পীরগঞ্জ (রংপুর) : উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পথের করতোয়া নদীর ওপর জয়ন্তীপুর ঘাটে নির্মাণাধীন সেতু -সংবাদ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সাথে পাশ্ববর্তী জেলা দিনাজপুরের তিন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পথের করতোয়া নদীর ওপর জয়ন্তীপুর ঘাটে নির্মাণাধীন সেতুটি নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সংশয় ও গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে আবারও। নির্মাণ শুরুর প্রায় দেড় বছরেও সেতুর মুল কাঠামো ও সংযোগ সড়কের প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি ফলে এ সংশয় দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, বিভাগীয় শহর রংপুরের সাথে দিনাজপুর জেলার দক্ষিনের তিনটি উপজেলার যোগাযোগ সহজ করতে করতোয়া নদীতে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া ইউপির জয়ন্তীপুর ঘাটে ২০১৫ সালে ২শ ৪ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। নানা জটিলতার পরে ২০১৯ সালে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পিপিএল। পরবর্তী সময়ে ঠিকাদার মৃত্যু বরণ করলে ২০২৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় সেতু নির্মাণ কাজ। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর পুণরায় দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০২৪ সালের মে মাসে পটুয়াখালী জেলার একে-এসবি-এমএ (জেভি) নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২২ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৩শ ৯৬ টাকা সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সেতু নির্মাণের কাজ পায়।
সময় নির্ধারণ করা হয় ২০ মাস, সেই মোতাবেক ২৬ সালের মার্চ মাসে সেতু নির্মাণের সময় শেষ হবে। সরেজমিন সেতু এলাকায় দেখা যায় সেতুর মাত্র ৬০/৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজ এখনও শুরুই করতে পারেনি ঠিকারাদারী প্রতিষ্ঠান। মাত্র কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে চলছে সেতুর বাকি থাকা গার্ডার সাটারিংয়ের কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুষ্ক মৌসুমে নির্মাণ কাজ শেষ না হলে আবারও জনগণকে দূর্ভোগ পেহাতে। নবাবগঞ্জের মাহমুদপুর ইউপির বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু হলেও সঠিক সময়ে কাজ শেষ হবে বলে মনে হয়না।
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন “এই ঘাট দিয়েই দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলার সাথে পীরগঞ্জ হয়ে বিভাগীয় শহর রংপুরে যাতায়াত করি ফলে সময় ও দুরত্ব কম হয়। কাজের বিলম্বে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। মনে হচ্ছে সময়মতো এবারও কাজ শেষ হবে না। জয়ন্তীপুর তরফমৌজা গ্রামের সবুজ ও আরিফুল ইসলামসহ এলাকাবাসী জানান, সঠিক তদারকি না থাকায় কাজের মান নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। অনেকে বলছেন, কাজ শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে এলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গতি বাড়ানোর কোন চেষ্টাই চোখে পড়ছে না। প্রকল্পের ঠিকাদার সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইতিমধ্যে সেতুর ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর ৫টি গার্ডার ও দুটি স্লাব ঢালাইয়ের কাজ বাকি আছে। ভূমি অধিগ্রহন জটিলতায় সংযোগ সড়কের কাজ বন্ধ আছে। তিনি আরও বলেন, যদিও কিছুটা দেরি হয়েছে, আমরা এখন অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে চেষ্টা করছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বাপ্পী বলেন, পীরগঞ্জ অংশের ভূমি অধিগ্রহন শেষ হলেও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ অংশের সংযোগ সড়কের ভূমি অধিগ্রহন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। মূল সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
পীরগঞ্জ (রংপুর) : উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পথের করতোয়া নদীর ওপর জয়ন্তীপুর ঘাটে নির্মাণাধীন সেতু -সংবাদ
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সাথে পাশ্ববর্তী জেলা দিনাজপুরের তিন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পথের করতোয়া নদীর ওপর জয়ন্তীপুর ঘাটে নির্মাণাধীন সেতুটি নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সংশয় ও গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে আবারও। নির্মাণ শুরুর প্রায় দেড় বছরেও সেতুর মুল কাঠামো ও সংযোগ সড়কের প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি ফলে এ সংশয় দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, বিভাগীয় শহর রংপুরের সাথে দিনাজপুর জেলার দক্ষিনের তিনটি উপজেলার যোগাযোগ সহজ করতে করতোয়া নদীতে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া ইউপির জয়ন্তীপুর ঘাটে ২০১৫ সালে ২শ ৪ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। নানা জটিলতার পরে ২০১৯ সালে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পিপিএল। পরবর্তী সময়ে ঠিকাদার মৃত্যু বরণ করলে ২০২৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় সেতু নির্মাণ কাজ। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর পুণরায় দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০২৪ সালের মে মাসে পটুয়াখালী জেলার একে-এসবি-এমএ (জেভি) নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২২ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৩শ ৯৬ টাকা সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সেতু নির্মাণের কাজ পায়।
সময় নির্ধারণ করা হয় ২০ মাস, সেই মোতাবেক ২৬ সালের মার্চ মাসে সেতু নির্মাণের সময় শেষ হবে। সরেজমিন সেতু এলাকায় দেখা যায় সেতুর মাত্র ৬০/৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজ এখনও শুরুই করতে পারেনি ঠিকারাদারী প্রতিষ্ঠান। মাত্র কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে চলছে সেতুর বাকি থাকা গার্ডার সাটারিংয়ের কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুষ্ক মৌসুমে নির্মাণ কাজ শেষ না হলে আবারও জনগণকে দূর্ভোগ পেহাতে। নবাবগঞ্জের মাহমুদপুর ইউপির বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু হলেও সঠিক সময়ে কাজ শেষ হবে বলে মনে হয়না।
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন “এই ঘাট দিয়েই দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলার সাথে পীরগঞ্জ হয়ে বিভাগীয় শহর রংপুরে যাতায়াত করি ফলে সময় ও দুরত্ব কম হয়। কাজের বিলম্বে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। মনে হচ্ছে সময়মতো এবারও কাজ শেষ হবে না। জয়ন্তীপুর তরফমৌজা গ্রামের সবুজ ও আরিফুল ইসলামসহ এলাকাবাসী জানান, সঠিক তদারকি না থাকায় কাজের মান নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। অনেকে বলছেন, কাজ শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে এলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গতি বাড়ানোর কোন চেষ্টাই চোখে পড়ছে না। প্রকল্পের ঠিকাদার সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইতিমধ্যে সেতুর ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর ৫টি গার্ডার ও দুটি স্লাব ঢালাইয়ের কাজ বাকি আছে। ভূমি অধিগ্রহন জটিলতায় সংযোগ সড়কের কাজ বন্ধ আছে। তিনি আরও বলেন, যদিও কিছুটা দেরি হয়েছে, আমরা এখন অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে চেষ্টা করছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বাপ্পী বলেন, পীরগঞ্জ অংশের ভূমি অধিগ্রহন শেষ হলেও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ অংশের সংযোগ সড়কের ভূমি অধিগ্রহন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। মূল সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।