মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকা এবং কোস্টগার্ড অফিস থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে লৌহজং-শিবচর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একাধিক ড্রেজার বসিয়ে নিয়মিতভাবে নদীর তলদেশ কেটে বালু লুট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র যা ডাবলু বেপারী চক্র নামে পরিচিত প্রকাশ্যেই লৌহজং সীমান্তবর্তী নতুন জেগে ওঠা চর ও নদীর তলদেশ থেকে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ডাবলু বেপারী ও মোহাম্মদ আলিমের নেতৃত্বে প্রতিরাতে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি ভাসমান ড্রেজার ব্যবহার করে এই অবৈধ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
লৌহজংয়ের বহু মানুষ নতুন জেগে ওঠা চর দেখে নতুন করে ঘরবাঁধার স্বপ্ন দেখছিলেন। অনেকেই মনে করেছিলেন, হয়তো তাদের হারানো পৈতৃক ভিটা আবার ফিরে পাবেন। কিন্তু রাতের আঁধারে বালু লুটের এই তা-বে সে স্বপ্ন ক্রমেই ভেঙে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি ড্রেজার থেকে পুলিশ প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা করে অবৈধভাবে আদায় করেন। আর এই জোরেই চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাঁঠালবাড়ি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৭ নম্বর পিলারের পর থেকে আমাদের এলাকায় কোথাও অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা হচ্ছে না। কেউ করলে প্রমাণসহ আমাদের জানাবেন।
টু-আইসি এসআই আবুল বাশারের সম্পৃক্ততার অভিযোগও তিনি নাকচ করেন।
দুই ফাঁড়ির এমন ভিন্ন বক্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাদের প্রশ্ন যদি কেউ দায় স্বীকার না করে, তবে রাতের পর রাত পদ্মায় অবৈধ ড্রেজার চলেই বা কীভাবে?
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন বলেন, ইতিপূর্বে আমরা দুটি ড্রেজার ধ্বংস করেছি। নতুন করে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকা এবং কোস্টগার্ড অফিস থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে লৌহজং-শিবচর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একাধিক ড্রেজার বসিয়ে নিয়মিতভাবে নদীর তলদেশ কেটে বালু লুট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র যা ডাবলু বেপারী চক্র নামে পরিচিত প্রকাশ্যেই লৌহজং সীমান্তবর্তী নতুন জেগে ওঠা চর ও নদীর তলদেশ থেকে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ডাবলু বেপারী ও মোহাম্মদ আলিমের নেতৃত্বে প্রতিরাতে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি ভাসমান ড্রেজার ব্যবহার করে এই অবৈধ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
লৌহজংয়ের বহু মানুষ নতুন জেগে ওঠা চর দেখে নতুন করে ঘরবাঁধার স্বপ্ন দেখছিলেন। অনেকেই মনে করেছিলেন, হয়তো তাদের হারানো পৈতৃক ভিটা আবার ফিরে পাবেন। কিন্তু রাতের আঁধারে বালু লুটের এই তা-বে সে স্বপ্ন ক্রমেই ভেঙে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি ড্রেজার থেকে পুলিশ প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা করে অবৈধভাবে আদায় করেন। আর এই জোরেই চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাঁঠালবাড়ি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৭ নম্বর পিলারের পর থেকে আমাদের এলাকায় কোথাও অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা হচ্ছে না। কেউ করলে প্রমাণসহ আমাদের জানাবেন।
টু-আইসি এসআই আবুল বাশারের সম্পৃক্ততার অভিযোগও তিনি নাকচ করেন।
দুই ফাঁড়ির এমন ভিন্ন বক্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাদের প্রশ্ন যদি কেউ দায় স্বীকার না করে, তবে রাতের পর রাত পদ্মায় অবৈধ ড্রেজার চলেই বা কীভাবে?
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন বলেন, ইতিপূর্বে আমরা দুটি ড্রেজার ধ্বংস করেছি। নতুন করে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।