপারে রংপুর আইনজিবী সমিতির সাধারন সম্পাদক আফতাব উদ্দিন এ্যাডভোকেট জানান জিম্মি আখাতারের অভিয্গো ও জ্বালিয়াতি সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনজিবী সমিতির সাধারন সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে সভায় সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত আনুযায়ী আরিফুল ইসলাম আরিফ এ্যাডভোকেটের সদস্য পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই আইনজিবী রংপুরের কোন আদালতেই প্রাকটিস করতে পারবেনা বলে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে বিষয়টি বার কাউন্সিলকেও অবহিত করা হয়েছে। অন্যদিকে তার মোহরার শামীমের মোহরার লাইসেন্সও বাতিল করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
বিচারপ্রার্থী নারী ও তার বাবাকে আদালত চত্বরে নির্যাতন করে গুরতর আহত করা কারাগারে আটক আসামী ও কারা কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জ্বাল করে আদালতে আবেদন দাখিল করার অপরাধে আরিফুল ইসলাম আরিফ এ্যাডভোকেটের আইনজিবী সমিতির সদস্যপদ স্থগিত এবং রংপুরের সব আদালতে প্রাকটিস নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে রংপুর আইনজিবী সমিতি। সেই সাথে ওই আইনজিবীর মোহরার শামীমের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আইনজিবী সমিতির সাধারন সম্পাদক আফতাব উদ্দিন এ্যাডভোকেট। রংপুর আইনজিবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের মেয়ে মোছাঃ জিম্মি আখতার রংপুর আইনজিবী সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগে জানান গত ১৭/৯/২৫ইং তারিখে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে যৌতুক মামলার বাদী হিসেবে তার হাজিরার দিন ছিলো। জিম্মি আখতার তার স্বামী রোমান সরকারের বিরুদ্ধে তাকে যৌতুক দাবি করে না দেয়ায় নির্যাতন করার অভিযোগে মামলা করেছিলেন। ওই দিন আসামী রোমান সরকারের আইনজিবী আরিফুল ইসলাম ও তার মোহরার শামীম আদালত প্রাঙ্গনে অবস্থিত তার চেম্বারে জোর করে তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় জিম্মি আখতারের বাবা ওবায়দুল হক বাঁধা দিলে আইনজিবী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও তার মোহরার শামীম তার বাবাকে শত শত মানুষের সামনে বেদম মারধর করে গুরতর আহত করে। বাবাকে রক্ষা করতে গিয়ে জিম্মি আখতারও আহত হয়। পরে অন্যান্য আইনজিবী সহ অনেকে এসে তাদের উদ্ধার করে জিম্মি আখতারের বাবা ওবায়দুল হককে রক্তাক্ত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে। হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়ে ২৫/০৯/২৫ইং তারিখে জিম্মি আখতার রংপুর আইনজিবী সমিতির সভাপতি সাধারন সম্পাদক বরাবর আইনজিবী আরিফুল ইসলাম আরিফ এ্যাডভোকেট ও তার মোহরার শামীমের বিরুদ্ধে তার বাবা ও তাকে নির্যাতন করে গুরতর আহত করার ঘটনার বিচার দাবি করে লিখিত অভিযোগ করে। রংপুর আইনজিবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে লিখিত অভিযোগ পাবার পর রংপুর আইনজিবী সমিতির সভা আহবান করে পুরো ঘটনা তদন্ত করার জন্য সিনিয়র আইনজিবী রইছ উদ্দিন বাদশা এ্যাডভোকেটকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। এদিকে ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে তদন্ত কমিটি আরও একটি গুরতর জ্বায়িাতির অভিযোগ পান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের। সেখানে অভিযোগ পাওয়া যায় আইনজিবী আরিফুল ইসলাম আরিফ জজ আদালতের ক্রিমিনাল মিস ৮৮৯/২৫ নম্বর মামলার ওকালত নামায় রংপুর কারাগারে আটক আসামীর স্বাক্ষর, হাজতী নম্বর ও সত্যায়নকারী ডেপুটী জেলারের স্বাক্ষর জ্বাল করে ওকালত নামা মুলে উক্ত ৮৮৯/২৫ ক্রিমিনাল মিস মামলায় দাখিল করে। বিষয়টি জেলা জজ আদালতের বিচারকের সন্দেহ হলে পুরো বিষয়টি রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কাছে পাঠালে কারাকর্তৃপক্ষ আসামীর ও কারাকর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জ্বাল বলে লিখিত ভাবে জানায়
এদিকে তদন্ত কমিটি তদন্ত কালে অভিযোগ কারিনী জিম্মি আখতার ও তার বাবা ওবায়দুল হক সহ প্রত্যাক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়। সেই সাথে কারাগারে আটক আসামী ও কারা কতৃপক্ষের স্বাক্ষর জ্বাল করে আদালতে আবেদন দাখিল করার বিষয়টির সত্যতা প্রমানিত হলে তদন্ত কমিটি আইনজিবী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও তার মোহরার শামীমকে দোষি সাব্যস্ত কতরে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করার সুপারিশ করে।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহবায়ক সিনিয়র আইনজিবী রইছ উদ্দিন বাদশা এ্যাডভোকেট জানান তদন্ত কালে আইনজিবী আরিফুল ও তার মোহরারের বিরুদ্ধে আদালত প্রাঙ্গনে বিচার প্রার্থী নারী ও তার বাবাকে অমানুষিক নির্যাতন আদালতে কারাগারের কর্মকর্তা ও আসামীর স্বাক্ষর জ্বাল করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আমরা প্রতিবেদন দিয়েছি। একজন আইনজিবীর এ ধরনেরে কর্মকান্ড আইন পেশার মতো মহান পেশাকে কলংকিত করেছে বলে আমরা মনে করি বলে জানান।
সার্বিক ব্যাপারে রংপুর আইনজিবী সমিতির সাধারন সম্পাদক আফতাব উদ্দিন এ্যাডভোকেট জানান জিম্মি আখাতারের অভিয্গো ও জ্বালিয়াতি সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনজিবী সমিতির সাধারন সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে সভায় সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত আনুযায়ী আরিফুল ইসলাম আরিফ এ্যাডভোকেটের সদস্য পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই আইনজিবী রংপুরের কোন আদালতেই প্রাকটিস করতে পারবেনা বলে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে বিষয়টি বার কাউন্সিলকেও অবহিত করা হয়েছে। অন্যদিকে তার মোহরার শামীমের মোহরার লাইসেন্সও বাতিল করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।